“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”৩৬পর্ব

লিখেছেন লিখেছেন কিশোর কারুণিক ৩১ আগস্ট, ২০১৫, ০৮:০৮:১০ সকাল

“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”

কিশোর কারুণিক

উপন্যাস-৩৬পর্ব

“আমার নাম তারুণ্য। একজন ভ্যাগাবন্ড।”

“আমি শ্রাবস্তী।”

মাথা নেড়ে বললাম, “জানি।”

“এবার ইন্টারমিডিয়েটেৃ।”

“হ্যাঁ পরিচয় পর্ব তো হলো। এবার খাওয়া শুরু কারা যাক।”

“হ্যাঁ, আপনার বন্ধু তো এখনো এলো না?”

“ওর আশায় বসে থেকে কোন লাভ নেই। আসুন তো আমরা খাওয়া শুরু করি।”

কমলালেবুর প্লেটটা শ্রাবস্তীর দিকে একটু এগিয়ে দিলাম। আমি এক কোয়া লেবু মুখে দিয়ে বললাম, “বাহ্! কমলালেবুগুলোতো বেশ মিষ্টি।”

শ্রাবস্তী আমাকে অনুকরণ করে বাদামের প্লেটটা আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে কিছু বাদাম মুখে দিয়ে বলল, “আহা!একটু ঝাল লবণ হলে আরো ভাল লাগত।

আমি কমলালেবুর কোয়া থেকে রস চুষে নিয়ে বাড়তি খোসা ডাইনিং টেবিলের উপর রাখতে লাগলাম। এই ভাবে চলল কিছুক্ষণ। শ্রাবস্তীর বাদাম খাওয়া দেখে আমার ইচ্ছে হলো বাদাম খেতে। আমি যেভাবে কৌত’হলী দৃষ্টিতে শ্রাবস্তীর কান্ড দেখছিলাম, শ্রাবস্তীও সেই ভাবে দেখছিল আমাকে। হয়তো আমারই মত শ্রাবস্তীরও কমলালেবু খেতে ইচ্ছে করছে।

“শুধু লেবু খাবেন? ডনন বাদাম নিনÑ”বলে শ্রাবস্তী আধা মুঠো বাদাম প্লেট থেকে তুলে আমাকে দিল।

আমি হাত বাড়িয়ে শ্রাবস্তীর হাত থেকে বাদামগুলো নিলাম। কেন যেন মনে হলো ভদ্রতাবশত কমলালেবুর কোয়াও শ্রাবস্তীকে দেয়া উচিত।

এক মুঠো লেবুর কোয়া প্লেট থেকে তুলে নিয়ে শ্রাবস্তীর দিকে হাতটা বাড়িয়ে দিলাম। শ্রাবস্তী হেসে বলল, “কি করছেন! এতো লেবুতো আমি খেতে পারব না। আসেন শেয়ার করি।”

আমি যেভাবে শ্রাবস্তীর প্রতি পদক্ষেপ বিশ্লেষণ করছি, শ্রাবস্তীও কি আমাকে সে রকম বিশ্লেষণ করছে। কারণ ইতোমধ্যে শ্রাবস্তীর সম্মন্ধে যে ধারণা জন্মেছে, তাতে মনে হচ্ছে শ্রাবস্তী এক অপ্রতিরূপ নারী।

আমার হাত থেকে অর্ধেক লেবু তুলে নিতে নিতে জিজ্ঞেস করল, “আচ্ছা আমার নাম বলার আগে আপনি আমার নাম জানলেন কী করে?”

“তা বলা যাবে না।”

“কেন?”

“না, তাও বলা যাবে না।”

“প্লিজ বলেন না, অমন করছেন কেন?”

“আগে আমার এক প্রশ্নের উত্তর দিলে বলব।”

বিষয়: সাহিত্য

৯০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File