জামাত শিবির : একট পর্যালোচনা
লিখেছেন লিখেছেন দিয়া বৃষ্টি ২৬ জুলাই, ২০১৪, ১২:০৯:৫৩ দুপুর
ইদানীং একশ্রেণীর লেজকাটা বুদ্ধিজীবী দেখা যায়। যারা নিজেদেরকে শিবিরের চরম হিতাকাংখী প্রমাণে ব্যাস্ত। এই শ্রেণীর লোকেরাই জামাত নেতাদের সন্তানদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখা ও বিদেশে উচ্চ শিক্ষার ব্যাপারে প্রশ্ন উত্থাপন করে বলছেন জামাত নেতারা নাকি নিজেদের স্বার্থে ফায়দা লোটার জন্য রাজনীতি করেন! এবং তাদের সন্তানদের রক্ত পিচ্ছল রাজপথে নামান না বা নিজেদের আদর্শ বিশ্বাস করেন না বলে কৌশলে তাদেরকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে রাখেন। বাস্তবতা হচ্ছে এটা তাদের নির্লজ্জ প্রোপাগান্ডা। শিবিরের শহীদের তালিকা পর্যালোচনা করলো দেখা যাবে জামতের অনেক নেতাদের সন্তান-নাতি-ভাগিনার নাম তালিকায় স্থান পেয়েছে। শীর্ষ নেতৃত্ব হতে যারা তাদের তাদের সন্তানদের বিদেশে পড়াশুনা করিয়েছন তাদের অধিকাংশ সংশ্লিষ্ট দেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারে আত্ম নিয়োগ করেছেন। অনেকেই বিনা মূল্যে লবিষ্টের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।সবচেয়ে বড়কথা হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচার হচ্ছে "নেতার ছেলে নেতা হয়" চাই তার যোগ্যতা থাক বা না থাক। যা রাজতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের শামিল। শীর্ষ নেতৃত্ব তাদের সন্তানদের দেশীয় রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার এটাই উদ্দেশ্য যে, অযোগ্যতা সত্বেও নেতার ছেলে বলেই নেতা এমনটা শিবিরের ক্ষেত্রে না হয় যেমন নাকি পীরের ছেলেই কেবলমাত্র পীর হয়। অথবা নেতার ছেলে বলে সংগঠনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। এটা অনেকটাই এরকম যে "খাল কাটবো না কুমির আসবে কই থেকে"! তার মানে এই নয় যে,জামাত নেতাদের সন্তানেরা ইসলামী আন্দোলন থেকে দূরে রয়েছেন। তবে মনে রাখবেন ব্যতিক্রম তো থাকবেই। আপনি হয়তো ফারুক মওদুদীর কথা। তাকে তার পিতা আবুল আলা মওদূদী রহঃ অবাধ্যতা ও উচ্ছৃংখলতার কারনে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছেন। ফারুক মওদূদীর ছোট ভাইয়ের বিবৃতিটি পড়ে দেখুন। এরকম ঘটনা নবী আঃ গনের সন্তানদের পক্ষ হতেও ঘটেছে। ইসলামের ইতিহাসে এটা নতুন কোন বিষয় না। এর দ্বারা কারো বুজুর্গীয়াত ও নষ্ট হয় না। কারো পাপের ফল অন্যে বহন করবে না-আল কোরআন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন