ইসলাম নিয়ে কে কি পড়ছেন? আপনার জীবনের শ্রেষ্ট ইসলামী রিসোর্সগুলোর সাজেশন চাচ্ছি
লিখেছেন লিখেছেন বুদ্ধিবৃত্তিক সঞ্চারণ ২৪ আগস্ট, ২০১৪, ০৮:৩৮:২৪ সকাল
বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
রাসূল (সা) বলতেন দোয়ায় – হে আল্লাহ আমাকে উপকারী ইলম দিন।
এই জ্ঞানের একটি উদ্দেশ্য হল ‘ইবাদাত সঠিকভাবে করা’। একারণেই দেখবেন রাসূল সা একজন ব্যক্তিকে তিনবার নতুন করে সালাত পড়িয়েছেন। কারণ তাঁর জানা ছিলনা সালাত কিভাবে পড়বেন। রাসুল সা তাঁকে শিখিয়ে দিলেন। তাই ইসলামী ইবাদাতে জ্ঞান মূখ্য একটি বিষয়।
তাছাড়া মানুষ মারা গেলে তাঁর তিনটি আমল চলতে থাকে সাদাকায়ে জারিয়া হিসেবে তাঁর মাঝে ‘জ্ঞান’ এমন একটি আমাল যাকে মুহাদ্দিসরা তিনটা দিক ই কাভার করে বলেছেন।
ইসলামী আমাল পড়াশুনা ছাড়া করেছি বলে মনে হয় না। তাই বিদয়ায়তের ছোয়া, সুন্নাহ বহির্ভূত আমাল ছুতে পারে নি ইন শাআ আল্লাহ যা আমাল কবুলের উপায় –কারণ সুন্নাহর আমাল অর্থাৎ যেগুলো আল্লাহ রাসূল সা কে দিয়েছেন সেগুলো ছাড়া কবুল হওয়ার তো উপায় নাই। কারণ সেটাই ওহী।
তাই আসুন আমরা পারস্পারিক ভালো রিসোর্সগুলো শেয়ার করি এবং বর্তমানে যা পড়ছি বা দেখছি তাও দেই যাতে অন্যরা উপকৃত হয় এবং সাদাকায়ে জারিয়ার সুযোগটা নেই।
আমার নুমান আলী খানের প্রাথমিক লেকচার দেখা শেষ – এখন তাফসীর শুনতেছি ও অন্যান্নগুলো দেখতেছি – অসাধারণ, অসাধারণ – আল্লাহর জ্ঞান অপরিসীম? – কখনই বুঝতে পারেন নি? এত হিকমাহপূর্ণ ? কিন্তু বুঝতে পারেন নি?, একজন উমর কিভাবে কোরআনের স্পর্শে এত বড় বীর হল কিভাবে? – একটি কুরান থেকেই এগুল এসেছে। কেউ যদি বর্তমান বিশ্বে কোরআন থেকে সর্বাপেক্ষা চমৎকার কিছু নিতে চায় সে যেন উস্তাদ নুমান আলী খান এর লেকচারগুলো দেখে ---আমার সমস্ত জীবনে এই কয়েকদিনের প্রভাব যেন সারা জীবনের চাইতেও বেশি। একজন মানুষ এই কোরাআনের প্রজ্ঞা দেখলে মাথা হ্যাং না হয়ে পারে না, একজন মানুষের পক্ষে এগুলো এপ্রেশিয়েট না করে পারেনা, কোরআন একজনের হৃদয়ে প্রবেশ না করে পারে না, জাস্ট অসাধাণ, অসাধারণ। এখন বুঝতে পারি কিভাবে হাজার হাজার মানুষ তাঁর লেকচারের অপেক্ষায় থাকে কেন? ফানি হিসেবেও যেমন বিখ্যাত , সেই সাথে জ্ঞানের পরিপক্কতায়ও বিশেষজ্ঞ। আলহামদুলিল্লাহ।
কোরআনে ভাষাতাত্ত্বিক মুজিজার উপর একটি লেকচার, ৭০ জন মুসলিম হওয়া , একজন নুমান আলী খান এবং তাঁর অসামান্য অবদান
এছাড়া বাংলা ভাষায় কোরআনের উপর এত ভালো আলোচনা আমি কোথাও পাই নি। বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে এমন বিস্তৃত ও বিভিন্ন বিষ্যাদী থেকে এত গভীর ও জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট হতে পারে কল্পনাও করতে পারি নি। ২০০ শত পেইজের মত পড়েছি কিন্তু আকর্ষণ কমাতে পারেনি বইটি। বিশেষত যে সব বিখ্যাত রিসর্স থেকে রেফারেন্স নেওয়া হয়েছে সেগুলোকে আবার আমাদের বাংলা ভাষা-ভাষীদের জন্য জীবন্ত করে তুলা হয়েছে।
কোরআনের কথাঃ আল-কোরআনের উপর বাংলা ভাষায় অসাধারণ আলোচনা; আধুনিক, প্রাসঙ্গিক, যৌক্তিক, যুক্তিখন্ডন, যুগোপযোগী, গভীর ও পূর্ণ কোরআনেই মুজিজার অসংখ্য দৃষ্টান্ত
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/7762/alsabanow13/48613#.U_tTv6PA_Mc
আর পড়তেছি ‘রিয়াদুস সালেহীন’ । রিয়াদুস সালেহীন যে কোন মানুষকে জান্নাতের উপযোগী করে তুলতে পারে। মানুষের জীবনকে আমালের দ্বারা বাস্তবিক জীবনে জান্নাতী হওয়ার বৈশিষ্ট এনে দিতে পারে। একটি বই, একটি জীবনকে সাজিয়ে গড়তে পারে জান্নাতী বৈশিষ্ট দিয়ে।
আপনাদের সাজেশনগুলো দিবেন প্লিজ- আমাদেরকে সহায়তা ভালো রিসোর্সগুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ...
জাযাকাল্লাহ সবাইকে আগেই।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৯ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এটার এত গুরুত্ব যে - চল্লিশটা পার্ট কে চল্লিশদিনে খতম করা প্রচলিত আছে- তাও মুখস্ত প্রায় হিসেবে। অসাধারণ বই।
দ্বিতীয়টা দুই খন্ড পড়েছিলাম - অনেক ভালো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন