- হ্যাঁ মুসলিম, এই হল বন্ধুত্বের আসল পরিণাম...
লিখেছেন লিখেছেন দিশারি ২১ জুলাই, ২০১৪, ০৪:৪৮:২৮ রাত
- আমাদের দেহের কোন স্থানে যখন ক্ষুদ্র একটি বিষফোঁড়া জন্ম নেয়, তখন থেকেই আমরা এর ব্যাথা অনুভব করতে শুরু করি।
কিন্তু তৎক্ষণাৎ এর নিরাময়ের জন্য কোন আগ্রহ দেখাই না বলে, এটি ধীরে ধীরে বড় আকার ধারন করে; তারপর শুরু হয় ব্যাথার তীব্রতা।
অবস্থা যখন খারাপ হয়ে যায় আমরা ছুটে যাই ডাক্তারের কাছে, এরপর ডাক্তার অপারেশন করে ফোঁড়াটি কেটে বাদ দিয়ে দেন; আর আমরা ফিরে পাই সুস্থ্যতা।
কিন্তু যদি আমরা সর্বদা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকি, তাহলে কিন্তু এই বিষফোঁড়া জন্মও নিবে না আর ওপারেশনেরও প্রয়োজন হবে না...।।
- আজকের ইসরাইলও ঠিক মুসলিম বিশ্বের উপর এক ভয়াবহ প্রাণঘাতী বিষফোঁড়া...
এটি এমনিতেই আমাদের শরীরের উপর চেপে বসেনি। আমরাই ওকে আদর-যত্ন করে নিজের শরীরে জায়গা দিয়েছি।
- হিটলার যখন গণহারে ইহুদী হত্যা করছিলো, তখন আমাদেরই বেশি কষ্ট হয়েছিল; আমরাই বিশ্বকে বলেছিলাম-
ইহুদীদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে, ওদেরকে বাঁচতে দেয়া উচিত।
- আমাদের উদারতা এতখানিই বেড়ে গিয়েছিলো যে,
নিজের শরীর থেকে গোশত কেটে ওদের ক্ষত পুরিয়েছিলাম। তাও দিলাম আবার নিজ শরীরের সবচেয়ে দামী জায়গা থেকে সে গোশত...!!
- এতবড় উপকার আমরা যাদের করলাম... প্রতিদান তো তার বড়ই পাবো।
ওরাও শুরু করলো দেয়া। আস্তে আস্তে ওরা আমাদের মন জয় করা শুরু করলো। আমরাও নিতে থাকলাম ওদের দেয়া বিষ সমতুল্য লোভনীয় সব তোহফা। এক সময় তোহফার প্রতি লোভটাও গেলো অতিমাত্রায় বেড়ে... আমার প্রাণের দোস্ত সে বুঝলো, এখনই আমাকে ফেলে দিতে হবে মহা খাদে।
- দোস্ত আমার যখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলো... এবার কোথায় গেলো সে তোহফা আর কোথায় গেলো সে বন্ধুত্ব...? সে যেন আমাকে দেখেই নি কখনো? চিন্তেই পারলো না আমাকে...!!
- শুরু হল এক নতুন অধ্যায়। বন্ধুত্ব গিয়ে ঠেকলো চরম শত্রুতায়। আর আমাদেরও মুখ ঢেকে গেল মহা হতাশায়। কি হবে এবার...???
- শুরু হল যা হবার তাই। আমরা ওদের দিয়েছিলাম নিজ শরীরেরই অংশ। বিনিময়ে ওরা আমার সেই শরীরেই কেরোসিন দিল ঢেলে। না থেমে যায়নি... ওরা আগুনও লাগিয়ে দিলো তাতে। জ্বলতে শুরু করলো আমার এক একটি অঙ্গ। আমার সহ্যসীমা ছাড়িয়ে গেলো... চিৎকার করে উঠলাম ব্যাথায় ককিয়ে উঠে...।।
- নিয়ে আসলাম ওঝারুপী আরেক হায়েনাকে ডেকে। হায়...!!! এটাই ছিল বুঝি আমার ভাগ্যে ?
আমার পোড়া ঘায়ে মলম না লাগিয়ে লবণই ছিটিয়ে দিলো সে...।। সইতে না পেরে কেঁদে উঠলাম আর্তনাদ করে। শুরু করলাম দৌড়ানো এর দ্বারে ওর দ্বারে। হয়তো কোন সাহায্য পাবো বলে...
কিন্তু কেউই এগিয়ে এলো না সহায়তা করতে। সবাই তাড়িয়ে দিলো দূর দূর করে...।।
- হ্যাঁ, মুসলিম... এই হল বন্ধুত্বের আসল পরিণাম !!!
এখনো সময় আছে শরীরের মায়া না করে, বিষফোঁড়াটিকে কেটে ফেলে দাও দূরে...
নইলে যে একদিন তোমাকেই হবে মরতে...।।
বিষয়: বিবিধ
১৪৮১ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু যদি আমরা সর্বদা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকি, তাহলে কিন্তু এই বিষফোঁড়া জন্মও নিবে না আর ওপারেশনেরও প্রয়োজন হবে না... সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ
রসুল (সা) বলেন: কিয়ামত কায়িম হবে না যতক্ষন না মুসলমানরা ইহুদিদের সাথে যুদ্ধ করবে। তখন মুসলমানরা ইহুদিদেরকে হত্যা করবে। এমনকি যে কোন ইহুদি কোন গাছ বা পাথরের পেছনে লুকিয়ে থাকলে সে গাছ বা পাথর বলবে: হে মুসলিম! হে আল্লাহর বান্দাহ! এই যে ইহুদি আমার পিছনে লুকিয়ে আছে। আসো তাকে হত্যা করো। কিন্তু গারক্বাদ নামক গাছটি। সে তো তাদেরই গাছ। তাই সে তাদের ব্যাপারে মুসলমানদেরেকে কিছুই বলবে না। (বুখারী, হাদীস নাং-২৯২৬, মুসলিম, হাদীস নং-২৯২২,
মন্তব্য করতে লগইন করুন