গাজায় ইসরাইলের বর্বরতা এবং সৌদি রাজতন্ত্রের ভূমিকা
লিখেছেন লিখেছেন শিআনে আলী আলাইহিস সালাম ০৫ আগস্ট, ২০১৪, ১২:০০:৩২ রাত
আমরা যখন গাজায় নির্মম প্যালেস্টাইনি আরব-হত্যায় এককথায় একুশ শতকের বর্বর গণহত্যায় ইসরাইলের নিন্দায় মুখর, তখন এই বর্বরতার পেছনে যে আরব দেশটি রাজতন্ত্রের নেপথ্য সমর্থন ও সহযোগিতা কাজ করছে সেই সৌদি রাজতন্ত্রের সম্পর্কে সবাই নীরব।মধ্যপ্রাচ্যে আরব মুসলমানদের ভূখণ্ড দখল এবং তাদের ওপর বিভিন্ন ছুতোনাতায় ইসরাইলকে নৃশংস হামলা চালাতে আমেরিকা এবং ব্রিটেন অস্ত্র ও অর্থের সমর্থন তো জোগাচ্ছেই, কিন্তু মুখে প্যালেস্টইনিদের প্রতি সমর্থন ও সহানুভূতি জানিয়েও ইসলামের পবিত্র ভূমির হেফাজতকারী হওয়ার দাবিদার সৌদি আরবের রাজারা যে কাজটি করেছেন, তা হল নিজেদের মধ্যযুগীয় রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম দেশগুলোর ধ্বংস সাধনে ওয়াশিংটন, এমনকি তেল আবিবকে সহযোগিতা প্রদান।ইরানে বোমা হামলা চালানোর জন্য ইসরাইলের সঙ্গে এক হয়ে আমেরিকার ওপর চাপ দিয়েছিল সৌদি আরব। ইরান একটি শিয়া রাষ্ট্র। শিয়ারা মুসলমান। তা সত্ত্বেও সৌদি রাজাদের কাছে শিয়া মুসলমানের চেয়েও ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল পরম মিত্র। সৌদি রাজারা নিজেরা সুন্নি এবং শুধু সুন্নি নন, কট্টর ওয়াহাবি। এই ওয়াহাবি মতবাদের সঙ্গে মহানবীর (স.) ইসলাম ধর্মের প্রচুর পার্থক্য। তবু এই ওয়াহাবি মতবাদ অন্যান্য দেশে প্রচারের জন্য সৌদি রাজারা প্রচুর অস্ত্র বৃষ্টি করে হিংস্র জঙ্গি তৈরি করেছে। এই জঙ্গিরা নানা দেশে নাশকতামূলক কাজে লিপ্ত। বাংলাদেশে স্বাধীনতার শত্র“ এবং একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী জামায়াত সৌদি রাজাদের অর্থ ও সমর্থনপুষ্ট, বাংলাদেশে এই জামায়াতি সন্ত্রাস এবং মুসলমানের হাতে মুসলমান নিধনের নির্মম ইতিহাস মানুষের স্মৃতিপট থেকে এত শিগগিরই মুছে যায়নি।
এ কথা তো এখন অজানা নয় যে, সিরিয়ায় আসাদ সরকারকে উৎখাত করার জন্য সেখানকার বিদ্রোহীদের অস্ত্র ও অর্থ সাহায্য জুগিয়েছে সৌদি আরব। ইসরাইলের মোসাদ ও সৌদি গোয়েন্দারা একযোগে ইরানের ইসলামী প্রজাতন্ত্র ধ্বংস করার পরিকল্পনা তৈরিতে ব্যস্ত এবং ইরানে বোমা হামলার জন্য ওয়াশিংটনের ওপর একযোগে চাপ সৃষ্টি করেছিল। সৌদি আরব ও ইসরাইলের দাবি অনুযায়ী ওবামা প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে সার্বিক সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণে অগ্রসর না হওয়ায় ওয়াশিংটনের ওপর রিয়াদ ভয়ানক গোস্বা করেছিল বলেও পশ্চিমা কাগজগুলোতেই ফলাও করে খবর প্রকাশ করা হয়েছিল।
গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা বন্ধ করার ব্যাপারে আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তা, এমনকি জাতিসংঘের ভূমিকা বোধগম্য। পশ্চিমাশক্তি ইসরাইলের দোসর। কিন্তু এ বর্বরতা রোধে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর নিষ্ক্রিয় ভূমিকা লক্ষ্য করার মতো। সবাই ইসরাইলের মৌখিক নিন্দা করেই ক্ষান্ত রয়েছেন। কেউ কেউ নিজ দেশের সীমান্ত গাজায় শরণার্থীদের জন্য খুলে দিয়েছেন। কেউ কেউ গাজায় নেতানিয়াহুর বর্বরতা হিটলারের বর্বরতাকেও অতিক্রম করেছে বলে মন্তব্য করার সাহস দেখিয়েই ক্ষান্ত রয়েছেন। ইসরাইল গাজায় তার বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে।
একথা কি সঠিক নয় যে, আজ যদি সোভিয়েত ইউনিয়নের অস্তিত্ব থাকত তাহলে ইসরাইল আরব ভূখণ্ডে এই ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টিতে সাহস পেত না? আজ যদি ক্রুশ্চেভ বেঁচে থাকতেন, তাহলে তার এক ধমকেই নেতানিয়াহু গাজায় হামলা চালানো থেকে নিবৃত্ত হতেন। ১৯৫৬ সালে নাসেরের মিসরের ওপর একযোগে হামলা চালিয়েছিল ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং ইসরাইল। ক্রুশ্চভের এক ধমকেই তারা রাতারাতি ওই হামলা বন্ধ করেছিল। ব্রিটেনে তো এই হামলার জন্য টোরি এন্থনি ইডেনের মন্ত্রিসভার পতনই ঘটেছিল।
আজও বিশ্ববিবেক বেঁচে আছে। ইসরাইলের বর্বরতার বিরুদ্ধে তারা ইউরোপ-আমেরিকার শহরে-বন্দরেও প্রতিবাদের ঢেউ তুলেছে। কিন্তু তাদের কোনো নেতৃত্ব নেই। আজ বার্ট্রান্ড রাসেল বেঁচে নেই। থাকলে যিনি ভিয়েতনামে যুদ্ধাপরাধের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে গণআদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন, তিনি আজ একইভাবে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন গড়ে তুলতেন এবং তাদের বিচারের জন্য গণআদালত বসাতেন।
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামাকে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে। কেন দেয়া হয়েছে এ প্রশ্নটি এখন পশ্চিমা দেশগুলোরই কোনো কোনো মহলে উঠেছে। তাদের মতে, যুদ্ধ সম্প্রসারণ ও মিত্র দেশেও (পাকিস্তান) ড্রোন হামলা চালিয়ে নিরীহ নর-নারী-শিশু হত্যায় ওবামার রেকর্ড তার পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জুনিয়রের চেয়েও খারাপ। প্রেসিডেন্ট পদে বসতে না বসতেই তাকে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার প্রদান এই পুরস্কারটির অবমাননা ছাড়া আর কিছু নয়। বাংলাদেশেও ড. ইউনূসকে কেন শান্তির জন্য অর্ধ নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছিল তাও এক রহস্য।
গাজায় ইসরাইলের বর্বর গণহত্যায় যখন বিশ্ববিবেক পীড়িত, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা নির্লজ্জতার সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন। গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে এক ইসরাইলি সৈন্য হামাসদের হাতে ধরা পড়ে। তার নাম লেফটেন্যান্ট হাদার গোলডিন। তিনি ইসরাইলের দেশরক্ষামন্ত্রী মোশে ইয়ালুনের আত্মীয়। ইসরাইলি হামলায় গাজায় শত শত নারী-শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হচ্ছে সেজন্য ওবামার কণ্ঠে কোনো প্রতিবাদ নেই, তিনি একজন মাত্র ইসরাইলি সৈন্য হামাসের হাতে ধরা পড়ায় সঙ্গে সঙ্গে গর্জন করে তাকে অবিলম্বে বিনা শর্তে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। বলেছেন, নইলে যুদ্ধবিরতি ঘটবে না। একই কথা ইসরাইলের সমর নেতাদের কণ্ঠে। তারা বলেছেন, ওই এক ইসরাইলি সৈন্যের জন্য তারা গাজায় নিরীহ সিভিলিয়ান-হত্যা অব্যাহত রাখবেন। তারা তা রেখেছেনও। এখন জানা গেছে, অপহৃত গোলডিন আর বেঁচে নেই।
গাজার বর্তমান যুদ্ধের দৃশ্যপট একটু কল্পনা করা যাক। একদিকে প্যালেস্টাইনের মুক্তিকামী হামাস। তাদের হাতে বিমানশক্তি নেই। তাদের আকাশপথ সম্পূর্ণ অরক্ষিত। তাদের হাতে কিছু মিসাইল আছে। অন্য কোনো মারণাস্ত্র নেই। তাদের একমাত্র সহায়ক শক্তি ইরান। এই ইরানের ওপরও রয়েছে আমেরিকা ও ন্যাটোর সর্বাত্মক সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের প্রতিপক্ষ কোনো শক্তি নেই। সাদ্দামকে মিথ্যা অজুহাতে হত্যা করা হয়েছে। গাদ্দাফিকে অবৈধভাবে হত্যা করা হয়েছে। মিসরে ও ইরাকে মার্কিন মদদপুষ্ট সরকার ক্ষমতায়। একমাত্র শক্তিশালী দেশ সৌদি আরব। তার রাজতন্ত্রও আজ ইসরাইল ও জায়ানিস্টদের মিত্র।
আমেরিকা মুখে দাবি করে তারা মধ্যপ্রাচ্যে পিস ব্রোকার। কিন্তু তাদের ভূমিকা শান্তি ধ্বংস করার। গাজায় গণহত্যা অব্যাহত রাখা সত্ত্বেও ওবামা প্রশাসন ইসরাইলকে সর্বাধুনিক মারণাস্ত্র সরবরাহ করে চলেছে। অন্যদিকে শনিবার (২ আগস্ট) লন্ডনের ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার প্রথম পাতায় লিড নিউজ হচ্ছে Rivealed : Britains role in orming Israel (ফাঁস হল : ইসরাইলকে অস্ত্র জোগানোর ব্যাপারে ব্রিটেনের ভূমিকা)
খবরে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ নির্মিত অস্ত্র গাজা-হামলায় ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ইসরাইলের যুদ্ধরত ট্যাংকগুলো ব্রিটিশদের সরবরাহকৃত কমপোনেন্ট (উপাদান) দ্বারা তৈরি। পশ্চিমা বিগমিডিয়ার ভূমিকা আরও প্রতারণামূলক। একদিকে তারা গাজায় ইসরাইলের ধ্বংসযজ্ঞের ছবি ও খবর ছাপছে। অন্যদিকে বলা হচ্ছে, অপরের ভূখণ্ডে গিয়ে ইসরাইলের এই গণহত্যা তাদের আত্মরক্ষার যুদ্ধ।
গাজায় ইসরাইলের বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে সবচেয়ে সরব প্রতিবাদের কণ্ঠ শোনা গেছে বাংলাদেশের বর্তমান হাসিনা সরকারের কাছ থেকে। এই প্রতিবাদ আরও জোরালো হতো যদি ভারতও এই গণহত্যায় জোরালো প্রতিবাদ জানাত। কিন্তু এই ব্যাপারে মোদি সরকারের নীতি পূর্বের নেহেরু ও ইন্দিরা সরকারের নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত। মোদি সরকার ঘোষণা করেছে, গাজায় বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। এই নিরপেক্ষতার অর্থ পরোক্ষে ইসরাইলি বর্বরতাকে প্রশ্রয় দান। এই নিরপেক্ষতা নেহেরু-ইন্দিরার আমলে ছিল না। ভারতীয় রাজনীতির ঐতিহ্যই ছিল সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী সর্বপ্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং প্রয়োজনে তা প্রতিরোধ করা।
ইন্দোনেশিয়ায় স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ভারত তার আকাশসীমা দিয়ে ডাচ-বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। নেহেরু সরকার ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি; বরং নেহেরু আরব দেশগুলোর নির্ভরশীল বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। তিনি যখন একবার সৌদি আরবে সফরে যান, তখন রিয়াদে তাকে এই বলে সংবর্ধনা জানানো হয়েছিল যে, মারহাবা ইয়া রসুলে সালাম। (হে শান্তির দূত, তোমাকে অভিনন্দন।)
ভারতের এই ঐতিহ্যবাহী সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধিতা ও আধিপত্যবাদ-বিরোধিতায় পররাষ্ট্রনীতি থেকে মোদি সরকার সরে এসেছে। অবশ্য ইসরাইলের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের সূচনা বিজেপির গত বাজপেয়ি সরকারের আমল থেকে। কংগ্রেসের মনমোহন সরকার ক্ষমতায় এসে তা আর পাল্টায়নি। বিজেপির মোদি সরকার ইসরাইলের সঙ্গে সেই মৈত্রী আবার দৃঢ় করতে চলেছে। ভারতের মুসলমান জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটির মতো। সরকারের ইসরাইল সম্পর্কিত নীতি তাদের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি করবে। ইসরাইলের বর্বরতাকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে মোদি সরকার কতটা লাভবান হবে তা জানি না। আমার ধারণা, আখেরে তাদের পস্তাতে হবে।
অনেক খারাপ খবরের মধ্যে একটি ভালো খবর, ব্রিটেনের লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ড অত্যন্ত কঠোর ভাষায় গাজায় ইসরাইলের হামলার নিন্দা করেছেন এবং এই হামলার বিরুদ্ধে কথা না বলার জন্য প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের সমালোচনা করেছেন। এই যুদ্ধে ইসরাইলের সাময়িক জয় ঘটছে বটে, কিন্তু তা সাময়িক। নৈতিক জয় ঘটছে নির্যাতিত প্যালেস্টাইনি আরবদের। নাৎসি বর্বরতা একদিন যেমন ইহুদিদের অস্তিত্ব ধ্বংস করতে পারেনি, বরং তাদের একটি রাষ্ট্রের গোড়াপত্তনে সাহায্য জুগিয়েছে, তেমনি বর্তমানে ইসরাইলি বর্বরতাও প্যালেস্টাইনিদের অস্তিত্ব ধ্বংস করতে পারবে না, বরং একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় অনিবার্য করে তুলবে। যার রক্তাক্ত উদয় শুরু হয়েছে মাত্র। আরবদের এই অভ্যুদয় বর্তমানে শক্তিশালী এবং পশ্চিমা দেশগুলোর আদরের জামাই জায়োনিস্ট রাষ্ট্রটির জন্য খুব শুভ পরিণতি বহন করবে না।
বিষয়: রাজনীতি
১২১০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার এই বরকতময় লেখাটা পড়ার জন্য সবাইকে অনরোদ করছি । এই লেখা পড়রে দোজাহানের অশেষ নেকি হাসিল হবে ।
সম্মানিত ভাই ও দোস্ত !
সম্মানিত বোন ও খালাম্মা !
আমার হৃদয়ে অন্তস্হল হতে সালাম ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন ।
আমার লেখা যদি ভাল লাগে আমার জন্য আপনারা দুয়া করবেন । প্রচন্ড পড়াশোনা করে আমি লেখালেখি করে থাকি । শুধুমাত্র আপনাদের কাছে ইসলামের সত্যিকার মর্মবানীর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য ।
কিন্তু ইদানিং বিপথগামী মুসলিম আমাকে ক্রমাগত হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন যাতে আমি কোনক্রমেই নেট ব্যবহার না করি এবং মসজিদে যাতায়াত না করি ।
তাদের অনেকে আমাকে প্রকাশ্যেই হত্যার হুমকি দিয়েছেন এবং আমার বিয়ে পর্যন্ত ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য তারা হেন কাজ নেই করছেন না । । আমি অত্যন্ত ধৈর্যশীল হওয়ায় আমি তাদের সাথে বিনয়ী আচরণ করে যাচ্ছি এবং আমি তাদের সত্যিকারভাবে ইসলামের আদর্শকে ধারণ করার আহবান জানাচ্ছি ।
আর কিছু লোক এই ব্লগে আর ফেসবুকে আমার সম্পর্কে আজে বাজে কথা বলে যাচ্ছে । আর কুচ্ছিত ভাষায় মন্তব্য লিখে যাচ্ছেন । অথচ তারা এক সময় প্রচন্ড ভদ্র ও অমায়িকভাবেই এই ব্লগ সাইটে মন্তব্য লিখতেন । এই ব্যাপারে সবাইকে বিনয়ী ও নম্র হওয়ার আহবান জানাচ্ছি । অন্যথায় আল্লাহ আমাদের সবাইকে হাসরের মাঠে মুসলিম ভ্রাতৃত্ব বিনষ্ট করার জন্য পাকড়াও করবেন ।
সবাইকে আমার জন্য এবং আমার বিরোধী মুসলিম ভাই-বোনদের জন্য দুয়া করার জন্য অনুরোদ করছি ।
আমি চাই আপনাদের প্রেম,ভালবাসা,প্রীতি,শ্রদ্ধাঞ্জলি ও স্নেহ ।
আল্লাহই সব । বাকি সব মিথ্যা ।
ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবিন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন