নবজাতকের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রচলিত কর্ম ধারণা লেখায় উল্লেখৃত কোনটাই আমাদের কাছে সঠিক বলে মনে হয়নিঃ বিস্তারিত...আব্দুর রহিম+নুর আয়শা
লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ২০ আগস্ট, ২০১৪, ০৯:৩৮:৪৪ রাত
আমাদের জেলার বেশির ভাগ জায়গায় একটা প্রথা চালু আছে বচ্চা জম্ম হবার পর যতদিন নাভির নার পড়ে না যায় ততদিন বাচ্চাকে সোয়াবাবার জায়গায় বালিশ এর একটু দূরে রাখা হয়.... বই, খাতা, কলম, লজ্জাপতি পাতা, মন কাঁটা, স্বর্ণ ও রুপা, টাকা, লোহা, চাউলও ভিন্ন ভিন্ন রকমের ডাল, আরো অনেক কিছু!!!!
✘✘
✘✘✘
✘✘✘✘
✘✘✘✘✘
এগুলো রাখার পেছনে কারণ:-
১/ বই, বই রাখার কারণ হল ছেলে হোক মেয়ে হোক বই পড়ে শিক্ষিত হবে!
২/ খাতা, খাতা রাখার কারণ হল ছেলে হোক মেয়ে হোক লিখায় পারদর্শী হবে...!
৩/ কলম, কলম রাখার কারণ ছেলে হোক মেয়ে হোক তার হাতের লেখা সুন্দর হবে, সে উচ্চ শিক্ষিত হবে....!!
৪/ লজ্জাপতি পাতা, লজ্জাপতি পাতা রাখার কারণ ছেলে হোক মেয়ে হোক তার ভেতরে লজ্জা সরম থাকবে.....!
৫/ মন কাঁটা, মন কাঁটা হচ্ছে বড় আকারের কাঁটা! এ কাঁটা রাখার অর্থ হলো ছেলে হোক মেয়ে হোক তার স্বরন শক্তি বৃদ্ধি পাবে, যে কোন কিছু মনে থাকবে বেশি, সে মনযোগী হতে পারবে....!!!
৬/ স্বর্ণ ও রুপা, স্বর্ণ ও রুপা ছেলে হোক মেয়ে হোক সে যেন স্বর্ণ ও রুপা অর্জন করতে পারে.....!
৭/ টাকা, টাকা মানুষের জীবনে সব চেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ ও প্রয়োজনীয়, ছেলে হোক মেয়ে হোক সে যেন টাকা রোজগার করতে পারে, টাকা যেন থাকে তার কাছ। যার যে রকম স্বমর্ত আছে সেই স্বমর্ত অনুযায়ী রাখে টাকা রাখে......!
৮/ লোহা, লোহা রাখার ২টা কারণ! (ক) লোহা ধর্য্যের প্রতিক, লোহার মত যেন হয় তার মন, ছেলে হোক মেয়ে হোক যেন সে যে কোন বিপদে ধর্য্য ধারণ কারি হতে পারে।
(খ) লোহা বাড়ি বানানোর কাজে ব্যবহার করা হয় সুতরাং বড় দালানের প্রত্যাশাও কাজ করে লোহা রাখার ক্ষেত্রে.......!!!!
৯/ চাউল ও ডাল, চাউল ও ডাল রাখা হয় ডাল ভাতের অভাব যেন না হয় ছেলে হোক মেয়ে হোক, চাউল ও ডাল থাকলে উপোস করার সম্ভাবনা থাকেনা সুতরাং কারণ এটাই.. ..!!
আরোও অনেক কিছু আছে সব গুলো উল্লেখ করা নিঃস্প্রয়োজন।
উপরে উল্লেখৃত কোনটাই আমাদের কাছে সঠিক বলে মনে হয়নি, যদিও আমাদের সমাজে এর প্রচলন আছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে উল্লেখৃত বিষয়ে কোরআন ও সহী হাদীসের কোনো দলিল কি আছে?
যদি থাকে তা কোন আয়াতে বা কোন হাদীসে আছে তা জানবার আগ্রহের কমতি নেই!
আমরা যত দূর জানি টুডেব্লগে কোরআন ও সহীহ হাদীস জানে এমন অনেক ব্লগার আছেন, আশা করি এ বিষয়ে তথ্য বৃত্তিক আলোচনা আসবে মন্তব্যের মাধ্যমে।
যদি কোরআন ও সহীহ হাদীসে এর কোন দলিল না থাকে এ বিষয়ে জনসচেতনতা দরকার, জনসচেনতার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার বিনিত আহবান জানাচ্ছি।
বিষয়: বিবিধ
২০৯৫ বার পঠিত, ৩৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার কাছে দেখতে তেমন ভাল লাগে না ভাইয়া/ভাবী মনে কিছু নিয়েন না ।
বিয়ের কথা আসতেই সাথে যোগ হয় যৌতুকের কথা।
আগে তো শুনেছি মেয়ের বাড়ি থেকে এক ডেকচি তে ঘাস,পোলাও ডিম ইত্যাদি দেয়া হতো। এগুলি সম্পুর্ন অপ্রয়োজনিয়।
কুসংস্কার দূর করার লড়াই চলবে।
বিয়ের আয়োজনের মাধ্যমে শুরু হয় কুসংস্কারের মূল অভিসার! মেহেদী রাত নামের যে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় তাতে নারী পুরুষের অবাদ অংশ গ্রহণ সমাজের জন্য ব্যাধি এবং মুসলমানদের জন্য লজ্জা!!
মুসলমানেরাই এসব নির্দিধায় গ্রহণ করেছে এবং খুব সহজে!!
বিয়ের পর নবজাতক আসার পর শুরু হয় মেয়ের পরিবারের উপর আর্থিক নির্জাতন, ছেলে পক্ষের পরো পরিবারের জন্য নতুন কাপড় দিতে হবে। আকিকা দেবার জন্য পশু দিতে হবে!
সাথে আরো কত কিছু.....!
ভালো দিকগুলো ফুটে উঠেছে
বিয়ের খাবারের আয়োজন করবে বর পক্ষ এটাই যুক্তিযুক্ত, কিন্তু বর্তমান সমাজে ঠিক উল্টো! মেয়ে পক্ষ খাবারের আয়োজন করে তাও কম নয়,যতাক্রমে ১ হাজার, ৮ শত, ৭ শত, ৬ শত, ৫ শত, ৪ শত, ৩ শত,সর্ববনিম্নে ২ শত ১ শত।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে সমাজে পুরুষ হিসেবে বেঁচে থেকে লাভ কি?
যদি পুরুষরালি মানসিকতা না থাকে?
পুরুষদের প্রতি আহবান মানসিকতায় পুরুষত্ব ফিরিয়ে আনুন।
মেয়ের বাবা মাকে চিন্তা মুক্ত করুন।
কুসংস্কার খূজতে গেল অভাব নেই,
বিয়ের পর মেয়েরা বাপের বাড়ি থেকে শশুর বাড়িতে বুধবারে ফিরলে নাকি মেয়ের বাপের বাড়ির সব ভাগ্য মেয়ের সাথে মেয়ের শশুর বাড়িতে চলে আসে!!
আরও একটি কুসংস্কার!
মাগরিবের আযানের সাথে সাথে ঘরের দরজা খুলে দিতে হয়! পেরেস্তা ঘরে ঢুকবার জন্য।
এসব কুসংস্কার সমাজ থেকে দূর করার জন্য সবাইকে আন্তরিক ভাবে এগিয়ে আসতে হবে।।
মঙলবার বা শনিবারে নাকি কোথাও যেতে নেই! ঐ দিন কোথাও গেলে বিপদের আশংকা থাকে! এ সব কুসংস্কার থেকে কবে আমরা মুক্তি পাব?
দেখা থেকে করা নয় জেনে বুঝে করা চাই।
প্রসূতি অবস্থায় যদি চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ হয় থা হলে ঐ প্রসূতি ঘুমিয়ে থাকতে পারবেনা!
কোনো কিছু কাটাকাটি করতে পারবেনা!!
ঐসব করলে আগত সন্তানের অঙ্গ প্রত্যাঅঙ্গে ্ দাগ পড়ে যাবে স্বভাবিক ভাবে জম্ম নেবেনা সন্তান!!
কুসংস্কার দূর করতে সচেতন সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।
এসবের বিরোধীতা বাদ দেন। পারলে আন্নেও নতুন কিছু এড করেণ।
এই যেমন-
একটা বদনা রাখতে পারেন যাতে বড় হয়ে ঘন ঘন পাতলা পায়খানা কইরবার না পারে।
একটা লম্বা সাইজের তেনা ফাডা রাখতে পারেন যাতে বড় হয়ে ভন্ড পীর হয়ে মাথায় লম্বা পাগড়ী বাধতে পারে।
মুরগীর রান্না করা পশ্চাদাংশের মাংশ রাখতে পারেন যাতে বড় হয়ে সে আবুল তাবুল কথা বলে মুখে ফেনা তুলবে রাজনৈতিকদের মত।
বিরোধীতা করার জন্য গ্যাঞ্জাম খান নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার জন্য প্রস্তুতি লইতাসে.....
ভন্ড বাবার ভন্ডামীরও আমরা বিরোধীতা করিবনা! ঐখানে গিয়া সিজদা করিব এবং গ্রামের সবাইরে ডাইকা নিয়া যামু!!! আপনিওও সাথে থাইকেন।
নির্বাচনে জয় লাভের জন্য যারা জিয়ারত করে তারাই প্রতিনিয়ত মিথ্যাচারের মাধ্যমে কুসংস্কার সৃষ্টি করে চলছে।
সচেতনতা অত্যন্ত জরুরী!!
কুরআন হাদীস চর্চার যে কত কমতি তাই প্রকাশ পায় ।
আল্লাহ আমাদেরকে এ থেকে হেফাজত করুন।
কিন্তু তাকে দেখেছি মাজারে যেতে!! শিক্ষার আলো তাকে কুসংস্কার থেকে দূরে রাখতে পারেনি! মাজার হচ্ছে শিরিকের অবয়অরন্য! সচেতনতা জরুরী।
কিন্তু বাছবিচার ছাড়া "সবই কুসংস্কার" মনে করা ঠিক নয়, বরং সংশ্লিষ্ট বিষয়টি তলিয়ে দেখা দরকার!
কুসংস্কারের জন্ম ও বিস্তৃতির অনেক কারণ থাকতে পারে-
১)ধর্মীয় কারণ- ধর্মীয় নিয়ম অজ্ঞদের দ্বারা বিকৃত হয়ে
২)স্বাস্থ্যবিধিগত কারণ- অনেক স্বাস্থ্যবিধিগত নিয়ম বিশেষ ক্ষেত্র থেকে "সার্বজনীন" হয়ে গেছে অজ্ঞতার কারণে
৩)শোনা কথায় অন্ধবিশ্বাস: উপরের ১ ও ২ নং কারণ থেকে এর জন্ম
৪) অপরের অভিজ্ঞতার বিকৃত চর্চা : মূল ব্যক্তির জন্য তা সঠিক ছিল
৫)যা আসলে কুসংস্কার নয়- বরং একটি সামাজিক নিয়ম/(সু)সংস্কৃতি, কিন্তু উতস ও প্রয়োগ না জানায় সেটি কুসংস্কারে পরিণত হয়েছে!
লেখাটি ব্লগে শেয়ার করার উদ্দেশ্যটা চিন্তা করে দেখুন....
[পোস্টে যেগুলো বলা হয়েছে তার সবই কুসংস্কার- এতে কোন সন্দদেহ নেই!]
বাকি কথা সাধারণ- সকল কুসংস্কারের জন্য প্রযোজ্য
নবজাতকে নাভীর সাথে নাড়ির যে অংশটা লেগে থাকে, ঐ অংশটি খষে যাওয়ার পর অনেকেই সেটাকে স্কুল, মাদ্রাসা প্রাঙ্গন ইত্যাদি স্থানে ফেলে আসেন, যাতে শিশুটি বড় হয়ে বিদ্বান হয়।
যেখানে ধর্মীয় জ্ঞানের আলো ম্লান, সেখানেই কুসংস্কার, কুসংস্কৃতি, সামাজিক ও ব্যক্তিক নৈতিকতার স্থলন অবসম্ভাবিক।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহ খইর
মন্তব্য করতে লগইন করুন