পোস্ট করার আগে একবার ভাবা উচিৎ নয় কি এগুলো ?
লিখেছেন লিখেছেন বুদ্ধিবৃত্তিক সঞ্চারণ ২৩ আগস্ট, ২০১৪, ০৮:৪৮:৩১ রাত
“চোখও যেনা করে, তার যেনা হল দৃষ্টি।” - সুতরাং মন্দ জিনিস পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।
হাসান বসরী রহ. বলেন :
“যে ব্যক্তি জান্নাতের আশা করে না, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না এবং যে ব্যক্তি জাহান্নাম ভয় করে না, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে না।”– সুতরাং পোস্ট দেওয়ার আগে নিয়তের পরিশুদ্ধতা ঠিক করে নিন...বেশি ভিউ, লাইক, প্রশংসা নাকি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দিচ্ছেন । সুন্দর গল্প লেখে বেশি লাইক/ভিউ বা প্রশংসা পাওয়ার চাইতে মানুষের উপকারে আসে এবং সাদাকায়ে জারিয়া আসে এরকম কিছু দেওয়াটাই কি ভালো নয়? এক্ষেত্রে গল্প ভালো হবে নাকি বর্তমানের প্রেক্ষাপটে কিছু দিলে ভালো হয়।
‘তোমরা ধাবিত হও স্বীয় প্রতিপালকের ক্ষমার দিকে এবং সেই জান্নাতের দিকে, যার বিস্তৃতি আস্মান ও যমীনের ন্যায়, যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মুত্তাকীদের জন্য’ (আলে ইমরান: ১৩৩) –মুত্তাকিরা মন্দ ব্যবহারকারী নয়, কমেন্টে তারা বাজে ব্যবহার করে না, তাদের নিয়তের পরিশুদ্ধতাই তাদের অনলাইনে রাখে আবার জাহান্নামের ভয়াভহতাই তাদেরকে অনলাইনের পাপাচার থেকে বিরত রাখে...আমাদের পাপের সাথে সম্পৃক্ত করে এরকম সব থেকে বিরত থাকতে হবে(মুত্তাকি)।
সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে যা কিছু তোমাদের মন চায় এবং তোমাদের জন্য রয়েছে যা তোমরা ফরমায়েশ কর’ (হা-মীম আস্ সাজদা: ৩১)। - সেই চাওয়া কিন্তু দুনিয়ার পোস্টে লাইক বা ভিউ এর প্রত্যাশা এর ক্ষেত্রে নিয়তের অপরিশুদ্ধতার বিপরীত। সুতরাং কমেন্ট বা পোস্ট করার একটু আগেও কি ভাববেন কার সন্তুষ্টি কাম্য? – জনপ্রিয়তা নাকি আল্লাহ?
সুতরাং আমাদের সব কর্মকে ভালোর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই কি উচিৎ নয়? সর্বাজ্ঞে নিয়তের বিশুদ্ধতা, জ্ঞানের স্তর ও আমালের সঠিক দিক।
তাদেরকে ডাক দিয়ে বলা হবে, এই সেই জান্নাত যা তোমরা তোমাদের কৃতকর্মের কারণে উত্তরাধিকারস্বরূপ প্রাপ্ত হয়েছ’[সূরা আল আরাফ:৪৩] (মুসলিম)।
ভাববেন কেন? - আপনার সমস্ত জীবনের পুজি একটা পোস্ট, শেয়ার, কমেন্ট, কথা, আচারেই থাকতে পারে -
“বান্দা অনেক সময় এমন কথা বলে যাতে সে গুরুত্ব দেয় না অথচ সেই কথা আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করে। ফলে আল্লাহ্ তা‘আলা এর দ্বারা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। পক্ষান্তরে, বান্দা অনেক সময় এমন কথাও বলে যাতে সে গুরুত্ব দেয় না অথচ সেই কথা আল্লাহ্কে অসন্তু করে। ফলে সেই কথাই তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে।” [বুখারী; অধ্যায় : ৮, খণ্ড : ৭৬, হাদীস : ৪৮৫]
সুতরাং নিয়তের বিশুদ্ধতার সাথে এগুলো একটিবার ভাবার অবকাশ হবে কি একটু শান্তভাবে? - এটা আপনার সারা জীবনের জন্যই মনে করুন না ?
বিষয়: বিবিধ
১১৬৫ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকাল্লাহ খাইরান ...
“বান্দা অনেক সময় এমন কথা বলে যাতে সে গুরুত্ব দেয় না অথচ সেই কথা আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করে। ফলে আল্লাহ্ তা‘আলা এর দ্বারা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন।
পক্ষান্তরে, বান্দা অনেক সময় এমন কথাও বলে যাতে সে গুরুত্ব দেয় না অথচ সেই কথা আল্লাহ্কে অসন্তু করে। ফলে সেই কথাই তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে।”
[বুখারী; অধ্যায় : ৮, খণ্ড : ৭৬, হাদীস : ৪৮৫]
জাযাকাল্লাহ খইর
মন্তব্য করতে লগইন করুন