রুটি বানানো নিয়ে সমস্যায় জর্জিত এক যুবক----
লিখেছেন লিখেছেন এবেলা ওবেলা ১৬ আগস্ট, ২০১৪, ০৯:২৭:৪৬ রাত
উপলব্ধি ১:
রুটি গোল করা পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ। কে যে এই গোল আকৃতিটা আবিষ্কার করেছে, তাঁকে পাইলে আমি সার্কাসের রিঙে ঝুলায় রিং আকৃতি বানায় বুঝায় দিতাম গোল আকৃতি কাহাকে বলে।
উপলব্ধি ২:
এটা ঠিক উপলব্ধি না। প্রাথমিক অবস্থায় গোল একটা জিনিস কীভাবে পরবর্তীতে চারকোণা হয়ে যায় আমি তাই বুঝলাম না।
রুটির এই অত্যাচার আমি আর সহ্য করতে না পেরে বুঝলাম আমার এখনই কিছু একটা করা দরকার। তাই তাৎক্ষণিক আমার বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে রুটি গোল করার পদ্ধতি আবিষ্কার করলাম।
আবিষ্কার ১:
পিচ্চি-চ্যাপ্টা-গোল রুটির বলটার উপর বেলন চালাবার সময় একটু হিসাব রাখতে হবে। একভাবে রুটির উপর যতবার বেলন চালাব, রুটিটিকে সমকোণে ঘুরিয়ে তার উপর ঠিক ততবার বেলন চালাব। তাতে একটি মানসম্মত ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। (বুঝাতে পারলাম কি?! মনে হয় না।
আমার ১ নম্বর আবিষ্কার দিয়ে আসলে খুব একটা ফলপ্রসূ ফলাফল পেলাম না। কারণ রুটির কোনো দিক পাতলা হয়, কোনো দিক ভারি হয়, তাই আমার ২ নম্বর আবিষ্কার এর আগমন।
আবিষ্কার ২:
এবারের হিসাবটা মোটামুটি জটিল। বেলনের দুই প্রান্তে যদি সমবল প্রয়োগ করা হয় এবং লব্ধি বল বেলনের কেন্দ্রে কাজ করে অর্থাৎ বেলনের ঠিক মাঝে রুটিটি রেখে বেলন চালানো হয় তাহলে ও সম্ভবত ফলপ্রসূ ফলাফল পাওয়া যাবে।আমি এটা এখন ও প্রয়োগ করতে পারি নাই তাই নিশ্চিত সিদ্ধান্ত দিতে পারছি না।
আবিষ্কার ৩:
এটা আবিষ্কার ও সিদ্ধান্ত উভয়ই। অবশ্যই ঘটবে এমন ঘটনা। সেটি হলো-সর্বাধিক গোল হবে যে রুটিটা সেটা বেলন থেকে তোলার সময় ছিঁড়ে যাবে।
এই রকম ও কোনো রুটির আকৃতি হইতে পারে পৃথিবীতে???
এ গেলো বানানোর পর্ব। এখানেই শেষ না। রুটি নাকি আবার সেঁকার সময় ফুলতে হবে। কোন এক অজ্ঞাত কারণে আমার রুটি ফোলে না। এবং যেটা ফুলতে নেয় সেটা ফুটা হয়ে যায়।
দীর্ঘ দিন প্রবাসে থাকার কারণে নিজ হাতে রুটি বানাইয়া খাইবার মন চায় -- একা একা রুটি বানাতে গিয়ে কি যে বিপদে আছি --- কেউ যদি সহজ উপায় টা বলে দিতেন--
বিষয়: বিবিধ
১৬৫৩ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ওবেলা ভাই পাক্কা রাধুনির পরামর্শটা নেন কাজে লাগবে।
ক্যামনে বুঝাই জেন্ডার চেঞ্জ হইলে কেমন যে লাগে।
দেখবেন ঠিক বেলতে পারছেন।
নাম না পালটাইতে চাইলে এই থিওরি চালাইয়া যান।
আমি এক সময় পুরো গোল করতে পারতাম। আমার মাকে প্রতি রাতে রুটি বানিয়ে খাওয়াতাম। করতে করতে শিখেছিলাম। আম্মার ডায়বেটিস ছিল তাই বানিয়ে দিতাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন