ঈদ স্মৃতীচারণ-------
লিখেছেন লিখেছেন এবেলা ওবেলা ২৯ জুলাই, ২০১৪, ০৭:১২:০২ সকাল
“এখন আর আগের মত ঈদে মজা নেই” এই কথাটা প্রায়ই শোনা যায়। আসলেই কি ঈদের আনন্দ দিন দিন কমে যাচ্ছে? নাকি আমরা বড় হয়ে যাচ্ছি আর আনন্দ পাবার ক্ষমতা হারাচ্ছি?? এটাই মনে হয় ঠিক- ঈদের আনন্দ ঠিকই আছে, আমাদের গ্রহন করার ক্ষমতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখনকার বাচ্চাদের কাছে নিশ্চয় ঈদের আনন্দ একই আছে!!
ছোট বেলাটা গ্রামে কাটিয়েছি; তাই ছেলেবেলার ঈদ কেটেছে মা-মাটি আর প্রকৃতির সাথে, খেলার সাথিদের সাথে। রোজা শুরু হতেই কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে যেত- ঈদের আর কত দিন বাকী। ঈদের আগের রাতে তো উত্তেজনায় ঠিক মত ঘুমাতে পারতাম না। সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে পাড়ার বড় ভাইদের সাথে ঈদগাহে যেতাম রঙিন কাগজ দিয়ে ঈদগাহ সাঁজাতে। তারপর দল বেঁধে বাসনা (সুগন্ধি) সাবান দিয়ে গোছল করা। এখানে একটা মজার ব্যাপার ছিল, কার সাবান কত সুগন্ধি সেটা নিয়ে একটা কম্পিটিশন হত। লাক্স, লাইফবয়, কসকো সাবান ছিল এ ক্যাটাগরি; কেও এর বাইরে বিদেশী কোন সাবান দেখাতে পারলে তো ভা-ব-ই আলাদা! গরীব মানুষেরা ব্যবহার করত হাবীব সাবান নামে ছোট একটা সাবান।
এরপর নতুন কাপড় পরে, মায়ের হাতে সিন্নি খেয়ে ঈদগায়ে নামাজ পড়তে যাওয়া। প্রায় সব বারই কাপড় পরার আগে অজু করতে ভুলে যেতাম এবং প্রতিবারই ঈদগাহে পৌঁছুতে দেরি হয়ে যেত।
নামাজে হুজুরের প্রতিবছর একই বকর বকর মোটেও পছন্দ হতো না; শুধু মন থাকত কখন নামাজ শেষ হবে আর দল বেঁধে বাড়ী বাড়ী গিয়ে সিন্নি খেতে পারব। পাড়ার প্রায় সব বাড়ীতেই যেতাম সিন্নি খেতে, যদিও ২/৩ বাড়ী খাওয়ার পর আর কিছু পেটে ঠুকত না।
ঈদের দিন আরেকটা কারনে খুব ভাল লাগত তা হচ্ছে এই দিন কেও পড়তে বসতে বলত না এবং যা খুশি তাই করে বেড়ান যেত। বছরের এই দিন ছিল ওপেন মার্বেল খেলার পারমিশন।
এভাবেই কেটে যেত ঈদের দিন! বিকালের দিকে একটু খারাপ লাগত! ঈশ! ঈদটা শেষ হয়ে গেল!!
সবাইকে ঈদ মোবারক ০০০০০০০০০০০
বিষয়: বিবিধ
২১৯১ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঈদ মোবারক।
গুলা শুভেচ্ছা -- ঈদ মোবারক
ঈদ মোবারক!
ঈদ স্মৃতীচারণ ভাল লাগল ।ঈদ মোবারক
ও বিশ্বের সকল মুসলিমদের শান্তিও কল্যাণ কামনা করছি ।ঈদ স্মৃতীচারণ ভাল লাগল ।ঈদ মোবারক
মন্তব্য করতে লগইন করুন