আসেন, আমরা সবাই ব্লু/পর্ণ ফ্লিম দেখা শুরু করি
লিখেছেন লিখেছেন মুসলিমবাংলা ১৮ জুলাই, ২০১৪, ১১:১০:০৩ রাত
এই বাংলার আকাশ এখন মুলত ভারতীয় টিভি চ্যানেলের দখলে। বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে ভারতীয় সংস্কৃতির কুপ্রভাব। আমাদের দেশের পরিবারগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে তারা। আমাদের শিখাচ্ছে কিভাবে সংসারে আগুন লাগাতে হয়। পরিবার গুলো ভেঙে গিয়ে সমাজের সর্বস্তরে শুরু হয়েছে নৈতিক অধঃপতন। হুহুকরে বাড়ছে হিন্দি স্টাইলে অপরাধ আর বিকৃত যৌনাচার।
স্টার জলসায় সম্প্রচারিত নাটকগুলোর নামের সাথে কাজের কোনই মিল নেই। যেমন: নাটকের নাম 'মা'। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নায়ক-নায়িকার গোপন অনুভুতি আর সেক্সুয়াল কথাবার্তা। মায়ের কোন চিহ্ন পাওয়া যায় না, তাহলে 'মা' শব্দটির মর্মার্থ কোথায়?
এরপর রয়েছে টাপুর-টুপুর, বউ কথা কও, ইষ্টি কুটুম, বধূ কোন আলো লাগলো চোখে, বোঝেনা সে বোঝেনা ইত্যাদি। পরিবারের মধ্যে অশান্তি লাগানোর সকল মন্ত্রগুলো এই নাটকগুলোতে রয়েছে।
বাংলাদেশে স্টার জলসা, স্টার প্লাস, জি বাংলা সহ অন্যান্য ভারতীয় চ্যানেলে বাঙ্গালীরা বছরে প্রায় ১.৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে!!!
রবির আবেগময় সেই বিজ্ঞাপন 'ভাই দেহো, এই যে আমার নতুন জামা। নতুন হইছে না...। হতদরিদ্রতের ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে কত টাকা লাগেরে বুবু? একটা পদ্মা সেতু দিতে কত লাগেরে বুবু? খোলা আকাশের নিচে পাঠ্যদান!!.......কয়েকটা স্কুল মেরামত করতে কত টাকা লাগেরে বুবু???
স্টার জলসা শিক্ষা দিচ্ছে হিংসা, বিদ্ধেষ আর অহংকারের। শেখাচ্ছে একটা পরিবারের
যে কোন একজন ভীলেন থাকবেই। হোক সে বাবা অথবা মা, মাসী না হয় পিসি। শেখাচ্ছে মহিলাদের কুটনামি। শেখাচ্ছে কিভাবে বউ শ্বাশুড়ীকে পরাজিত করবে বা কিভাবে ননদ, জা, দেবর, শ্বশুর, স্বামী, নিজের গর্ভজাত ছেলে মেয়ে, কাজের লোকের সঙ্গে কুটনামী করতে হয়।
এরপর রয়েছে রগরগে সব দৃশ্য। যা দেখার পর আপনার জিভে পানি চলে আসে। আহা! কিভাবে শ্যালীকা দুলাভাইয়ের সঙ্গে, দেবর ভাবীর সঙ্গে, পুত্রবধু শ্বশুরের সঙ্গে, গৃহকর্তা কাজের লোকের সঙ্গে, গৃহকর্তী ডাইভারের সঙ্গে পরকীয়ার নামে অবাধ যৌনাচারে মেতে উঠেছে। একেকটা বাড়ী যেন বেশ্যালয়ে পরিনত করে ফেলছে।
স্টার জলসা আর জি-বাংলা দেখে দেখে কিশোর কিশোরীরা লেখা পড়া বাদ দিয়ে প্রেম করার জন্য উথাল পাথাল করছে। তরুন-তরুনীরা বিবাহ বহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্কে জড়াচ্ছে। আজকে এক প্রেমিক তো কালকে আরেক প্রেমিক। ছেলেরাও এসবের বাইরে নয়।
স্টার জলসার কারণে আমারা যা পেয়েছি:
* আমরা পেয়েছি ঐশীদের মত অপয়া মাতৃঘাতি কন্যা।
* পরকীয়ার বলি গনি মোল্লার বউ
* নাটোরের ৩ কিশোরীর মতো মেয়ে (যারা 'টাপুর টুপুর' নাটক
দেখে 'রাতুল মাস্টার' হবার প্রত্যয় নিয়ে ঘর ছেড়েছিল!)
* রেখার মত একটি মেয়ে ('টাপুর টুপুর' নাটক দেখতে বাধা দেওয়ায় আত্মহত্যা করেছে)
* হরেক রকম যৌন সম্পর্ক ( চলন্ত বাসে ধর্ষণ, শিশু ও বৃদ্ধাকে গণধর্ষণ)
* সিরাজের মত স্বামী। ('আঁচল' নাটক দেখাকে কেন্দ্র করে নিজের বউয়ের
মাথায় টিভি ভাঙ্গায় বউটা পটল তুলতে গেছে) ইত্যাদি ইত্যাদি..........
আমরা কি এই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি?
তাই বলবো এসব চ্যানেল দেখা বন্ধ করে দেন। স্টার জলসা-জি-বাংলা দেখা যদি বন্ধ করেতে না পারেন তবে পারিবারিকভাবেই ব্লু ফ্লিম দেখা শুরু করে দেন। তাতে অন্তত যৌনাচারেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
হে তরুন দল ..তোমরা কি পারো না তোমার পরিবারকে রুখতে। তোমরা তোমাদের গৃহকর্তাকে জানিয়ে দাও- স্টার জলসা, জি-বাংলা, স্টার প্লাস বন্ধ না হলে সবার সামনে ব্লু ফ্লিম দেখার দৃঢ় সিদ্ধান্তের কথা। সোজা আঙ্গুলে কাজ না হইলে আঙ্গুল একটু বাকাইতে হয়।
ভারতীয় সকল চ্যানেল দেখা বন্ধ করুন। ওদের সমাজ বলতে কিছু নেই। ওদের সমাজ নর্দমায় পরিনত হয়েছে। ভারতীয়দের কোন কিছুই আমাদের অনুসরন করার প্রয়োজন নেই।
বিষয়: বিবিধ
৩৯৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন