ওহাবী/দেওবন্দী/খারেজী/তাবলিগী/সালাফী/জামাতি সম্পর্কে আমার কিছু কথা

লিখেছেন লিখেছেন সাদিক মাহমুদ ০২ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৯:২৬:২৮ সকাল

কুরআন শরীফ অনুসন্ধান করে ১৪ খানা আয়াত শরীফ পাওয়া গেছে, যে আয়াত শরীফগুলোতে বলা হয়েছে, মানুষ মাটি দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে।"

উক্ত আয়াত শরীফ সমূহের তাফসীরে শতশত তাফসীরের কিতাব অনুসন্ধান করে দেখা গেছে "মানুষ মাটির তৈরী" যাতীয় যত আয়াত শরীফ বর্নিত হয়েছে সবগুলোতেই শুধুমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে।

অথচ মুনাফিক ওহাবী দেওবন্দী গং সেই আয়াতগুলার তাফসীরে বিররায় বা, মনগড়া তাফসীর করে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মাটির মানুষ বলার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে ।

আর মনগড়া তাফসীর করা যে কত ভয়ানক সেটা হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে--

من قال في القران برأيه فليتبوء مقعده من النار

অর্থ: যে ব্যক্তি কুরআন শরীফের ব্যাখ্যায় মনগড়া কিছু বলে, সে যেন জাহান্নামে নিজ ঠিকানা বানিয়ে নেয়।"

দলীল-

√ তিরমীযি শরীফ-কিতাবুত তাফসীর-২য় খন্ড ১২৩ পৃষ্ঠা- ২৯৫১ নং হাদীস।

সূতরাং যারা মনগড়া তাফসীর করে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মাটির তৈরী মানুষ বলবে তারা নিঃসন্দেহে জাহান্নামী হবে ।

ইনশাআল্লাহ, আমি আপনাদের সামনে উক্ত ১৪ খানা আয়াত শরীফ এবং এর তাফসীর ধারাবাহিক ভাবে উল্লেখ করবো।

যেখান থেকে দিবালোকের মত প্রমাণ হবে, মাটি দ্বারা সৃষ্টি মানুষ বলতে শুধুমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে অন্য কাউকে নয়।

১ নং আয়াত শরীফ :

فانا خلقناكم من تراب ثم من نطفة ثم من علقة ثم من مضغة مخلقة و غير مخلقة لنبين لكم

অর্থ: (হে লোক সকল! তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দীহান হও, তবে ভেবে দেখ) আমি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি। এরপর বীর্য থেকে, এরপর জমাট রক্ত থেকে এরপর পূর্নাকৃতি বিশিষ্ট ও অপূর্নাকৃতি বিশিষ্ট গোশতপিন্ড থেকে। তোমাদের কাছে ব্যক্ত করার জন্য।"

[ সূরা হজ্জ ৫নং আয়াত শরীফ]

এবার আসুন আমরা উক্ত আয়াত শরীফের তাফসীরে কি বলা হয়েছে সেটা উল্লেখ করি।

→ফক্বীহুল আছর, প্রখ্যাত মুফাসসির, আল্লামা আবু লাইছ সামারকান্দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার তাফসীরের কিতাবে উল্লেখ করেন--

(فانا خلقناكم....) اي خلقنا اباكم الذي هم اصل البشر يعني ادم عليه السلام (مم تراب) (ثم) خلقنا ذريته (من نطفة) وهو المني

অর্থ: (আর নিঃসন্দেহে আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি) অর্থাৎ তোমাদের পিতা যিনি মানব জাতির মূল অর্থাৎ আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর উনার সন্তানদেরকে "নুতফা" অর্থাৎ বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছি।"

দলীল-

√ তাফসীরে সামারকান্দী ২য় খন্ড ৩৮০ পৃষ্ঠা।

→ ইমামুল মুফাসসিরীন, আল্লামা, ইমাম কুরতুবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত আয়াত শরীফের তাফসীরে বলেন-

(فانا خلقناكك من تراب) يعني ادم عليه السلام من تراب

অর্থ: (নিঃসন্দেহে আমি তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি) অর্থাৎ আমি হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি।"

দলীল-

√ তাফসীরে কুরতুবী ৬ষ্ঠ খন্ড ৬ পৃষ্ঠা।

→বিখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন, আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহম্মদ ইবনে ইব্রাহিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

(فانا خلقناكم من تراب) يعني اباكم ادم الذي هم اصل البشر (ثم من نطفة) يعني ذريته المي

অর্থ: (আমি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি) অর্থাৎ তোমাদের পিতা হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি। যিনি মানব জাতির মূল। (অতঃপর নুত্ফা থেকে) অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার সন্তানদের বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছি।"

দলীল-

√ তাফসীরে খাযেন ৩য় খন্ড ২৮১ পৃষ্ঠা।

→প্রখ্যাত মুফাসসির আল্লামা হুসাইন ইবনে মাসউদ আল ফাররা রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

(فانا خلقناكم) اي اباكم (من تراب ثم) خلقتم (من نطفة ثم من علقة) اي قطعة دم جامدة (ثم من مضغة) اي لحمة صغيرة قدر مايمضع

অর্থ: আমি তোমাদের অর্থাৎ তোমাদের পিতাকে (আদম আলাইহিস সালাম ) মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তোমাদের সৃষ্টি করেছি নুতফা ও ছোট গোশত পিন্ড থেকে।"

দলীল-

√ তাফসীরে বাগবী ৩য় খন্ড ২৮২ পৃষ্ঠা।

সূতরাং 'সূরা হজ্জের ৫ নং আয়াত শরীফ" এর তাফসীর শরীফ থেকে আমরা দেখতে পেলাম মানুষ মাটির সৃষ্টি তাদ্বারা মূলত হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে। শুধুমাত্র আদম আলাইহিস সালাম মাটি দ্বারা সৃষ্ট, আদম সন্তানগন মাটি থেকে সৃষ্টি নয়।

২ নং আয়াত শরীফ :

ان خلقكم من تراب ثم اذا انتم بشر تنتشرون

অর্থ: তাঁর ( আল্লাহ পাক) উনার নিদর্শনাবলীর মধ্যে এক নিদর্শন এই যে, তিনি মাটি থেকে তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। এখন তোমরা মানুষ পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছো।"

[ সূরা রুম ২০ নং আয়াত শরীফ]

উক্ত আয়াত শরীফের তাফসীরে মুফাসসিরানে কিরামগন কি বলেছেন সেটা এখন তুলে ধরছি--->

→ইমামুল মুফাসসিরীন, আল্লামা ইমাম বাগবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উল্লেখ করেন-

(ان خلقكم) اي اباكم (من تراب ثم اذا انتم بشر) اي ادم وذريته (تنتشرون)

অর্থ: তিনি তোমাদেরকে অর্থাৎ তোমাদের পিতাকে (আদম আলাইহিস সালাম ) সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে। অতঃপর তোমরা অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও উনার সন্তান জমীনে ছড়িয়ে পড়েছে।"

দলীল-

√ তাফসীরে বাগবী ৩য় খন্ড ৪৩১ পৃষ্ঠা।

→বিখ্যাত মুফাসসির, আল্লামা ইমাম কুরতুবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

قوله تعالي (ومن اياته ان خلق كم من تراب) اي من علامته رب بيته و وحدا نيته ان من تراب اي خلق اباكم منه

অর্থ: (আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সমূহের মধ্যে একটি নিদর্শন এই যে, আল্লাহ পাক তোমাদেরকে মাটির থেকে সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার রুবুবিয়্যাত ও অহদানিয়্যাত এর নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের পিতা (হযরত আদম আলাইহিস সালাম ) উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।"

দলীল-

√ তাফসীরে কুরতুবী

→ইমামুল হুদা, আল্লামা কাজী ছানাউল্লাহ পানিপথী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

ان خلقكم اي خلق اصلكم ادم من تراب

অর্থ: তিনি (আল্লাহ পাক) তোমাদেরকে অর্থাৎ তোমাদের আছল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।"

দলীল-

√ তাফসীরে মাজহারী ৭ম খন্ড ২২৯ পৃষ্ঠা।

→আল্লামা আবুল লাইছ সমরকান্দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

(ان خلقكم من تراب) يعني خلق ادم من تراب وانتم ولده (ثم اذا انتم) ذريته من بعده (بشر تنتشرون) يعني تبسطون

অর্থ: ( তিনি মাটি থেকে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর তোমরা হলে উনার সন্তান উনার পরে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছো।"

দলীল-

√ তাফসীরে সামারকান্দী ৩য় খন্ড ৯ পৃষ্ঠা।

→বিখ্যাত মুফাসসির, আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহম্মদ ইবনে ইব্রাহিম বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেন-

(ان خلقكم من تراب) اي خلق اصلكم وهو ادم من تراب -(ثم اذا انتم بشر تنتشرون) اي تبسطون في الارض

অর্থ: (তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ তোমাদের আছল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃরর তোমরা যমীনে ছড়িয়ে পড়েছ মানুষ হিসেবে।"

দলীল-

√ তাফসীরে খাযেন ৩য় খন্ড ৪৩১ পৃষ্ঠা।

সূতরাং, পবিত্র কুরআন শরীফের "সূরা রুম ২০ নং আয়াত শরীফের" তাফসীর দ্বারাও স্পষ্টভাবে প্রমাণ হয়ে গেল যে, মানুষ মাটির তৈরি বলতে হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে।

এছাড়া উক্ত দুই খানা আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে পৃথিবীর সকল তাফসীরের কিতাবে "মানুষ মাটির তৈরি" বলতে শুধুমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে বুঝানো হয়েছে ।

[পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় থাকুন]

ফেসবুকে আমি

বিষয়: বিবিধ

১৬৫০ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

290453
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৩২
জীবন রাহমান লিখেছেন : এরা কিভাবে ব্লগে লেখার সুযোগ পায়.........
290456
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৫৮
শেখের পোলা লিখেছেন : কুখ্যাতদের বদ দিলাম হে বিখ্যাত সাহেব, বড় দেরীতে মাদের উদ্ধারের দায়িত্ব নিলেন৷
একটু খানি খোলাসা করুন প্লিজ, আদম আঃ কে মাটিদিয়ে তৈরী করলেন, তার সন্তানদদের নুতফা থেকে, তার সন্তানদের, এক টুকরা গোশ্ত থেকে, তার সন্তানদের কি থেকে?
সুরা মু'মিনুন এর ১২,১৩,ও ১৪ আয়াত গুলি একটু ব্যাখ্যা করলে বড়ই কৃতজ্ঞ হতাম৷
290457
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:০১
কাহাফ লিখেছেন :
এতদ্বারা মুহতারাম ব্লগারবৃন্দের অবগতির জন্যে জানানো যেচ্ছে যে, 'সাদিক মাহমুদ' নামে মাজারী মুফতিয়ে আজম, জান্নাতের গ্যারান্টিওয়ালা সিকিউরিটি গার্ড, আরো বহুত বিষয়ে কামেল একব্যক্তির এই ব্লগে পয়দা হয়েছে!
সবাই তাজিমের সাথে বলুনঃ মাজারীরা মুর্দাবাদ!!
Clown Clown Puppy Dog Eyes Puppy Dog Eyes Time Out Time Out
290459
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:০৬
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : নূরের তৈরি ফেরেশতারা মাটির তৈরি আদমকে আল্লাহর নির্দেশে সেজদা করেছে। মর্যাদা তাহলে মাটির বেশি না কি নূরের বেশি?

মাটির তৈরি মানুষ আল্লাহর সকল সৃষ্টির চেয়ে মর্যাদাবান। অযথা ফিতনা সৃষ্টি করবেন না।
290461
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:১৮
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : শেখের পোলা লিখেছেন : কুখ্যাতদের বদ দিলাম হে বিখ্যাত সাহেব, বড় দেরীতে মাদের উদ্ধারের দায়িত্ব নিলেন৷
একটু খানি খোলাসা করুন প্লিজ, আদম আঃ কে মাটিদিয়ে তৈরী করলেন, তার সন্তানদদের নুতফা থেকে, তার সন্তানদের, এক টুকরা গোশ্ত থেকে, তার সন্তানদের কি থেকে?
সুরা মু'মিনুন এর ১২,১৩,ও ১৪ আয়াত গুলি একটু ব্যাখ্যা করলে বড়ই কৃতজ্ঞ হতাম৷
290462
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:১৮
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : নূরের তৈরি ফেরেশতারা মাটির তৈরি আদমকে আল্লাহর নির্দেশে সেজদা করেছে। মর্যাদা তাহলে মাটির বেশি না কি নূরের বেশি?

মাটির তৈরি মানুষ আল্লাহর সকল সৃষ্টির চেয়ে মর্যাদাবান। অযথা ফিতনা সৃষ্টি করবেন না।
290463
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:১৯
দ্য স্লেভ লিখেছেন : বিষয়টি এমন যে ব্যাখ্যাগত তারতম্য হতে পারে। কিন্তু বিষটা এ পর্যন্ত আসতে পারে যে-আদম(আঃ)মাটির তৈরী এবং তার সন্তানগণ নুতফা থেকে তৈরী।....সেক্ষেত্রে আদম(আঃ)এর পরবর্তী সকল মানুষ নুতফা দ্বারা তৈরী। ...এটা নিয়ে ক্যাচাল এইকানেই মিটমাট হওয়া উচিৎ।

কিন্তু আরেক ধাপ এগিয়ে যেন রসূল(সাঃ)কে নূরের তৈরী না বলা হয়। আল্লাহ তাকে কি দ্বারা তৈরী করেছেন বা আমাদেরকে কি দ্বারা তৈরী করেছেন,তার চাইতে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হল আমরা াাল্লাহর প্রেরিত নবীর অদেশ মেনে চলছি কিনা্।

আর আপনি শুরুতেই ব্যপক গালি দিলেন যেটা গ্রহনযোগ্য না।......আপনি মাজার পূজারী হয়ে থাকলে কিবলা পরিবর্তন করা জরুরী। নইলে শিরকে ডুবে স্রষ্টাকে পাবেন না। ...
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:২১
234179
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : এর উপর আর কথা হয় না। Angel
290464
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:২২
নাছির আলী লিখেছেন : আমি ব্লগ কর্তৃপখ্খের প্রতি দৃষ্টি আর্কশন করছি এই ধরনের কুলাংগাররা ব্লগের পরিবেশ নষ্ট করছে । ব্লগবাসি গন এই ধরনের জাহান্নামি ঠিকাদার থেকে সর্তক থাকবেন।
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩৮
234181
কাহাফ লিখেছেন :
সহমত!!!Applause Applause
290465
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:২৩
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : আপনি মাজারপূজারী ফখরুল এর মাল্টিনিক এটি বুঝতে ব্লগারদের মোটেও কষ্ট হয় না। গালাগালি আর ফিতনা এড়িয়ে ভাল কিছু লিখুন।
১০
290485
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:১৪
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : রা
১১
290490
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২৬
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : রাসুল সাঃ মাটির তৈরী হলে কি আর নূরের তৈরী হলে কি? তাঁর কি সম্মান কমে যাবে?
যতসব আজাইরা ক্যাচাল!
আর মাটি আর নূর নিয়ে গবেষনা করলে কি কোন ফায়েদা আছে?
তবে তাদের ফায়েদা আছে, যারা আপনাদেরকে এ পথে নামিয়েছে। হয়তোবা এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছে কাফেররা।
একবার আপনার মতো একজনকে পাইছিলাম তিনি বলতেন, রাসুল আর আল্লাহ একই জিনিস...নাউজুবিল্লাহ। তিনিও সবাইকে কাফের বলতেন।
ভাই, দোহাই লাগে দেওয়ানবাগীদের সঙ্গ ছাড়ুন...শিরক থেকে বাঁচুন। শিরকের ছিটেফোটা নিয়েও জান্নাতে যাওয়া যাবেনা এটা শতভাগ সত্য।
১২
290494
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩২
ছালসাবিল লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
১৩
290497
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৫০
সাদিক মাহমুদ লিখেছেন : হক কতা তিতা হয়
১৪
290504
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : যুক্তিপূর্ণ লেখা। ধন্যবাদ
১৫
290510
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:০২
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : কোথা থেকে গাঞ্জা খেয়ে এসেছেন? আপনাদেরকে গাঞ্জাতেই সভা পায়।
১৬
290695
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৫
বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ লিখেছেন : ব্লগার সাদিক মাহমুদ । আপনার ব্লগ শরীফে Happy প্রতিটা ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় শরীফ আর মুবারক কথাটার উল্লেখই বলে দেয়, আপনি ব্রেরলবী সম্প্রদায়ের লোক । আপনি তো জীবনে অনেক তাফসীরই পড়েছেন । সে বারের মত আপনাকে দুইটা তাফসীর কিতাবে নাম বলি পড়বেন , ইনশাআল্লাহ । ইনশাআল্লাহ আপনার ভুলও ভাঙ্গবে ।
১। তাফসীর ইবনে তাবারি ।
২। তাফসীর ইবনে কাসির ।

প্রাচীন দুটা তাফসীর গ্রন্থ এর নাম দিলাম । আল্লাহ আপনাকে হেদায়াত দান করুক,আমিন ।
১৭
290790
০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:৫৭
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : উনি হলে কাইয়্যুমুজ্জামান (জামানার রক্ষক) যেটা আল্লাহর লকব সহ অসংখ্য লক্ববধারী কুখ্যাত ভন্ড পীর রাজারবাগের মুরিদ।
১৮
290794
০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:০২
১৯
381119
০৪ জানুয়ারি ২০১৭ রাত ০১:১০
মুহাম্মদ নূরুল্লাহ তারীফ লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ ওয়া সাল্লাম স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পিতার ঔরশে, মায়ের গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছেন। আর পৃথিবীর প্রথম মানুষ, মানব জাতির পিতা আদম আলাইহিস সালামকে আল্লাহ মাটি দিয়ে তৈরী করেছেন বলে কুরআনে কারীমে উল্লেখ আছে। আল্লাহ বলেন: "হে লোকসকল! যদি তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দিগ্ধ হও, তবে (ভেবে দেখ-) আমি তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছি। এরপর বীর্য থেকে, এরপর জমাট রক্ত থেকে, এরপর পূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট ও অপূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট মাংসপিন্ড থেকে, তোমাদের কাছে ব্যক্ত করার জন্যে। আর আমি এক নির্দিষ্ট কালের জন্যে মাতৃগর্ভে যা ইচ্ছা রেখে দেই, এরপর আমি তোমাদেরকে শিশু অবস্থায় বের করি; তারপর যাতে তোমরা যৌবনে পদার্পণ কর। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুমুখে পতিত হয় এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে নিষ্কর্মা বয়স পর্যন্ত পৌছানো হয়, যাতে সে জানার পর জ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে সজ্ঞান থাকে না।"[সূরা হাজ্জ, আয়াত:৫] এ আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, আমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছেন। আমাদের মধ্যে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও অর্ন্তভুক্ত। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে- আমাদের আদি পিতা আদম আলাইহিস সালামকে মাটি থেকে থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। যেমনটি তাফসীরে জালালাইনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ আয়াতে মানুষের সৃষ্টি প্রক্রিয়া ও এর ধাপগুলো সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। পক্ষান্তরে, সূরা মায়িদাতে এসেছে- "হে আহলে-কিতাবগণ! তোমাদের কাছে আমার রাসূল আগমন করেছেন! কিতাবের যেসব বিষয় তোমরা গোপন করতে, তিনি তার মধ্য থেকে অনেক বিষয় প্রকাশ করেন এবং অনেক বিষয় মার্জনা করেন। তোমাদের কাছে একটি উজ্জল জ্যোতি (নূর) এসেছে এবং একটি সমুজ্জল গ্রন্থ।"[সূরা মায়িদা, আয়াত: ১৫] তাফসীরে জালালাইনে এসেছে- এই আয়াতে নূর দ্বারা উদ্দেশ্য নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাহলে একই ব্যক্তিকে মাটি দ্বারা ও নূর দ্বারা কি সৃষ্টি করা সম্ভব?! আয়াতদুটির দিকে গভীরভাবে মনোযোগ দিলে সে পার্থক্যও খুব সহজে বুঝে আসে। প্রথম আয়াতে মানবজাতির সৃষ্টি প্রক্রিয়া বিবৃত করা হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের নবীও রয়েছেন। আর দ্বিতীয় আয়াতে নবীর গুণগত দিকটি তুলে ধরা হয়েছে যে, তিনি যেন আলোকবর্তিকা যে আলোকবর্তিকা মানুষকে আধারে দিক নির্দেশনা প্রদান করে। যেহেতু দ্বিতীয় আয়াতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সৃষ্টিপ্রক্রিয়া বর্ণনা করা হয়নি; বরং নবী হিসেবে তাঁর দায়িত্বের কথাই বর্ণনা করা হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সৃষ্টি প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে যেমনটি পূর্বেও উল্লেখ করা হয়েছে। সে প্রসঙ্গে কুরআনে এসেছে- "বলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে।"[সূরা কাহাফ, আয়াত: ১১০] আশা করি বিষয়টি আপনার কাছে পরিস্কার হয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক জ্ঞান অর্জন করার তাওফিক দিন। আমীন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File