সর্বাপেক্ষা কমেন্ট/লাইক কোন গৌরবের বিষয় নয়...কোরানের প্রতি কতটুকু সময় দিয়েছেন আজ?...আল্লাহর সাথে কথা কম কিন্তু ব্লগ/ফেইসবুকের সাথে সর্বোচ্চ সময়...
লিখেছেন লিখেছেন বুদ্ধিবৃত্তিক সঞ্চারণ ১৫ আগস্ট, ২০১৪, ০২:৫৮:১৪ রাত
আল্লাহর কোরআন আমাদের প্রতি সুপারিশ করবে হাশরের ময়দানে...বলতে পারেন আল্লাহর সাথে আমাদের জন্য প্রাণপন লড়াই করে যাবে বেহেশতে নেওয়ার জন্য...কিন্তু সেই কোরানের প্রতি আমাদের মনোযোগ নেই, আল্লাহর সাথে কথা বলতে আমাদের ভালো লাগে না কিন্তু অনলাইনের লোকদের সাথে সর্বোচ্চ কথা বলি
যারা আমাদের সুপারশি করবে না অনন্ত জান্নাতের জন্য...
যারা হাশরের ময়দানে কোন কাজে আসবে না আমাদের...
যারা আমাদেরকে কোন প্রকার সওয়াব দিয়ে সহায়তা করবে না হাশরের সেই তীব্র ময়দানে...
অথচ এই কোরআন আমাদের সুপারিশ করবে...এর মুখস্ত তেলাওয়াত অনুযায়ী জান্নাতের উচ্চ শিখরে আল্লাহ যেতে বলবে...আমরা আজ থেকে রেডি হচ্ছি তো?...নাকি আল্লাহর দেওয়া এই “উপদেশ দাও, নিশচয় উপদেশ মুমিনদের উপকার করে” আয়াতো আপনার জীবনের পথে পাথেয় হতে পারবে না এই মুহুর্ত থেকে...কেউ কি আছে যে আল্লাহর সাথে আজ থেকে সর্বোচ্চ কথা বলতে আগ্রহী?...আল্লাহ আপনার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে...
আমরা কি আল্লাহর উপদেশ নিবো? নাকি অন্য জায়গায় বেশি সময় দিবো?
কোরআনের সূরা কালামের ৫২ নম্বর ও সূরা তাকবিরের ২৭ নম্বর আয়াতে এরশাদ করা হয়েছে- ‘কোরআন তো বিশ্ববাসীর জন্য উপদেশ বৈ আর কিছু নয়।’ পবিত্র কোরআনুল কারিমে আরও এরশাদ হয়েছে- ‘আমি তোমাদের প্রতি একটি কিতাব অবতীর্ণ করেছি, এতে তোমাদের জন্য উপদেশ রয়েছে; তোমরা কি বোঝ না।’ (সূরা আম্বিয়া, ২১: ১০)।
ইমাম খাত্তাবী (রহ.) বলেন হাদীসে এসেছে যে,
জান্নাতের সিঁড়ির সংখ্যা হচ্ছে কুআনের আয়াতের সংখ্যা পরিমাণ। কুরআনের পাঠককে বলা হবে, তুমি যতটুকু কুরআন পড়েছ ততটি সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠ। যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ কুরআন পড়েছে, সে আখেরাতে জান্নাতের সবশেষ সিঁড়ির ধাপে উঠে যাবে। যে ব্যক্তি কুরআনের কিছু অংশ পড়েছে সে ততটুকু উপরে উঠবে। অর্থাৎ যেখানে তার পড়া শেষ হবে সেখানে তার সওয়ারের শেষ সীমানা হবে।
কিয়ামত দিবসে কুরআন অধ্যয়কারীকে বলা হবে, কুরআন পড় এবং উপরে উঠো। যেভাবে দুনিয়াতে তারতীলের সাথে কুরআন পড়তে সেভাবে পড়। যেখানে তোমার আয়াত পাঠ করা শেষ হবে, জান্নাতের সেই সুউচ্চ স্থানে হবে তোমার বাসস্থান। (তিরমিজি)
রাসূল (সা.) বলেন, তোমরা কুরআন পাঠ কর। কেননা কিয়ামত দিবসে কুরআন তার পাঠকের জন্য সুপারিশকারী হবে। (মুসলিম)
আল্লাহ্র রাসূল (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন সিয়াম ও কুরআন বান্দার জন্য আল্লাহ্র কাছে সুপারিশ করবে। (আহমাদ, হাকেম)
সত্যিই কি আমরা আমাদের বাবা-মাদের ভালোবাসি?...আসুন দেখি।
নবী করীম (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করবে, শিক্ষা করবে ও তদানুযায়ী আমল করবে; তার পিতা-মাতাকে দু’টি পোশাক পরিধান করান হবে, যা দুনিয়ার সকল বস্তুর চেয়ে অধিক মূল্যবান। তারা বলবে, কোন্ আমলের কারণে আমাদেরকে এত মূল্যবান পোশাক পরানো হয়েছে? বলা হবে, তোমাদের সন্তানের কুরআন গ্রহণ করার কারণে। (হাকেম)
...কোথায় প্রথম হতে চান? কোথায় খ্যাতি অর্জন করতে চান?...আজ থেকেই আপনার কর্মই ই প্রমান করবে।
এই কোরআনের কাছে আসতে চান? উস্তাদ নুমান আলী খানের এই অনন্য তাফসীর আপনাকে সেইখানে নিয়ে যাবে ইন শাআ আল্লাহ।
http://www.nakcollection.com/download-tafsir.html
বিষয়: বিবিধ
১৫১৮ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন