যে মুসলিম সর্ব প্রথম জাহান্নামে যাবে, আমরা কি পেরেছি তা থেকে মুক্ত হতে? অনলাইনে জান্নাত নাকি জনপ্রিয়তা?
লিখেছেন লিখেছেন বুদ্ধিবৃত্তিক সঞ্চারণ ২০ আগস্ট, ২০১৪, ১২:৪২:০৭ দুপুর
বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
আমাদের দৈনন্দিন কাজের মাঝে আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হয় আমাদের ইচ্ছা-পছন্দ ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। কখনও বা আমাদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে আমরা চলি আবার কখনও আমাদের ইচ্ছাকে অন্য কিছু পরিচালিত করে। এ ইচ্ছাগুলো আমাদের সাইকোলজিকে নাড়া দেয়, নাড়া দেয় আমাদের কর্মের তৎপরতাও। বিনিময়ে আমাদের জীবনের শ্রেষ্ট সময় হতে পারে নিকৃষ্ট সময়ের অন্তর্ভূক্ত, হতে পারে এই থেকে আমাদের ধ্বংসের শুরু। এ ধংস আমাদের সামান্য কিছুর বিনিময়ে এসেছে, যা আমরা ইচ্ছা করলেই ছেড়ে দিতে পারতাম। কিন্তু আমাদের মনের ইচ্ছাকেই আমরা প্রাধান্য দিয়েছি। এই “ইচ্ছার দাস” ই আমাদেরকে ধংস করে দিয়েছে, আমাদেরকে বিপথে নিয়ে গিয়েছে।
আপনি জানেন কি একজন মুসলিম সর্বপ্রথম জাহান্নামে যাবে...একজন মুসলিম – বিশ্বাস করতে পারন?
এটা কেন আমাদের জানালেন রাসুল (সা)? যাতে আমরা শিক্ষা নেই। কিন্তু যারা শিক্ষা নেবে না তাদের জন্যই এই সতর্কবার্তা।
সুতরাং জনপ্রিয়তা নাকি জান্নাত?
তাহলে অনলাইনে পোস্ট দেওয়ার আগে আরেকটিবার কি ভাববেন? কেন পোস্ট দিচ্ছেন? কাদের উদ্দেশ্য? বিবাহ নিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন যাতে সবার লাইক পড়ে, কমেন্ট আসে, মেয়েদের প্রশংসা করে পোস্ট দিচ্ছেন যাতে তাদের সহানুভূতি পাওয়া যায়, প্রশংসা আসে, মেয়ে ফ্রেন্ড/ফলোয়ার বেড়ে গেছে তাই বেশি করে ইসলামী পোস্ট দিচ্ছেন ইত্যাদি অথবা একটা সুন্দর ইসলামী গল্প ই অনুবাদ করলেন শুধুমাত্র ভিউ বাড়ানো বা প্রশংসা পাওয়ার জন্য – তাহলে মনে রাখুন প্রথম যে তিন ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে তা এই সমস্ত কাজের জন্যই(মিশকাত জ্ঞান অধ্যায় দেখুন- হাদীস ১৯৮)।
কারণ আপনার প্রাপ্য দুনিয়াতেই পেয়ে গেছেন ...কি সেই প্রাপ্য? – লাইক, ভিউ, প্রশ্নসা, বাহবা – সহজ ভাষায় জান্নাতের বিনিময়ে জনপ্রিয়তা – আপনার নিয়তের অপরিচ্ছন্নতা, রিয়ার প্রকাশ, আল্লাহর পরিবর্তে মানুষকে সন্তুষ্ট করার বাসনা।
প্রত্যেক ব্যক্তিই নিয়ত অনুসারে তার কাজের প্রতিফল পাবে। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের (সন্তুষ্টির) জন্য হিজরত করেছে, তার হিজরত আল্লাহ ও রাসুলের সন্তুষ্টির জন্য সম্পন্ন হয়েছে বলে গণ্য করা হবে। পক্ষান্তরে যার হিজরত দুনিয়া হাসিল করা কিংবা কোনো নারীকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে সম্পন্ন হবে, তার হিজরত সে লক্ষ্যেই নিবেদিত হবে। [বুখারি : ১/২(১), মুসলিম : ৬/৪৮(১৯০৭)]
সুতরাং ফিরে আসার এখনো সময় আছে...আসবেন কি? স্বল্প ক্ষণের দুনিয়ার খ্যাতি, মনোবাসনা নয়, আখেরাতে রয়েছে অনন্ত জীবনের আনন্দের উপভোগ্য অনিন্দ উপকরণ(সূরা আ’লা)
আর তাদেরকে হুকুম করা হয়েছে যে তারা যেন একনিষ্ঠ হয়ে আন্তরিকভাবে আল্লাহর দীন পালনের মাধ্যমে একমাত্র তাঁরই ইবাদ করে। (সূরা আলে-ইমরান: ২৯)
সমভব হলে এখান থেকে বই পড়ে নিয়াতের বিশুদ্ধতায় জান্নাতের পথে চলার উৎসাহ পেতে পারেন
https://drive.google.com/folderview?id=0B4VGKY041z8PTHFhVE54RklTUW8&usp=sharing
আল্লাহ আমাদেরকে পরিশুদ্ধ হওয়ার তাওফিক দিন, তাঁর সান্নিধ্যের পথে চলার তাওফিক তাঁর রহুমত ও বরকত ও আমাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১১৫০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন