“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়” উপন্যাস-৪৪পর্ব

লিখেছেন লিখেছেন কিশোর কারুণিক ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৭:২৮:৫৭ সকাল



“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”

কিশোর কারুণিক

উপন্যাস-৪৪পর্ব

“এই অল্প পরিচয়ে কিভাবে বুঝতে পারলেন?”

“না, আপনাকে আমি সম্পূর্ণ বুঝতে পারিনি এখনো। তবে অনুমান করছি। ঠিক হতে পারে আবার নাও পারে।”

“কিভাবে হলো শুনতে পারি?”

“অনুষ্ঠান ছাড়া কেউ আমার কবিতা আবৃত্তি করা শুনতে পারেনি, অথচ আপনিই প্রথম শ্রোতা, যাকে আমি অনুষ্ঠান ছাড়াই কবিতা আবৃত্তি করে শোনালাম। নিশ্চয় ওদের থেকে আপনাকে একটু আলাদা মনে হয়েছে বলেই..।”

“কবিতা আবৃত্তি করে শোনালেন তাই তো!”

“আজ্ঞে, হ্যাঁ।”

“তবে আপনি যাই বলেন,ওদেরকে মানে আপনার ভাষায় সেই রাম ছাগলদেও কিন্তু কোন দোষ নেই।”

“কেন, দোষ নেই কেন?”

“আপনার মত মেয়ের সাথে সম্পর্ক তৈরী করা মানে ীমূল্য কিছু লাভ করা। তাই ওরা আপনার পেছন লেগেছিল।”

“দেখুন প্রেম ভালবাসা জোর কওে হয় না, প্রকৃতির নিয়মে নারীর পুরুষের সঙ্গ যেমন প্রয়োজন তেমনি পুরুষেরও প্রয়োজন হয় নারীর সঙ্গ। কি ঠিক বুলনি?”

“বলে যান-শুনছি।”

আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়েই শ্রাবস্তীর সাথে কথা বলছি। আয়নার ভিতর শ্রাবস্তীকে দেখা যাচ্ছে।

“আচ্ছা আমি যদি আপনাকে বলি মিঃ তারুণ্য আপনাকে আপনাকে আমি ভালবাসি, তাহলে আপনি কী করবেন বা কী ভাববেন?”

“আমাকে প্রশ্ন করছেন?”

“হ্যাঁ।”

“আগে দেখব সত্যিই আপনি আমাকে ভালবাসেন কি না“”

“হ্যাঁ, আমারও ঐ একই কথা। এ পৃথিবীতে অনেকেই আছে যারা মনের সৌন্দর্যকে ভাল না বেসে শরীরের লাবণ্যতাকে, শরীরের লোবে ভালবাসে।”

“দেখুন শ্রাবস্তী, প্রেম ভালবাসা কিন্তু শরীরকে কেন্দ্র করে অথ্যার্ৎ শরীরের লাবণ্যতাকে কেন্দ্র করেই সৃষ্টি হয়।”

“আপনার কথাটা ঠিক। কিন্তু ওদের ব্যাপারটা মনে হয় ছিল আলাদা।”

“কেমন?”

“ওদের আমাকে ভাল লাগে, কিন্তু আমাকেও তো ভাল লাগতে হবে ওদেরকে।”

“হ্যাঁ, তা তো লাগতেই হবে। এক তরফা তো কিছুই হয় না।”

“তাছাড়া ওদের আচার-ব্যবহার আমার একটুও ভাল লাগে না।”

“ভাল না লাগারই কথা!”

“কেমন করে বুঝলেন?’

বিষয়: সাহিত্য

১২০০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

341744
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১২:২১
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : ভাই আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগে!! কিন্তু একই উপন্যাসে পাশাপাশি ভিন্ন কিছু উপহার দেন। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File