আলোহীন সৃজনশীল

লিখেছেন লিখেছেন শান্তমনা ২২ জুলাই, ২০১৪, ১২:৪৭:৩৯ রাত

আপনারা কেউ কি সৃজনজীল শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে একটু ভেবে দেখেছেন? বিষয়টা না আমার কাছে সম্পূর্ণ হযবরল মনে হয়। কেন জানেন বিষয়টা বলি-

বিশেষ করে এই বিষয়টা যে আমি পড়ি ক্লাশ সেভেনে তাহলে আমাকে কেন ক্লাশ টেনের প্রশ্ন উত্তর দিতে হবে। অবাক হচ্ছেন না? বিষয়টা এমনি বইটা আর প্রশ্ন মিলায়ে দেখেন? আমাকে শেখানো হচ্ছেনা v=s/t ‍কিন্তু আমাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে শব্দের বেগ বার কর। কন তো দেখিনি আমি যে বিষয়টা পড়লাম না বা যে বিষয়টা পড়ানো হল না সেটা কি আমার ভেতরে আগে থেকেই সেটআপ দেয়া আছে যে ক্লিক মারলেই ওটা বের হয়ে আসবে? সৃজনশীলের যারা জন্মদাতা তাদের বিশ্বাস ওটা নাকি আসবে যদি আমি ভাবি আচ্ছা ৩ঘন্টার একটা পরীক্ষা আমি ভাববো কখন আর লেখব কখন বলতে পারবেন?????

আমার মনে হয় তারা একটা জায়গায় ভুল করছে। কল্পনার রঙে একাটা মানুষের জীবনের খন্ড চিত্র দেখে তার পুরো বায়োগ্রাফী নির্মাণ করা যায় অথবা বৈজ্ঞানিক কোন অপ্ত গল্প পেশ করা যায় কিন্তু তার সাথে কিন্তু সেই মানুষটার পুরো জীবন ঐ উপন্যাসের সাথে যে কখনও মেলবে না এটা একটা ছোট্ট কচি খুকুও জানে। তাছাড়া যারা কল্পনাই বই লেখে তাদের কাছ যদি বাস্তব জীবনের সমাধান চান তাহলে আপনি পুরাটায় ধরা খাবেন এটা আমি ১০০% গ্যারান্টি দিতে পারি।

সৃজনশীলের উদ্দেশ্য নাকি আমার ভেতর থেক কিছু বাহির করে নিয়ে আসা এখন আমার মধ্যে যদি সেট আপ না্ইা দিলেন তাহলে ওটা আসবে কি স্বপ্নে।

একজনের একটা ছোট্ট যুক্তি- ৩য় শ্রেনীতে পড়াকালে একটা মেয়ে বিড়াল নিয়ে ৩পেজ রচনা লিখতে পারল কিন্তু দশম শ্রেণীতে গিয়ে আর তার দ্বারা সম্ভব হচ্ছে না কারণ নাকি তার মধ্যে সৃজনশীলতা নষ্ট হয়ে গেছে, এখন মুখস্থ বিদ্যার সেটা আপ দেওয়া হয়েছে েএইজন্য অনেক বড় বড় রচনা লিখতে পারলেও তার দ্বারা আর বিড়াল নিয়ে রচনা লেখা সম্ভব হচ্ছে না।

আচ্ছা আমি এই যুক্তির উপড় কয়েকটা প্রশ্ন করি। একটা মেয়ে দশম শ্রেণীতে ওঠার পর বিড়াল নিয়ে ১০ পেজ রচনা না লিখতে পারলে তাকে আমি কিভাবে দশম শ্রেণীর ছাত্রী হিসেবে কল্পনা করতে পারি?????????? আর লিখতে পারবে না এটা কি ভাবা যায়? আর এই যুক্তিকে সামনে রেখে কেউ যদি কয় আমি ৩য় শ্রেণীর ছাত্রীকে কিছু না শিখিয়ে তার মধ্য থেকে আইনস্টাইনের থিউরীর ব্যাখ্যা বাহির করব তাহলে তার জন্য হেমায়েতপুরের পাগলা গারদই উপযুক্ত জায়গা!!!!!!!!!!!!

গাইড নিষিদ্ধ করার জন্য যে উদ্যোগ তা আজ আরও ভালভাবে প্রতিষ্টা লাভ করেছে আগে বইটুকু পড়লে গাইড কিয়দংশ পড়লেই চলত কিন্তু এখন গাইড অপরিহার্য এবং এমন একটা অবস্থা যে গাইড পড়তে গিয়ে নাইনের ছাত্রকে অনার্সের বইথেকে ঘুরে আসতে হচ্ছে এবং সেগুলো খুব ভাল করেই তাকে মুখস্থ করতে হচ্ছে আর করবেই না কেন গাইড ওয়ালাদের তো কলেবর বৃদ্ধি করতে আর স্কুলের ছাড়েরাও কি কম যায় তারা তো আরো বড় পন্ডিত একবারেই যেগুলো গাইডে নেই যা কিনা তিনি মাষ্টার্সে পড়ে এসছেন সেটা দিতেও তানার কখনও কৃপণতা আসেনা।

তাহলে এককাজ করা হোক দেখিনি আমাকে আগে মাষ্টার্সে পড়িয়ে তারপর ক্লাশ ওয়ান বা টুতে বা থ্রীতে পড়ানো হোক তাহলে এই সৃজনশীল শিক্ষার লক্ষ পুরোটাই পাওয়া যাবে।

আসলে যে লাউ সেই কদু তবে কদুটা কিন্তু এখন লাউয়ের চেয়ে অনেক বড়। আর একটা কথা কি এদেশের মানুষ কখনও বামদের মেনে নেয়নি ভবিষ্যতেও মেনে নেবে না কারণ কেন জানেন তার বামদের নিয়ে এরা যেটা ভাবে সেইটাই সঠিক কারণ বামরা হল কাল সাপ ছোবল মারলে তো রক্ষে নেই আর না মারলেও ভয়ে থাকতে হয় এবংএদের কাজ আল্টিমেটলি এদশের খারাপ ছাড়া কোন ভাল কিছু করে নি।

বিষয়: বিবিধ

১০৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File