চারিদিকে উন্নতি! আর উন্নতি!!
লিখেছেন লিখেছেন দূর্যোধন ০৫ আগস্ট, ২০১৪, ১২:১৩:১০ রাত
১. আইন অনুযায়ী রাস্ট্রপতি ফাঁসির দন্ড মওকূফ করে দেন!
একাধিক হত্যা মামলার আসামি জেলে বসে বিচার -শালিস করেন !! আইন মেনেই জেলে বসে বিয়ে করেন, জেলের ভেতরে গায়ে হলুদ হয় !!! জেলের ভেতরে গান বাজনা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাকি জানেন না!!!
২. গরিব শ্রমিকদের জন্যে কোনো আইন নেই।
রানা প্লাজার পোশাক শ্রমিকদের ১০০ কোটি টাকা পড়ে আছে প্রধানমন্ত্রীর
তহবিলে। অথচ শ্রমিকদের দিন কাটছে অনাহারে অর্ধাহারে।
আচ্ছা এই অর্থ যদি মালিকদের হতো?
মালিকরা যদি অসহায়ভাবে রাস্তায় বসে যেতেন, তাহলেও কি এই অর্থ তহবিলে জমা হয়েই থাকত?
৩. কাজ করেছে,মজুরি চায় তোবার শ্রমিকরা। মালিক জেলে। ১১১ জনকে পুড়িয়ে
মারার দায়ে অভিযুক্ত মালিক দেলোয়ার। তাকে মুক্ত করার জন্যে শ্রমিকদের
বেতন আটকে রাখতে হবে। শ্রমিকরা বেতন চাইবে, বলা হবে- মালিক জেলে বেতন
দেয়া যাচ্ছে না। রাস্তায় নামবে শ্রমিকরা মালিকের মুক্তির দাবিতে।
মালিকের এই অপকৌশলের শিকার শ্রমিকরা কাজ করে মজুরি না পেয়ে এখন অনশন করছেন।
দেলোয়ারের শাশুড়ি এবং স্ত্রীর স্বাক্ষরে বিদেশে পোশাক রপ্তানি হচ্ছে,
অর্ডার আসছে, অন্য সব খরচ চলছে। শুধু আটকে আছে শ্রমিকের মজুরি!
হায়রে মানবতা!!
বড় দুটি রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে নির্বিকার।
এখন বলা হচ্ছে বকেয়া বেতন দেয়া হবে ধাপে ধাপে। তিন মাসে শ্রমিকদের বকেয়া সাড়ে চার কোটি টাকা। এই সময়ে 40 কোটি টাকার রপ্তানি হয়েছে। মালিকের অ্যাকাউন্টে টাকাও আছে। তাহলে কেন ধাপে ধাপে বেতন দেবেন? এ কেমন রসিকতা?
মালিকের স্বাক্ষর ছাড়া যদি টাকা উঠানো নাই যায়, তো জেলে গিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় স্বাক্ষর নিয়ে আসেন।
জেলে গায়ে হলুদ -বিয়ে -গান বাজনা চলতে পারবে, আর একটি স্বাক্ষর আনা যাবে না?
৪. বিজিএমইএ ব্যস্ত কি করে সরকারের থেকে সুবিধা আদায় করা যায়, সেই
ধান্দায়। কিছুদিন পর পর চিৎকার করে বলে, বিদেশে আমাদের ইমেজ নষ্ট হয়ে
গেল। এনজিওরা ইমেজ নষ্ট করে দিল।
কাজ করিয়ে গরিব মানুষদের মজুরি না দিলে, সেই সংবাদ বিদেশের গণমাধ্যমে
প্রকাশিত হলে, আপনাদের ইমেজ নষ্ট হয় না?
৫. গরিব মানুষের শ্রম কাজে লাগিয়ে, পোশাক শিল্প মালিকরা বড়লোক হয়েছে,
মানুষ হয়নি। যারা মানুষ ছিল, তারা অমানুষ হয়েছে।
মানুষ হিসেবে হৃদয়ে যে সামান্য সংবেদনশীলতা থাকতে হয়, তার পুরোটা লোপ পেয়েছে।
৬. 'এত খাটলাম, এত প্রোডাকশন হলো, তবে বেতন পাই না কেন? '
অভূক্ত শ্রমিকের এই আকূতি, অমানুষদের হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছায় না।
সরকার এই প্রশ্নের জবাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করে না।
এ প্রশ্ন তো মালিকের নয়, শ্রমিকের।
সরকার তো শ্রমিকের নয়, মালিকের।
বিষয়: রাজনীতি
১১৫০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সহমত ।
যেই দেশে গার্মেন্টস কর্মীরা মাথার ঘাম পাতায় ফেইলা সরকাররে বসায়া বসায়া বৈদাশিক মুদ্রা আইনা দেয় সেই দেশে গার্মেন্টস কর্মী নিজের ছাওয়ালগো গায়ে এই ঈদে নতুন কাপড় গায়ে দেওয়াইতে পারেনা!
ইহার চাইয়া লজ্জার আর দুঃখের কিইবা থাকতে পারে ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন