"ছেলে মেয়ে বিভেদ নাই, সবার জন্য বাস্তব ধর্মী শিক্ষা চাই। "

লিখেছেন লিখেছেন কালো ধ্রুবতারা ০৫ আগস্ট, ২০১৪, ০২:১০:৪৬ রাত

আমাদের দেশে কেন নিউটন কিংবা আইনস্টাইনের মত ব্যাক্তিত্ব খুজে পাওয়া যায় না ??

কেনোই বা আমরা শিক্ষা জীবন শেষ করেও আশানুরূপ চাকরি খুজে পাই না?

যখন বায়োলজি বা কেমেস্ট্রি থেকে অনার্স পাস করে ব্যাংকের হিসাব রক্ষকের কাজ করতে হয়, তখন কি একবারো মনে হয় না, যে এই চার বছরের শিক্ষাজীবন এর মূল্যায়ন শুধু একটা সার্টিফিকেট ছাড়া আর কিছুই না !

আমাদের সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেন । দেশ কে ডিজিটাল করার আগে তো দেশের মানুষ গুলোকে ডিজিটাল করতে হবে। আর সেই জন্য চাই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত শক্ত করা ।

আপনি জানেন কি, প্রতি বছর যে সকল ছেলেমেয়েরা HSC পাস করে, তাদের ১০ ভাগের এক ভাগও পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায় না ।

যেখানে মোট ৩-৪ হাজার আসনের জন্য ১ লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে । এই কয়েক হাজার বাদে বাকি দের মধ্যে কি আর কুনো মেধাবী নেই? সরকার নিশ্চয় এই ৩-৪ হাজার মানুষ নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন না !!

যারা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়গা না পায় তাদের জন্য দেশে ব্যাঙের ছাতার মত অসংখ্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে।

কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ব্যয়ভার বহন করা সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না । তাই সব শেষে গিয়ে ৫০ ভাগ ছাত্র-ছাত্রী কে জাতিয় বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি হতে হয় । সে খানেও নেই সব ধরনের সুযোগ সুবিধা। পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাব, সেশন জট, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এগুলো প্রায় সব জাতিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত সমস্যা। তাছারা খুব কম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ই আছে যেখানে ৫ বছরের কম সময় লাগে ।

শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে শিক্ষা জীবন শেষ হয়। কিন্তু এর পর শুরু হয় আসল যুদ্ধ । জীবিকার সন্ধানে বের হতে হয়। কিন্তু যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরী হয় না । কারন আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পাঠ্যপুস্তক নির্ভর । আমাদের শিক্ষার সাথে বাস্তুব জগতের খুব কমই মিল পাওয়া যায়। আমরা স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে যা পড়ি তার বেশিরভাগ ই পরবর্তী জীবনে অপ্রয়োজনীয় ।

এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় বিদ্যার কি আমাদের খুব ই দরকার ??

তাই আজ বলতে ইচ্ছা করছে, " গ্রন্থগত বিদ্যা আর পর হস্থে ধন,

নহে বিদ্যা নহে ধন, হলে প্রয়োজন। "

বিষয়: বিবিধ

১৩৭৭ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

251066
০৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৩:৪৮
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ভালো লাগলো
251103
০৫ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৯:৫৫
হতভাগা লিখেছেন : ''শ্রী কৃষ্ণ কীর্তন কাব্য কার লেখা ?

বা চর্যাপদের অন্যতম লেখক শররিপা কোথাকার লোক ছিলেন ? ''

এসব প্রশ্ন একজন ডাক্তার বা প্রকৌশলীর সরকারী চাকরীতে যোগদানের মানদন্ড কি রুপে হতে পারে ? এসব পড়ে তার কর্ম জীবনে কি লাভ হবে ?

251113
০৫ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:২৫
কালো ধ্রুবতারা লিখেছেন : ভাই ঠিক বলেছেন ।সরকারের উচিত বাস্তব ধর্মী এবং ব্যবহারিক শিক্ষার উপর বেশি গুরুত্ত দেয়া।
251308
০৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:৩১
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : Cook একটু হলেও সচেতনতাতো সৃষ্টি হবে লেখাটির কারনে ।
251743
০৭ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:২৬
কালো ধ্রুবতারা লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File