দাওয়াত ও তাবলীগ ০০-------- জামায়াতের কর্মসূচির পয়লা দফাই দাওয়াত ও তাবলীগ (আহ্বান ও প্রচার) ।

লিখেছেন লিখেছেন দিয়া বৃষ্টি ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৯:৫৬:২২ রাত

দাওয়াত ও তাবলীগ

০০--------

জামায়াতের কর্মসূচির পয়লা দফাই

দাওয়াত ও তাবলীগ (আহ্বান ও প্রচার)।

দাওয়াতের কর্মনীতিঃ

দাওয়াত মানে আহ্বান বা ডাকা ।

প্রত্যেক আন্দোলনই মানুষকে নির্দিষ্ট

কোন কথার দিকে ডাকে ।

জামায়াতে ইসলামীর তিন

দফা দাওয়াত নবী ও রাসূলগণের

শাশ্বত দাওয়াত থেকে

তৈরি করা হয়েছে । সূরা আল-

আরাফের অষ্টম রুকু

থেকে এবং সূরা হুদের

বিচ্ছিন্নভাবে নবীদের নাম উল্লেখ

করে দেখান হয়েছে যে, সকল

নবী একই দাওয়াত দিয়েছেন । এ

দাওয়াতের বক্তব্য সবাই একই ভাষায়

প্রকাশ করেছেন ।

“হে আমার দেশবাসী-একমাত্র

আল্লাহ্রই দাসত্ব কর,

তিনি ছাড়া তোমাদের জন্য আর

কোন ইলাহ বা মাবুদ (হুকুমকর্তা) নেই ।”

এ দাওয়াতের কর্মনীতি বিশ্লেষণ

করলে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য

পাওয়া যায়ঃ

১। নবীগণ কোন ব্যক্তি, দল, সম্প্রদায়

বা গোষ্ঠীর দিকে মানুষকে ডাকেন

নি । তাঁরা একমাত্র আল্লাহ্র দিকেই

ডেকেছেন । আল্লাহ্র দ্বীন কবুল করার

দিকেই তাঁরা আহ্বান জানিয়েছেন



২। এ দাওয়াত সকল শ্রেণীর মানুষকেই

দেয়া হয়েছে । গোটা মানব

সমাজকেই আল্লাহ্র দিকে আহ্বান

জানান হয়েছে । কোন বিশেষ

শ্রেণী, সম্প্রদায়, এলাকা, বর্ণ, গোত্র

বা ভাষার লোককে নির্দিষ্ট

করে দাওয়াত দেয়া হয়নি । মানব

জাতির কোন এক অংশকে আর সব

মানুষ থেকে আলাদা কোন

শ্রেণী হিসাবে তাঁরা দাওয়াত

দেননি । নবীগণের দাওয়াত

বিশুদ্ধভাবেই সার্বজনীন ।

৩। কোন ব্যক্তি, দল বা মানব গোষ্ঠীর

বিরুদ্ধে বিদ্বেষের

উদ্দেশ্যে বা কারো বিরুদ্ধে জনগণকে বিক্ষুব্ধ

করে তোলার জন্য দাওয়াত

দেয়া হয়নি । নবীগণ মানুষকে ভ্রান্ত

মত, পথ, নীতি ও বিধান থেকে বাঁচার

জন্য একমাত্র আল্লাহ্র আনুগত্য করারই

দাওয়াত দিয়েছেন

এবং যারা ভ্রান্ত পথে চলছে,

তাদেরকেও সে পথ ত্যাগ করার

আহ্বান জানিয়েছেন ।

৪। দাওয়াত পেশ করার পদ্ধতি অত্যন্ত

সূক্ষ্ম বিষয় । তাই আল্লাহপাক এ

বিষয়ে সুস্পষ্ট হিদায়াত

দিয়ে বলেছেনঃ

“হে রাসূল ! আপনার রবের পথে আহ্বান

জানান হিকমত ও উত্তম নসীহতের

সাথে । আর লোকদের সাথে বিতর্ক

করতে হলে সুন্দরভাবে করুণ ।” সূরা আন-

নাহল-১২৫

এ আয়াতের মর্ম ব্যাপক ।

এখানে তিনটি হিদায়াত রয়েছেঃ

(ক) যে ব্যক্তি, দল

বা কাওমকে দাওয়াত

দেয়া হবে তার

অবস্থা ভালভাবে জেনে দক্ষ

চিকিৎসকের মতো তার

হিদায়াতের উপযোগী বক্তব্য পেশ

করতে হবে ।

(খ) বক্তব্য এমন সুন্দর উপদেশপূর্ণ

হতে হবে যাতে তা মানুষের

মনকে আকৃষ্ট করতে পারে এবং এর

মধ্যে তাদের কল্যাণ আছে বলে অনুভব

করে ।

(গ) যদি কারো সাথে তর্ক-বিতর্কের

প্রয়োজন হয়, তাহলে এমন

শালীনভাবে তা করতে হবে যাতে দাওয়াত

কবুল না করলেও তার বিবেক জাগ্রত

হয় ।

জামায়াতে ইসলামী নবীদের

উপরিউক্ত কর্মনীতি অনুযায়ীই

দাওয়াতের দায়িত্ব পালন করছে ।

জামায়াত কোন নেতার নেতৃত্ব,

কোন দলের আনুগত্য, কোন শ্রেণীর

প্রাধান্য বা কোন কোন গোষ্ঠীর

স্বার্থের পক্ষে মানুষকে ডাক দেয়

না । একমাত্র আল্লাহ্র দাসত্ব ও নবীর

আনুগত্য করা এবং আল্লাহ্র আইন ও

সৎলোকের শাসন কায়েম করার

দাওয়াত দেয় ।

---০০ জামায়াতে ইসলামীর

কর্মনীতি ।। অধ্যাপক গোলাম আযম

বিষয়: সাহিত্য

১৭১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File