শি’আদের সম্পর্কেমথ্যাচারের নমুনা ও তার জবাব
লিখেছেন লিখেছেন শিআনে আলী আলাইহিস সালাম ১৯ আগস্ট, ২০১৪, ১২:৪০:২০ রাত
অত্যন্ত দুঃখজনক যে আমাদের সমাজে শি’আদের বিরদ্বে ভয়াবহ মিথ্যাচারের ছড়াছড়ি লক্ষনীয়,তাই আমি একজন শি’আ হিসেবে আমি আমার আকিদা আপনাদের কাছে বর্ণনা করবো যাতে আপনারা সত্যটা জানতে পারেন।
মনে রাখবেন- নিশ্চই অনুমানি ভিত্তিক সন্দেহ অনেক বড় গুনাহ।
প্রথম মিথ্যা-
এক. ইমামগণের গর্ভ ও জন্ম হয় অদ্ভুদ প্রক্রিয়ায়।
যেমন,
১. ইমাম যখন মায়ের গর্ভ থেকে বাইরে আসে, তখন তার হাত মাটিতে এবং মস্তিস্ক আকাশের দিকে উঠান থাকে।
২, ইমামগণের গর্ভ মায়ের জরায়ূতে নয়- পার্শ্বে কায়েম হয় এবং তারা মেয়েদের উরু দিয়ে ভূমিষ্ট হন।
ইহা একটা ভয়াকহ মিথ্যাচার,আমরা এরূপ আকিদায় বিশ্বাসী না।
দ্বিতীয় মিথ্যা-
ইমামগণের মর্তবা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সমান এবং অন্য সকল পয়গম্বরের উর্ধ্বে।
ইহাও মিথ্যা। রাসুলে খোদার মর্তবা সকল সৃষ্টির উপরে।ইমমিগন নবীর উম্মতের মধ্যে সেরা।
তৃতীয় মিথ্যা-
ইমামগণ যা ইচ্ছা হালাল অথবা হারাম করার ক্ষমতা রাখেন।
আল্লাহ ও রাসূল ছাড়া আর কেউ হালাল-হারাম করতে পারে না।
চতুর্থ মিথ্যি-
ইমামগণের প্রতি বছরের শবে কদরে আল্লাহর পক্ষ থেকে এক কিতাব নাযিল হয়, যা ফেরেশতা ও "রূহ" নিয়ে আসেন।
অদ্ভূত কথা বার্তা..............................!
পঞ্চম মিথ্যা-
ইমামগণ তাদের মৃত্যুর সময়ও জানেন এবং তাদের মৃত্যু তাদের ইচ্ছাধীন থাকে।
মিথ্যাবাদিদের লানত.......................!
ষষ্ট মিথ্যা-
ইমামগণের সামনেও মানুষের দিবারাত্রির আমল পেশ হয়।
ডাহা মিথ্যাচার.........................!
ক্রমান্বয়ে আরো মিথ্যা নিম্মরুপ-
ইমামগণ দুনিয়া ও আখেরাতের মালিক এবং তাঁরা যাকে ইচ্ছা দেন এবং ক্ষমা করেন।
ইমামগণ মানুষকে জান্নাতে ও দোযখে প্রেরণকারী।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ইন্তিকালের পর মাত্র ৫/৬ জন বাদে সকল সাহাবা ইসলাম থেকে খারিজ, মুরতাদ, কাফির হয়ে গিয়েছিলেন।
নামাজ ইচ্ছাকৃত ভাবে কাযা করলেও সমস্যা নেই।
মাটিতে সিজদাহ করা অনুচিত। তারা সিজদার জন্য রওযায়ে খাখ বা কারবালার মাটির টুকরা সাথে রাখে।
শী’আ দের সবগুলো শাখার সম্মিলিত বিশ্বাস কুরআন পরিবর্তন করা হয়েছে (নাউযুবিল্লাহ)। বর্তমান আকারে যে কোরআন মজিদ মুসলমানদের হাতে আছে , তা নির্ভেজাল কোরান নয় বরং তা হযরত উসমান(রাঃ) কর্তৃক সংকলিত কোরআন।তারা দাবি করে।রাসূলে কারীম(সাঃ)এর নিকট অবতীর্ণ হয়েছিলেন তার মধ্যে ১৭০০০(সতেরো হাজার) আয়াত ছিল। কিন্তু, বর্তমানে মুসলমানদের নিকট যে কোরআন শরীফ বিদ্যমান আছে , সে কোরআনের মধ্যে হযরত আয়শা(রাঃ) এর গণনানুযায়ী মাত্র ৬৬৬৬ (ছয় হাজার ছয়শত ছেষট্টি)টি আয়াত রয়েছে।
শী’আদের আরেকটি আকীদা হলো, আলী (রাঃ) সকল নবীদের থেকে উত্তম। আর যেহেতু নবী (সাঃ) সকল নবীদের থেকে উত্তম, তাই আলী (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে উত্তম।
রাসূল (সাঃ) একদিন যায়েদ ইবনে হারেসার ঘরে আগমণ করেন, আর তখন যায়েদের স্ত্রী যয়নাব গোসল করতে ছিলেন। পরিশেষে রাসূল (সাঃ) যয়নাবের গোসল করা পর্যবেক্ষণ করলেন। (নাউযুবিল্লাহ)
শী’আদের ইমাম জাফর সাদেক থেকে বর্ণিত, এক দিন আবু বকর ও উমর (রাঃ) উম্মে সালামার নিকট আসলেন। এবং উম্মে সালামাকে বললেন, আপনি রাসূল (সাঃ)এর পূর্বে অন্যজনের স্ত্রী ছিলেন। বলুন তো ? রাসূল (সাঃ) ঐ ব্যক্তির (আপনার পূর্বের স্বামীর) তুলনায় সহবাসের ক্ষেত্রে কেমন শক্তিশালী ছিলেন? তখন উম্মুল মু’মিন উম্মে সালামা জবাব দিলেন যে, তিনিও (রাসূল) সহবাসের ক্ষেত্রে অন্যান্য লোকদের মতই। এর শেষেই শী’আদের ইমাম জাফর সাদেক লেখেন যে, জিব্রাঈল বেহেস্ত থেকে একটি হারিয়া (কোন এক প্রকার খাবার বস্তু) আনেন। অতঃপর জনাবে রাসূলে খোদা এবং হযরত আলী, ফাতেমা, হাসান ও হুসাইনগণ তা বক্ষণ করেন। ফলে রাসূল (সাঃ) এর ৪০জনের যৌন বা সহবাসের শক্তি অর্জন হয়। এর পর অবস্থা এমন হয় যে, রাসূল ইচ্ছা করলে এক রাত্রেই সকল বিবিদের সঙ্গ দিতে পারতেন।
আগুনে সর্ব প্রথম প্রবেশকারী রাসূলে খোদা”। (নাউযুবিল্লাহ)
যখন আলে মুহাম্মাদ প্রতিষ্ঠিত হবে, তখন (নাউযুবিল্লাহ) আয়েশা সিদ্দীকাকে জীবিত করা হবে এবং তার উপর হদ জারী করা হবে।
কুরআনের রুহ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ফেরাউন, হামান, ক্বারুন এবং দ্বিতীয় খলিফা উমরের দীল বা অন্তর উদ্দেশ্য। (নাউযুবিল্লাহ)
উসমান (রাঃ) নিজের স্ত্রী উম্মে কুলসুম (রাঃ) মারা যাওয়ার পরেও তাঁর লাশের সাথে রাত্রি যাপন করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ)
“মসজিদের ইমাম হিসেবে সেই উত্তম যার মাথা বড় হবে এবং আলায়ে তানাসূল অর্থাত্ বিশেষ অঙ্গ ছোট হবে। আলায়ে তানাসুলের ফজিলত এ জন্যই বেশী কেননা সে অধিক যৌন সম্ভোগের উপযোগী হয়ে থাকে। আর এই উল্লেখিত বিষয়টা জনাবে উসমানের মাঝে মজুদ ছিল। তাই তো তিনি মৃত বিবিকেও (উম্মে কুলসুম) ক্ষমা করেননি, তার সাথেও যৌন সম্ভোগ করেছে”।(নাউযুবিল্লাহ)
ইমাম মাহদী এসে হযরত আবু বকর এবং উমরকে কবর থেকে তুলে শাস্তি দিবেন।
আল্লাহ তা’য়ালা আয়েশার ভিতরে আগমন করতেন। অতপর রাসূল (সাঃ) আয়েশার সাথে যৌন সম্ভোগ করতেন।
জিবরাইল আ. ভূল করে আলী রাযি. এর পরিবর্তে রাসূলুল্লাহ সাঃ-এর নিকট অহি নিয়ে এসেছিলো
..................................................................
এগুলো ছাড়াও আরো ভয়াবহ মিথ্যাচার প্রচলিত আছে, এবং সাথে অনেক বইয়ের রেফারেন্স দেওয়া যা মোটেও শি'আদের বই না।
আপনারা ধানমন্ডি-৪ নং এ ইরান কালচারাল সেন্টারে শি'আ আকিদার প্রকৃত তথ্য সংবলিত বই পাবেন।
দয়া করে সত্য না জেনে মিথ্যাচার করবেন না।
"আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।"
বিষয়: বিবিধ
১৩২০ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইয়াহুদী ও খৃষ্টান জায়োনিস্ট আন্দোলন খুব করে চাইছে শিয়া সুন্নীর মধ্যে একটা ফাইট লাগাতে - এটা এখন ওপেন সিক্রেট। তারা এই নিমিত্তে বাহরাইন তারপর লেবানন, তারপর সিরিয়া, তারপর আই এস এবং এখন পাকিস্থানকে টার্গেট করেছে। আল্লাহ চাইলে তা অবশ্যই হবে। তবে আপনি আমি যেন তার উছিলা না হই।
দয়া করে বিরোধটাকে এমন ভাবে বিস্তৃত করবেন না - যাতে গণমানুষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।
'যারা অফিশিয়ালী হজ্জ করা'র অনুমতি পাবে - গণমানুষের জন্য তারা হচ্ছে সামগ্রিকভাবে মুসলিম উম্মাহ তথা মুসলিম ভাই।
স্কলার বা ইমাম বা যারা আলেম তারা এসব বিষয় নিয়ে ডিসপিউট করবেন, আলাপ আলোচনা করবেন, একে অন্যের ভুল কিংবা শুদ্ধকে সার্টিফাই করবেন এবং প্রয়োজনীয় ফতোয়া দিবেন। গনমানুষ সে অনুযায়ী আমল করবে।
এখানে আহমদ মুসা ভাই হেদায়েতের যে প্রসংগটি আনলেন - অন্য আর একজন স্কলার হতে আমি এই পরামর্শটিও শুনেছি। যেখানে তিনি বলেছেন মুসলিম মুসলিমের জন্য অথবা মুমিন মুমিনের জন্য আয়না স্বরূপ - সো আমাদের কে একে অপরকে কোরান ও হাদীসের আলোকে শোধরাতে হবে বা শোধরাবার চেষ্টা করতে হবে।
অন্য আর এক আলেম একবার শিয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন - প্রত্যেক ট্রু মুসলিম এর উচিত কোরানের আলোকে শিয়া ভাইদের যে সকল ভুল ধারনা আছে - তা শোধরাবার জন্য কাজ করা - ঠিক যেমন প্রত্যেক মুসলিমের উচিত বিধর্মীর কাছে কিংবা নন প্রাকটিসিং মুসলিমের কাছে ধর্মের দাওয়াত পৌছে দেওয়া এবং তাদের কারেকশানের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার ও আমল করার তৌফিক দিন। ধন্যবাদ।
ভাইজান আবু বরক আর ওমরের সম্পর্কে কিছুই বললেন না যে?
মন্তব্য করতে লগইন করুন