টুডে ব্লগে যেভাবে আমরা পুরুষরা হুর পাওয়া নিয়ে নারীদের অপমান করছি -- তার একটু ভাবুন -- আসলে কি তাই?
লিখেছেন লিখেছেন এবেলা ওবেলা ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০২:৪৯:৫৯ দুপুর
জান্নাতবাসীদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন,
** তারা ( বেহেশতবাসীরা ) তাদের প্রতিপালকের নিকট যা চাইবে বা ইচ্ছা করবে তাদের জন্য তাই রয়েছে। [surah zumar; 39:34]
এখানে পুরুষ ও নারী উভয়ের কথা বলা হয়েছে।
** আর তাদের জন্য সেখানে থাকবে পবিত্র সঙ্গীগণ বা সঙ্গিনীগণ এবং তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। [সুরা বাকারা, ২:২৫]
এখানে,
(أَزْوَاجٌ )আযওয়াজ শব্দটি (زَوْجٍ)যাওজুন শব্দের বহুবচন।
আর (زَوْجٍ)যাওজুন শব্দের অর্থ- সঙ্গী/সঙ্গিনী, সামী/স্ত্রী।[synonym: spouse]
এরপরও যাদের সন্দেহ হচ্ছে তারা এই আয়াত দুটি দেখে নিন-
*সুরা বাকারা ২:৩৫
এই আয়াতে 'যাওজুন' শব্দ দ্বারা আদম (আঃ)এর স্ত্রী হাওয়া (আঃ)কে বুঝানো হয়েছে।
*সুরা বাকারা ২:২৩২
এই আয়াতে ‘আযওয়াজ’ শব্দটি শধু নারীদের ‘স্বামী' বুঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে ।
এরূপ আরও অনেক আয়াত আছে যেখানে যাওজুন শব্দ দ্বারা সামী/স্ত্রী বুঝানো হয়েছে।
** এছাড়া কুরআনের চার জায়গায় হুরদের কথা বলা হয়েছে। সেখানেও পুরুষ-নারী উভয়ের জন্য বলা হয়েছে।
[সুরা তুর, ৫২:২০; সুরা দুখান, ৪৪:৫৪; সুরা রহমান, ৫৫:৭২; সুরা ওয়াকিয়া, ৫৬:২২ ]
হুর দ্বারা পরুষ বা স্ত্রী কোনটাই নির্দিষ্ট করে বোঝানো হয় না।
সুতরাং পুরুষদের জন্য মহিলা হুর এবং মহিলাদের জন্য পুরুষ হুর থাকবে।
এখন, যে চার আয়াতে হুর শব্দের উল্লেখ আছে, সে আয়াতগুলো দেখে নিই।
** وَزَوَّجْنَاهُمْ بِحُورٍ عِينٍ [৪৪:৫৪] অর্থ- আর আমরা তাদের বিয়ে দেব সুন্দর চক্ষুবিশিস্ট (পুরুস/মহিলা)দের সাথে ।
** وَزَوَّجْنَاهُمْ بِحُورٍ عِينٍ [৫২:২০]অর্থ- আর আমরা তাদের বিয়ে দেব সুন্দর চক্ষুবিশিস্ট (পুরুস/মহিলা)দের সাথে ।
**حُورٌ مَقْصُورَاتٌ [৫৫:৭২] অর্থ- যংযত সুন্দর (পুরুষ / মহিলা)।
** وَحُورٌ عِينٌ [৫৬:২২] অর্থ- (তাদের জন্য রয়েছে)সুন্দর চক্ষুবিশিস্ট (পুরুস/মহিলা)।
এখানে ব্যবহৃত শব্দগুলোর শাব্দিক অর্থ হল-
وَزَوَّجْنَاهُمْ (ওয়া যাওয়াজনাহুম)-আর আমরা তাদের বিয়ে দেব / সঙ্গী করে দেব ।
حُورٌ (হুর)- সুন্দর
عِينٌ (আইন)- চোখ
(عِينٌ حُورٌ )- সুন্দর চোখ
مَقْصُورَاتٌ (মাকসুরারাতুন)- সংযত, নিয়ন্ত্রনশীল
যেসব কারণে হুর শব্দটি দ্বারা সুন্দরী নারী বুঝাবে না-
* কুরআনে হুর শব্দটি সব জান্নাতবাসীর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ব্যাপারটা এমন হয়ে যাবে, জান্নাতে নারীদের জন্যও হুর থাকবে।
* কোন সহীহ হাদিসে রাসুল (সঃ) বলেন নি যে, হুর হল সুন্দরী রমণী। প্রকৃতপক্ষে, জান্নাতে নারীদের সঙ্গী থাকবে কি না- এ সম্পরকে রাসুল (সঃ)-কে প্রশ্ন করা হয়নি।
এজন্য হাদিসে নারীদের সঙ্গী সম্পর্কে উল্লেখ নেই।
* আরবী ব্যকরনের কোন নিয়মেই হুর শব্দটিকে স্ত্রীবাচক সাব্যস্ত করা যায় না।
* কুরআনে হুর সম্পর্কে দুটো শদ ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে অনুবাদে বা তাফসীরে ৫-৬ টা করে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।عِينٌ (আইন)শব্দের অর্থ চোখ । অথচ অনেক অনুবাদে এর অর্থ করা হয়েছে ‘যারা সুন্দর চোখ বিশিষ্ট নারী’।
আর প্রায় সব অনুবাদেই শাব্দিক অর্থকে প্রাধান্য না দিয়ে ব্যাখ্যামুলক অর্থ করা হয়েছে।
* হুর শব্দের অর্থ সুন্দরী নারী হলে শুধু একজন সুন্দরী নারী বুঝাবে । কারণ হুর শব্দটি একবচন। এখান থেকেও বুঝা যায়, হুর শব্দটি বিশেষ্য নয় বিশেষনের অর্থ দেবে।
* সম্ভবত অনেক আয়াতের মত এখানেও একটি শব্দ উহ্য আছে । আর তা হবে ‘আযওয়াজ’।আর হুর শব্দের অর্থ হবে সুন্দর। ফলে অর্থ দাঁড়াবে সুন্দর চোখবিশিষ্ট সামী/স্ত্রী।
কুরআনের অন্য যেসব আয়াতে জান্নাতের সঙ্গীদের কথা বলা হয়েছে, ঐ সব জায়গায়ও এমন কোন আরবী শব্দ ব্যবহার করা হয়নি যার অর্থ নারী, রমনী, কুমারী ইত্যাদি। শুধু সৌন্দর্যের বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
আর পুরুষের জন্য ৭২ জন সঙ্গী থাকবে- এ সম্পর্কিত হাদিসের ভিত্তি দুর্বল।
আসলে সবকিছু জান্নাতবাসীর ইচ্ছাধীন থাকবে। তাই তারা নিজ ইচ্ছামত এক বা একাধিক স্বামী/ স্ত্রী গ্রহন করবে।
এমন কথা পাওয়া যায় না যে, পৃথিবীতে স্বামী-স্ত্রী ছিল বলে জান্নাতে গিয়েও তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকবে।
[আমার সীমিত জ্ঞানে এটুকু পেলাম, কেউ যদি এর বিরুদ্ধে কোন আয়াত বা হাদিস জেনে থাকেন বা পান, তাহলে কমেন্টে উল্লেখ করুন ]।
বিষয়: বিবিধ
৩৬৯২ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর পুরুষের জন্য ৭২ জন সঙ্গী থাকবে- এ সম্পর্কিত হাদিসের ভিত্তি দুর্বল।
অথচ হাদীস দেখো...
মিকদাম ইবন মা‘দীকারেব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“শহীদের জন্য থাকবে ছয়টি বিশেষ বৈশিষ্ট্য, তাকে প্রথমবারেই ক্ষমা করে দেওয়া হবে, জান্নাতে তার অবস্থান তাকে দেখানো হবে, কবরের আযাব থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে, মহা ভীতিপ্রদ সে অবস্থায় তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে, তার মাথায় সম্মানের মুকুট পরানো হবে, যার একটি ইয়াকুত পাথর দুনিয়া ও তাতে যা আছে তা থেকে উত্তম, এবং তাকে বাহাত্তর জন ডাগর নয়না হূর স্ত্রীর সাথে বিয়ে দেওয়া হবে, আর তার নিকটস্থ সত্তর জন্য ব্যাপারে তার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।”
[তিরমিযী, (হাদীস নং ১৬৬৩); ইবন মাজাহ, (হাদীস নং ২৭৯৯); আলবানী সহীহ আত-তিরমিযীতে তা সহীহ বলেছেন।]
====
আগে জ্ঞান অর্জন করো কেননা ইমাম বুখারী বলেছেন "মানার আগে জ্ঞান অর্জন করা জরুরী"
=====
এই কথাটা দেখো...
আসলে সবকিছু জান্নাতবাসীর ইচ্ছাধীন থাকবে। তাই তারা নিজ ইচ্ছামত এক বা একাধিক স্বামী/ স্ত্রী গ্রহন করবে।
চিন্তা করো ইসলামে কেন একজন মহিলা একাধিক স্বামী গ্রহন করতে পারে না?
তাহলে জান্নাতে কি পারবে? কোরআন হাদীস কি বলে??
জান্নাতে কি হুরদের একাধিক স্বামী থাকবে??
===
মহান আল্লাহ বলেন,
“এভাবেই আমরা তাদেরকে বিয়ে দিয়ে দিব ডাগর নয়না হূরদের সাথে” [সূরা আদ-দুখান: ৫৪]
আরও বলেন,
“তারা বসবে শ্রেণীবদ্ধভাবে সজ্জিত আসনে হেলান দিয়ে; আর আমরা তাদের মিলন ঘটাব ডাগর চোখবিশিষ্টা হূরের সংগে”। [সূরা আত-ত্বূর: ২০]
==
ভালোকরে পড়ো বিষয়টি কেননা পুরুষরা বিয়ে করে মেয়েদেরকে।
আরো বিস্তারিত জানতে এখনে আসো...
জান্নাতে একজন লোকের জন্য স্ত্রী ও হূর থাকার আপত্তিকারী মহিলার জবাব
জান্নাতে নারীরা কেমন থাকবে
====
আমি তো এখন শিওর যে এই ওবেলা নাস্তিক। কেননা তার লেখা দেখে যারা কোরআন হাদীস যানে তারা বুঝবে।
===
আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করুনা।
আর ব্লগার আফরা কে আপনি জ্ঞান দিচ্ছেন কেন -- উনি কি কম বুঝেন আপনার তুলনায় -- যা কিছু বলার নিজে কমেন্ট আকারে লিখুন--
ভালইতো চাল দিলেন তো মাশাই এই জন্যইতো আপনাকে নাস্তিক বলে সন্দেহ হয়েছিলো আর তার প্রমানও চলে আসলো।
আপনি কি হাদসি মানেন???
আর ব্লগার আফরা কে আপনি জ্ঞান দিচ্ছেন কেন -- উনি কি কম বুঝেন আপনার তুলনায় -- যা কিছু বলার নিজে কমেন্ট আকারে লিখুন-
আসলে উলুবনে মুক্তা ছড়ানোর ইচ্ছা নাই। আফরা মুক্তা গ্রহন করে তাই তাকে সত্যটা যানালাম। কষ্ট লাগছে বুঝি!!!
কমেন্টতো আমিই করলাম নাকি অন্যকেউ করেছে!!!
=====
মুখশ ধরে মানুষকে ধোকাদেয়া মুসলিমের কাজ নয়। আমার সন্দেহ আছে এই ব্লগে সমালোচক নামেও একজন হাদীস অস্বিকার কারী ছিলো
এখন দেখি আপনিও তাই।
আফরা কে জ্ঞান না দিয়ে নিজের বিবি পাশে শুইয়ে মুক্তা চড়ান রাতে আদর সোহাগ বেড়ে যেতে পারে-- এত দিনে ব্লগার আফরার পোষ্ট পড়ে বুঝেন নাই তার জ্ঞানের পরিসর -- উনি বয়ান দেওয়া শুরু করলে ইমরান সাহেব ইয়া নফসী- ইয়া নফসী করে কুল পাবে না--- আর যাকে তাকে তুমি ডাকার স্ভাব বদলান-- এই চর্চা নিজের বিবির প্রতি বেশি বেশি প্রয়োগ করেন আখরাতে ৭২ এর সাথে বোনাস হিসাবে আরো কিছু মিলতে পারে-
তাইলেই তো আপনার পরিচয় হয়ে যায়।
সেটা তো বললেন না মশাই। অথচ অনেক কথাই বললেন। বেশ ভালই চাল। গুড ব্রেইন।
আফরা আমার চেয়ে ভালো জানুক সেটাতো আমিও চাই কিন্তু হাদীস অস্বীকার কারীর কাছে জানুক সেটা হয় কি??
হাহাহাহ..... সহজ উত্তর না দিয়ে প্যাচাইবেন সেটা তো আমি জানি।
উত্তর দেন আমার প্রশ্নের: আপনি হাদীসে বিশ্বাস করেন কি??
এখন আমার প্রশ্নতর দিন....
এই আয়াতের ব্যাখা কারটা সঠিক হবে?? আপনার টা নাকি পূর্ববর্তী সালাফদের??
তাফসির ইবনে কাসির দেখেন...
তাফসির তাবারী দেখেন...
এখন কেউ কি আপনার কথাকে নিবে নাকি সালাফদের কথা??
আমরা মুসলিম আমরা বলি “সামি’য়না ওয়া আত’য় না” শুনলাম আর মেনে নিলাম কোন প্রশ্ন ছাড়া।
তাই...
আপনি এই ব্যাখ্যা কোথা থেকে নিছেন তার উৎস জানান।
====
এটা কার অনুবাদ??? জানাবেন কেননা তাফসির ইবনে কাসির,তাফসির তাবারী,তাফসির সাদী, তাফসীর বাগাবী ইত্যাদি কোন তাফসিরে তো আপনার মতো অনুবাদ নাই তাই জানতে চাইলাম।
(ঠিক একই কাজ করে গ্রামের পথে পথে, সেও দেখায় কোরআন বা হাদীস থেকে কিন্তু অনুবাদে ঘাপলা বানায়ে দেখায়)
=======
আসুন দেখি সুরা আর রহমানের আয়াত ৭২..সেখানে কি বলা আছে...
কোরআনের ব্যাখ্যা হাদীস দিয়ে হয়ে থাকে। রসুল (সা) আমাদেরকে যেভাবে দিয়েছেন আমরা সেভাবেই বিশ্বাস করি। এখানেও হাদীস ই আয়াতের ব্যাখ্যা দিচ্ছে এখন প্রশ্ন আবার দারায় “”আপনি হাদীস বিশ্বাস করেন কি”” উত্তর দেন।
এখন বলেন আপনার মতো আধুনিক নাস্তিকের কাছে ব্যাখ্যা নিবো নাকি তাবেঈ (রহ) দের ব্যাখ্যা??? অবশ্যই মুসলিম মানেই তাবেঈর (রহ) ব্যাখ্যা নিবে-আপনি মুসলিম কি?
====
আসেন দেখি রসুল(সা) জান্নাত নিয়ে কি বলছেন....
রসুল (সা) বলেছেন "জান্নাতের কোন রমনী" মাইনড ইট "রমনী" "মিন নিসাঈ আহলিল জান্নাহ"
এখন কোনটা নিবেন আপনার টা নাকি রসুল (সা) এর কথা??
আবারো প্রশ্ন হাদীস মানেন কি??
====
রসুল(সা) বলেছেন, হুরে ঈন থেকে দুটি করে স্ত্রী থাকবে...
আবারো প্রশ্ন হাদীস মানেন কি??
====
রসুল (সা) জান্নাতে রমনী দেখতে পান এই দেখেন.....
আবারো প্রশ্ন হাদীস মানেন কি??
=====
যার ভিতরে আল্লাহর ভয় থাকবে সে রসুল (সা) এর বিপরিতে যাবে না । কেননা তাদের বিপরীতে যুদ্ধ করে পারবে এমন কেউ নাই।
আমরা মুসলিম আমরা কোরআন ও সহীহ হাদীস অনুযায়ী চলী+সালাফদের কাথাকেই প্রাধান্য দেই নিশ্চই আমাদের সালাফরা্ আমাদের জন্য অনুসরণীয়।
তাই আপনার মতো কোরআনের ব্যাখা করলে পথভ্রষ্ট নিশ্চিত কেননা হাদীসও জানতে হবে মানতে হবে।
তাই একটাই প্রশ্ন সোজা উত্তর দিন...
আবারো প্রশ্ন হাদীস মানেন কি??
আবারো প্রশ্ন হাদীস মানেন কি??
তার মানে কনো বিশিষ্ট আলেম বা চিন্তাবিদ বিষয় টি এভাবে দেখেছেন-- এই সামান্য কথাটুকু বুঝতে আপনার এত দেরী হচ্ছে বুঝলাম না -- আমার বিষয় টির ব্যখ্যা ভাল লেগেছে তাই ব্লগে জানানোর প্রয়োজন বোধ করলাম-- আমি এই ব্যখ্যায় সন্তুষ্ট -- আপনি সন্তুষ্ট হতে না পারলে আমার কিছু নাই-- আমি ৭২ হুর নিয়ে কখনও ভাবি না -- আমি ভাবি সবসময় আল্লাহ যেন ঐপারে আমার সহধর্মিনী কি আমাকে আমার পাশে দেয় আর এই জন্য আল্লাহ-রসুলের আকিদা মত চলতে চেষ্টা করি--
আপনাদের হাতে হয়ত অনেক সময় আমরা ইউরোপে থাকি কামলা আমাদের পেশা,এই মাত্র কামলা শেষে ঘরে ফিরলাম-- তাই উত্তর দিতে দেরী হোলো -- সরি @ইমরান
কথা ঘুড়ালে তো হবে না। আপনি যদি ইসলাম, কোরআন, হাদীস না যানেন তাহেল কেন কোরআন হাদীস নিয়ে এমন কথা বলেন??বা কপি করেন?? যাচাই ছাড়া কথা বলা তো মিথ্যাবাদীর কাজ যা রসুল(সা) বলেছেন। আপনি কি তাহালে মিথ্যাবাদী!! (আমি অবশ্য তাই ভাবি কেননা রসুল(সা) বলেছেন)
কোরআনের সুরা বাকারার ২৫ নং আয়াতের এই অনুবাদ আপনি কোথায় পেলেন??
এটা কোন বিশিষ্ট আলেম বা চিন্তাবিদ অনুবাদ জানাবেন প্লিজ। কেননা গ্রামের পথে পথে ও এই রখম অনুবাদ করে। নিজের মুখশ টা একটু খুলুন জনাব।
কথা হচ্ছে আমার প্রশ্নর উত্তর কই???
আমার প্রশ্নর উত্তর দেন???
কথা ঘুড়াতে চেয়ে তো লাভ নাই সরাসরি উত্তর দেন। আপনার প্রশ্নত্তর কিন্তু আমি দিয়েছি।
উত্তর দেন???
ওয়াল্লাহী, আপনার উত্তর খুজতে যদি আমাকে সুদুর কোন দেশে কোন উস্তাদের কাছেও যেতে হয় আমি যাব ইনশাআল্লাহ।
সূরা -আর রা'হমান ৭০-৭৫ নং আয়াত একটু ব্যাখ্যা করে যদি কেউ বলতেন ?
-- এর উপর জোর দিয়ে বিষয় টি নিয়ে আলোচনা করেছি --- আপনি যেখানে পয়েন্ট আউট করেছেন সেখানে আমারো জানতে চাওয়া এভাবে হলে ওখানে এই অর্থ দাঁড়াবে কেন -- তাই না?@হতভাগা-
পোষ্টের নিছে আমি এটা লিখিছি দেখেছেন?
পোষ্টের সব কিছু পড়েন খালি নিজেকে ব্লগার আফরার কাছে জাহির করার জন্য এটা চোখে পড়ে নি আপনার @ইমরাণ
এই আয়াতের ব্যাখা কারটা সঠিক হবে?? আপনার টা নাকি পূর্ববর্তী সালাফদের??
তাফসির ইবনে কাসির দেখেন...
তাফসির তাবারী দেখেন...
এখন কেউ কি আপনার কথাকে নিবে নাকি সালাফদের কথা??
আমরা মুসলিম আমরা বলি “সামি’য়না ওয়া আত’য় না” শুনলাম আর মেনে নিলাম কোন প্রশ্ন ছাড়া।
তাই...
আপনি এই ব্যাখ্যা কোথা থেকে নিছেন তার উৎস জানান।
====
এটা কার অনুবাদ??? জানাবেন কেননা তাফসির ইবনে কাসির,তাফসির তাবারী,তাফসির সাদী, তাফসীর বাগাবী ইত্যাদি কোন তাফসিরে তো আপনার মতো অনুবাদ নাই তাই জানতে চাইলাম।
(ঠিক একই কাজ করে গ্রামের পথে পথে, সেও দেখায় কোরআন বা হাদীস থেকে কিন্তু অনুবাদে ঘাপলা বানায়ে দেখায়)
=======
আসুন দেখি সুরা আর রহমানের আয়াত ৭২..সেখানে কি বলা আছে...
কোরআনের ব্যাখ্যা হাদীস দিয়ে হয়ে থাকে। রসুল (সা) আমাদেরকে যেভাবে দিয়েছেন আমরা সেভাবেই বিশ্বাস করি। এখানেও হাদীস ই আয়াতের ব্যাখ্যা দিচ্ছে এখন প্রশ্ন আবার দারায় “”আপনি হাদীস বিশ্বাস করেন কি”” উত্তর দেন।
আর মহিলাদের জন্য ........
এটা শোনা যায় যে, তারা হয় তাদের স্বামীকে পাবে যদি স্বামী জান্নাতে আসে অথবা তাদের পছন্দের কাউকে পাবে । তবে পুরুষদের যেমন ৭০ জন হুর পাবার কথা আছে সেরকম না ।
দুনিয়াতে পুরুষদের জন্য একাধিক নারীর কথা শরিয়তে বলা হলেও মেয়েদের জন্য কখনই এরকমটা বলা হয় নি । এটা শোভনও নয় । যেমন শোভন নয় সমকামিতাও ।
তাহলে মহিলাদেরকেও কি এই মহিলা হুরদের সাথে বিবাহ করিয়ে দেবেন না তাদের জন্য পুরুষ হুর আছে ? দুনিয়াতে হলে শরিয়ত মতে প্রথমটা হত সমকামিতা এবং ২য়টা হত বহু পুরুষগামিতা - যা একেবারেই নিষিদ্ধ ।
তাই বেহেশতে যে দুনিয়াতে শরিয়তের যে ধারা ছিল তাই থাকবে তা মোটামুটি অনুমান করা যায় ।
যারা বেহেশতে যাবে তাদের মন থেকে রিপুর প্রভাব সম্পূর্ণ দূর করে দেওয়া হবে । সেখানে কোন হিংসাও থাকবে না ।
মহিলাদের বহু পুরুষগামিতা যেখানে দুনিয়াতে একেবারেই নিষিদ্ধে সেটা কি জান্নাতে উঠে যাবে ?
এখন বলেন আপনার মতো আধুনিক নাস্তিকের কাছে ব্যাখ্যা নিবো নাকি তাবেঈ (রহ) দের ব্যাখ্যা??? অবশ্যই মুসলিম মানেই তাবেঈর (রহ) ব্যাখ্যা নিবে-আপনি মুসলিম কি?
====
আসেন দেখি রসুল(সা) জান্নাত নিয়ে কি বলছেন....
রসুল (সা) বলেছেন "জান্নাতের কোন রমনী" মাইনড ইট "রমনী" "মিন নিসাঈ আহলিল জান্নাহ"
এখন কোনটা নিবেন আপনার টা নাকি রসুল (সা) এর কথা??
আবারো প্রশ্ন হাদীস মানেন কি??
====
রসুল(সা) বলেছেন, হুরে ঈন থেকে দুটি করে স্ত্রী থাকবে...
আবারো প্রশ্ন হাদীস মানেন কি??
====
রসুল (সা) জান্নাতে রমনী দেখতে পান এই দেখেন.....
আবারো প্রশ্ন হাদীস মানেন কি??
=====
যার ভিতরে আল্লাহর ভয় থাকবে সে রসুল (সা) এর বিপরিতে যাবে না । কেননা তাদের বিপরীতে যুদ্ধ করে পারবে এমন কেউ নাই।
আমরা মুসলিম আমরা কোরআন ও সহীহ হাদীস অনুযায়ী চলী+সালাফদের কাথাকেই প্রাধান্য দেই নিশ্চই আমাদের সালাফরা্ আমাদের জন্য অনুসরণীয়।
তাই আপনার মতো কোরআনের ব্যাখা করলে পথভ্রষ্ট নিশ্চিত কেননা হাদীসও জানতে হবে মানতে হবে।
তাই একটাই প্রশ্ন সোজা উত্তর দিন...
আবারো প্রশ্ন হাদীস মানেন কি??
এই দেখুন হাদীস...
ঘটনা হচ্ছে, ওবেলা হাদীস মানে কি না সেটা প্রশ্ন করেন।
তার মানে কনো বিশিষ্ট আলেম বা চিন্তাবিদ বিষয় টি এভাবে দেখেছেন-- এই সামান্য কথাটুকু বুঝতে আপনার এত দেরী হচ্ছে বুঝলাম না -- আমার বিষয় টির ব্যখ্যা ভাল লেগেছে তাই ব্লগে জানানোর প্রয়োজন বোধ করলাম-- আমি এই ব্যখ্যায় সন্তুষ্ট -- আপনি সন্তুষ্ট হতে না পারলে আমার কিছু নাই-- আমি ৭২ হুর নিয়ে কখনও ভাবি না -- আমি ভাবি সবসময় আল্লাহ যেন ঐপারে আমার সহধর্মিনী কি আমাকে আমার পাশে দেয় আর এই জন্য আল্লাহ-রসুলের আকিদা মত চলতে চেষ্টা করি--
আপনাদের হাতে হয়ত অনেক সময় আমরা ইউরোপে থাকি কামলা আমাদের পেশা,এই মাত্র কামলা শেষে ঘরে ফিরলাম-- তাই উত্তর দিতে দেরী হোলো -- সরি @ইমরান
কথা ঘুড়ালে তো হবে না। আপনি যদি ইসলাম, কোরআন, হাদীস না যানেন তাহেল কেন কোরআন হাদীস নিয়ে এমন কথা বলেন??বা কপি করেন?? যাচাই ছাড়া কথা বলা তো মিথ্যাবাদীর কাজ যা রসুল(সা) বলেছেন। আপনি কি তাহালে মিথ্যাবাদী!! (আমি অবশ্য তাই ভাবি কেননা রসুল(সা) বলেছেন)
কোরআনের সুরা বাকারার ২৫ নং আয়াতের এই অনুবাদ আপনি কোথায় পেলেন??
এটা কোন বিশিষ্ট আলেম বা চিন্তাবিদ অনুবাদ জানাবেন প্লিজ। কেননা গ্রামের পথে পথে ও এই রখম অনুবাদ করে। নিজের মুখশ টা একটু খুলুন জনাব।
কথা হচ্ছে আমার প্রশ্নর উত্তর কই???
আমার প্রশ্নর উত্তর দেন???
কথা ঘুড়াতে চেয়ে তো লাভ নাই সরাসরি উত্তর দেন। আপনার প্রশ্নত্তর কিন্তু আমি দিয়েছি।
উত্তর দেন???
ওয়াল্লাহী, আপনার উত্তর খুজতে যদি আমাকে সুদুর কোন দেশে কোন উস্তাদের কাছেও যেতে হয় আমি যাব ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন