শিক্ষনীয় গল্প - ৫
লিখেছেন লিখেছেন ইঞ্জিনিয়ার মুবিন ১২ আগস্ট, ২০১৪, ০৭:৩৮:৫১ সন্ধ্যা
এক বিজ্ঞ আলেম ছিলেন। যার অনেক
ছাত্র ছিল, যখনই তার কাছে নতুন কোন
শিষ্য আসত তিনি তার পরীক্ষা নিতেন।
তিনি কিছু তোতা পাখি পালতেন।
যাদেরকে তিনি একটি কথা শিক্ষা দিয়েছিলেন,
কথাটি হল;
“শিকারি আয়েগা; দানা ডালেগা;
জাল বিছায়েগা; ফাসনা নেহি”।
অর্থাৎ শিকারি আসবে, দানা দিবে,
জাল পাতবে, ফেঁসে যেও না”। যখনই নতুন
কোন ছাত্র আসত তখনই তিনি তাকে কিছু
দানা আর একটি জাল দিয়ে বলতেন যাও
ঐ গাছের নিচ থেকে কিছু
পাখি ধরে নিয়ে আস। পাখিগুলো মানুষ
দেখামাত্রই গান গাইতে শুরু করত এই বলে,
“শিকারি আয়েগা; দানা ডালেগা;
জাল বিছায়েগা; ফাসনা নেহি”। তখন
বেশিরভাগ ছাত্ররাই ফিরে আসত এই
ভেবে যে, এত চালাক
পাখি ধরা যাবে না। কিন্তু যদি কোন
ছাত্র জাল পাতত আর দানা দিত
তবে দেখত যে, পাখিগুলো মুখে ঐ
কথা বলছে ঠিকই কিন্তু
দানা খেতে আসছে আর
জালে ফেঁসে যাচ্ছে। অর্থাৎ তাদের
মুখের কথা তাদের কোন কাজেই
আসছে না।
এই পাখিগুলো আসলে কি বলছে তাই
জানে না।
পাখিগুলো জানে না শিকারি কি জিনিস !
জাল কি জিনিস ! ফাসনা কি জিনিস !
তাই মুখে যতই গান গাক না কেন তাও
জালে ফেঁসে মৃত্যু ডেকে আনছে।
আমাদের অবস্থাও ঠিক যেন এই
তোতা পাখির মতই হয়ে গেছে ।
আমরা মুখে ‘লা~ ইলাহা ইল্লাল্লাহ’
বলে সাক্ষ্য দিচ্ছি, কিন্তু আমরা এর মর্ম
জানি না! আমরা সুদ-ঘুষ, পরনিন্দা, জিনা,
গীবদ করছি আর তোতা পাখির মতই আবার
কালেমা বলছি আর নিজেকে মুসলমান
হিসেবে দাবীও করছি! কাজেই
আমাদের এই অর্থহীন সাক্ষ্যদান
তোতাপাখির মতন, তাই
আমরা মুখে কালেমা জপার পরেও
শিকারির জালে ফেঁসে যাচ্ছি।
...
{গল্পটি ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন)
বিষয়: বিবিধ
১৪০১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমরা যারা আছি কালিমা পড়েছি কিন্তু এই কালিমার ইজ্জত সিংহভাগ মানুষই দিচ্ছিনা ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন