- আব্বু যুদ্ধে যাচ্ছি, বেঁচে থাকলে দেখা হবে...
লিখেছেন লিখেছেন দিশারি ০৬ আগস্ট, ২০১৪, ০৭:১৬:৫২ সন্ধ্যা
- ‘আব্বু যুদ্ধে যাচ্ছি, বেঁচে থাকলে দেখা হবে, নতুবা তোমাদের সঙ্গে বেহেশতে দেখা হবে।’- এই কথাটি চিরকুটে লিখে ঘর
থেকে বের হয়ে যান বিশ্বনাথের হামিদুর রহমান। গাজায় পৌঁছে অংশ নেন মানবতার মুক্তির পথ তথা জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ-এয়।
- যদিও আমাদের চোখে সেটি একটি চিরকুটই ছিল... কিন্তু সেটি ছিল আসলে এক তেজোদ্দিপ্ত মুমিনের খাঁটি ঈমানেরই বহিঃপ্রকাশ। তিনি তার কথা রেখেছেন... বুকের তাজা খুন ঢেলে দিয়ে শহীদ হয়েছেন, তবু বসে বসে ভাইদের রক্ত দেখে আপসোস করেন নি।
- শহীদ হামিদুরের পিতার নাম আবদুল হান্নান। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বসবাস করছেন যুক্তরাজ্যে। তার দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে হামিদুর রহমান ছিলেন তৃতীয়। তিনি ছোটকাল থেকেই ইসলামের আদেশ-নিষেধ মেনে চলতেন। আর এই ইসলামকে আঁকড়ে ধরেই বেড়ে উঠেছেন।
- পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, এবার গাজা উপত্যকায় যখন ইসরাইল হামলার প্রস্তুতি শুরু করেছিল তখনই বন্ধুদের সঙ্গে গাজা যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে হামিদুর রহমান। যুক্তরাজ্য থেকে ১০ জনের একটি টিম গাজা যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। আর ওই দলে নাম লেখান হামিদুর রহমান।
- রমজানের আগেই তিনি বন্ধুদের সঙ্গে গাজার পথে রওনা হন। যাওয়ার আগে পরিবারের অনুমতি পাওয়া যাবে না- এমন আশঙ্কায় তিনি পরিবারকে সরাসরি জানান নি। যাওয়ার আগে তার পিতা আবদুল হান্নানকে একটি চিরকুট লিখে গিয়েছিলেন।
- হামিদুর রহমানের চাচা আবদুল মনাফ বলেন, হামিদুর রহমান গাজা উপত্যকায় যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের হয়ে অংশ নেন। আর সশস্ত্রযুদ্ধে তিনি বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেন। একটি সম্মুখযুদ্ধে ইসরাইলি সৈন্যদের তোপের মুখে ছিলেন তারা। আর ঈদের আগের দিনের ওই যুদ্ধে শহীদ হন হামিদুর রহমান। আবদুল মনাফ আরো বলেন, -
- হামিদুর রহমান খুবই শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। প্রায় ৪ বছর আগে তার ভাই হান্নান পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেশে এসেছিল। তখন হামিদুর রহমানও তাদের সঙ্গে দেশে আসে
- আজ বড়ই আফসোস হচ্ছে নিজের জন্য...
বিষয়: বিবিধ
১৪৪৩ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ উনার শাহাদাত কবুল করে উনাকে শাহাদাতের উচ্চ মর্যাদা দান করুন ।আমীন !
হ্যাঁ আপু, এমনই হওয়ার কথা ছিল আমাদের ঈমান... কিন্তু কেন যেন আমরা ভুলতে বসেছি একে একে সবই।
মাবূদ, তুমি আমাদের ঈমানকে নতুন করে জাগরিত কর।।
তবে এভাবে করেই যদি জাগরিত হত আমাদের সকলের ঈমান...
যারা আল্লাহর পথে শহীদ হ্য তাদেরকে মৃত ভেবোনা, তারা ব্রং জীবিত, আল্লাহর নিকট রিযিকপ্রাপ্ত হ্য
মনে হচ্ছে আমার এ ভাইটার জন্য গর্বে আমার কান্না এসেছে।
এই ভাগ্যটা যদি আমার হত...
মনে হচ্ছে আমার এ ভাইটার জন্য গর্বে আমার কান্না এসেছে। হে আল্লাহ সকল মুসলমান ভাইকে তোমার পথে কবুল করো। আমিন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন