নারকেলের লম্বা-পাতার ফাঁকে চাঁদটা দেখা যায় নাকি !
লিখেছেন লিখেছেন কর্ণেল কুতাইবা ২৬ জুলাই, ২০১৪, ০১:৩৫:০৪ রাত
রমযান মাস আসলেই মনে পড়ে যায় আমার সেই ছোট্ট বয়সে অতিক্রান্ত রোযার দিনগুলীর কথা। রোযার আগমনে আমাদের ছোট্টদের মনে বয়ে যেত আনন্দের বন্যা।
রোযার প্রায় একমাস আগ থেকেই গুনতে শুরু করতাম কবে- আসবে রোযা।
রোযাটা আমরা এজন্য চাইতাম যে, ত্রিশ রোযার শেষেই আসবে খু্শীর ঈদ।
যেদিন রামাজানের চাঁদ
উঠবে বলে ধারণা করা হত,সেদিন আমরা দল বেঁধে মাগরিবের পর বের হতাম
চাঁদ দেখতে।
কারো কারো হাতে থাকতো খেলনা দূরবীন। সবার একই প্রত্যাশা - নারিকেলের লম্বা পাতার ফাঁকে চাঁদটা দেখা যায় নাকি!
চাঁদ দেখা গেলেই সেরেছে , আমাদের আর পায় কে, খুশীতে একেবারে আত্মহারা।
ছোট্টরা আবার একটু প্রতিযোগী মনোভাবের হয়, আমাদের মধ্যে লেগে যেতো প্রতিযোগীতা,
কে বেশী কুরআন শরীফ পড়তে পারে, কে বেশী তারাবিহের নামায পড়তে পারে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী মজার বিষয় ছিল -
কে বেশী রোযা রাখতে পারে।
এ আনন্দ অবশ্য বেশী দিন আমার ভাগ্যে জুটেনি। কারণ আমার বয়স যখন সাত বছর তখনই আমরা চলে আসি শহরের নিজ বাসায়।
আর শহরে কখনই গ্রামের আনন্দটা পাওয়া যায় না। গ্রামের মানুষ, গ্রামের পরিবেশ সবকিছুই অন্যরকম। শহর থেকে ভিন্ন সবকিছু।
আজ আমার জীবনে টাকা-পয়সা , গাড়ী-বাড়ী সবকিছুই আছে, নেই শুধু সেই আনন্দটা।
যাক সেই কথা!
এখন রমযান প্রায় শেষ। আর কদিন মাত্র বাকি ঈদের।
দেখতে দেখতেই যেন চলে গেল এই বরকতময় মাস।
পূর্ণ এক বছরের জন্য বিদায় নিবে আমাদের কাছ থেকে।
রমযান মানুষকে আদর্শের শিক্ষা দেয়। এ সময় যেমন মানুষ সকল প্রকার দ্বন্দ-সংঘাত ও বিভেদের কথা ভুলে গিয়ে সবাই ভাই ভাই হয়, তেমনি যদি সারা বছর রোযার দিনগুলী থাকতো, তাহলে হয়তো মানুষে মানুষে কোন দ্বিধা-দ্বন্ধ , হিংসা বিদ্বেষ থাকতো না !!
বিষয়: বিবিধ
১০৯৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার ইচ্ছে করে আবার সেই ছোটবেলায়
ফিরে যেতে, কত মজা করতাম
মন্তব্য করতে লগইন করুন