শিক্ষনীয় গল্প - ৪
লিখেছেন লিখেছেন ইঞ্জিনিয়ার মুবিন ১১ আগস্ট, ২০১৪, ১১:০২:১৩ রাত
এক মহিলার দুটি ছেলে ছিল।
একটি নিজের ছেলে আর
অপরটি সতীনের ছেলে। সে সতীনের
ছেলেটিকে সব সময়
কোলে করে রাখতো। কোন অবস্থায়ই
ছেলেটিকে কোলে থেকে নামাতো না।
এমনকি- কাঁধে নিয়েই সংসারের কাজ
কর্ম সব সমাধান করতো। পাশের
বাড়িতে বেড়াতে গেলে সতীনের
ছেলেটিকে কোলে নিয়ে আর
নিজের ছেলেটিকে হাত
ধরে হাটিয়ে নিয়ে যেতো। গ্রামের
মেয়েরা সকলে প্রশংশায় পঞ্চমুখ
হয়ে উঠলো। সবাই বলতে লাগলো,
"মেয়েটির মনে একটুও হিংসা নেই।"
"সতীনের ছেলেকে কোলে –
কাঁধে রেখে আর নিজের
ছেলেকে হাটিয়ে নেয়।"
"সতীনের ছেলেকে এতো আদর যত্ন
করতে আর কাউকে দেখা যায় না।"
"এরূপ সতী-সাধ্বী নারী আর হয় না।"
একদিন গ্রামের একটি মেয়েলোক
এসে গোপনে সহানুভূতি স্বরূপ বললো,
"বুবু! নিজের ছেলেকে অযত্ন –
অবহেলা করে সতীনের ছেলে এত আদর-
যত্ন করা ঠিক নয়। তাতে নিজেরই
ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেশী।"
মহিলাটি জবাবে বললো,
"না বুবু, এটা আমার নিজের ছেলের
প্রতি অবহেলা নয়। নিজের
ছেলেকে হাটিয়ে নিয়ে যাই যেন
তার পা শক্ত হয়
এবং স্বাবলম্বী হয়ে সমাজে শক্ত
হয়ে দাড়াতে পারে।
আর সতীনের ছেলেকে কোলে নেই
যেন সে কোন দিন হাটতে না পারে।
কোলে থাকতে থাকতে থাকতে অচল
এবং পুঙ্গ হয়ে যাবে সে কোন দিন
সমাজে মুখ তুলে দাড়াতে পারবেনা ।
এটা সতীনের ছেলের প্রতি আদর যত্ন
নয়। কিন্তু মানুষ না বুঝে আমার
প্রশংসা করছে তা আমি কী করতে পারি?"
(আল এফাযাতুল য়্যাওমিয়্যাহ –খন্ড ৫,
পৃষ্ঠা-৪৯)
...
যখন কেউ অতিরিক্ত ভাবাবেগ দেখায়,
কিংবা হটাত করে আদরযত্ন
বা তোষামোদি করতে থাকে, তখন
সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ
এগুলিই চাতুর্যতার লক্ষণ।
বিষয়: বিবিধ
১৫২৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন