মুসলমান এবং মুসাল্লাম এর মধ্যে পার্থক্য; প্রেক্ষাপটঃ ফিলিস্তিন।
লিখেছেন লিখেছেন শিআনে আলী আলাইহিস সালাম ২০ জুলাই, ২০১৪, ১২:৫৭:২৪ দুপুর
ইকুয়েডর (কাফির!!) তার রাষ্ট্রদূতকে তেলআবিব থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে। রাশিয়া(কাফির!!!) কঠোরভাবে হুমকি দিয়েছে ইজরায়েল কে। ভেনিজুয়েলা(কাফির!!!) সবসময় ই এ ব্যপারে প্রতিবাদি। আরো অনেক (কাফির!!) দেশ আছে ইজ্রায়েলের বিরুদ্ধে খোলামেলা প্রতিবাদি। এছাড়াও, বড় বড় প্রচুর কাফির(!) আছেন যারা সারাজীবন ইজরায়েলের বিরুদ্ধে লেখনী চালিয়েছেন, চালাচ্ছেন। অনেক কাফির(!) ডাক্তার স্বেচ্চায় এসেছেন গাজা'র আহত মুসলমান দের সেবা দিতে। আরো বহু উদাহরন আছে।
রাসুল(স) এর সময় নব মুসলিম দের বিপদ এড়ানোর জন্য কাফির(!) বাদসার নিকট আশ্রয়ে পাঠিয়েছিলেন এবং বাদসা ও আশ্রয় দিয়েছিলেন মুসলিম দের। ইরান থেকে অন্যায়ভাবে বিতারিত ইমাম খোমেনী কে যখন মধ্যপ্রাচ্চে কোত্থাও কেউ জায়গা দিচ্ছিলোনা তখন তৎকালীন কাফির(!) ফ্রান্স আশ্রয় দিয়েছিলো!
এবার মুসাল্লাম (হে রা কয় হে রা নাকি মুসলমান) দের কথায় আসি। আরব দের কথা তো বলে লাভ ই নেই। মুসাল্লাম দের অনেকের বর্তমান খলিফা(!) ভন্ড এরদোয়ান(তুর্কি) ১৪ বছর তুর্কির ক্ষমতায়, হে নাকি খিলাফত কে অফিশিয়াল রুপ দিবো!! নিজের দেশে ইজ্রায়েলি এবং ইজ্রায়েলে নিজের দেশের দূতাবাস দুধ কলায় মাখামাখি। বরং গতকাল তুর্কিতে ইজ্রায়েলি দুতাবাস এর সামনে বিক্ষোবকারিদের উপর পুলিশের হামলা হয়।
(আভিধানিক অর্থে)মুসলিম দেশ গুলোর মধ্যে ইরান ছাড়া কাউকে ই ফিলিস্তিনিদের এবসলিউট সাহায্যকারি হিসেবে পাইনি। (উপ্স!! মুসাল্লামদের নিকট আবার এই ইরান ও কাফির!)
আর সাধারন মুসাল্লামদের কথা তো মুখেই নেয়া যাবেনা!!! ভালো আর খারাপ কর্মের দ্বারা কাউকে ট্রীট করেন না উনারা। উনাদের কাছে ভালো আর খারাপের মাপকাঠি হচ্ছে, ধর্মীয় পরিচিতি। উদাহরনঃ ডেনিয়েল কিডম্যান, মুসলমানদের পক্ষে খারাপ দের বিপক্ষে কাজ করতে গিয়ে নিজেই খুন হয়েছেন খারাপের হাতে। মুসাল্লাম রা দাঁত কেলিয়ে পোস্ট দেবে "আহ যদি কলেমা টা পরতো!! এতো ভালো কাজ করেও জাহান্নামে যাবে"!! এবার আবদুল করিমঃ চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষন সবি করেছে লাইফ এ। এক কথায়, মানুষ এর পশ্চাদ দেশে প্রতিদিন বাঁশ দিয়েছে। সে মরে গেলে মুসাল্লামগনের দুয়াঃ " যাই কিছু করেছে মুসলমান তো! ইয়া আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করে জান্নাতে নিয়ে যাও"!
অর্থ্যাৎ মুসলিম হবার জন্য আর জান্নাতের জন্য মানবতা, ভালোবাসা, অন্যায়ের বিরোধিতা, ন্যায়ের সাথে থাকা, এগুলো মুখ্য নয়। মুখ্য হয়ে গেছে তার নাম!! ইমাম হুসাইন(আ) কে হত্যার আগে মুসাল্লামদের একজনের ভাষ্যঃ "হুসাইন কে জলদি হত্যা করতে হবে, কারন দেরি হলে যাতে আমাদের আসরের নামাজ ক্বাজা না হয়ে যায়"!!!! মুসলমান আর মুসাল্লাম এর মধ্যে পার্থক্য আছে ভাইয়া! হাদীস কে কুরআনের অক্সিলারি সহযোগী হিসেবে না নিয়ে কুরআনের উপরে জায়গা দেয়ার ফলেই আজ মুসাল্লাম, কাফির, আর মুসলমান কারা কারা সেটা বোঝা দায় হয়ে গেছে।)
"আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি সত্যগ্রন্থ, যা পূর্ববতী গ্রন্থ সমূহের সত্যায়নকারী এবং সেগুলোর বিষয়বস্তুর রক্ষণাবেক্ষণকারী। অতএব, আপনি তাদের পারস্পারিক ব্যাপারাদিতে আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করুন এবং আপনার কাছে যে সৎপথ এসেছে, তা ছেড়ে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। আমি তোমাদের প্রত্যেককে একটি আইন ও পথ দিয়েছি। যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে তোমাদের সবাইকে এক উম্মত করে দিতেন, কিন্তু এরূপ করেননি-যাতে তোমাদেরকে যে ধর্ম দিয়েছেন, তাতে তোমাদের পরীক্ষা নেন। অতএব, দৌড়ে কল্যাণকর বিষয়াদি অর্জন কর। তোমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। অতঃপর তিনি অবহিত করবেন সে বিষয়, যাতে তোমরা মতবিরোধ করতে। " [5:48]
বিষয়: বিবিধ
১০৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন