’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘২৮পর্ব
লিখেছেন লিখেছেন কিশোর কারুণিক ১৩ আগস্ট, ২০১৫, ০৭:৫৫:৫৬ সকাল
’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-২৮পর্ব
খুবই লজ্জার ব্যাপর। হয়তো শ্রাবস্তী ওর বন্ধু-বান্ধবী ঘনিষ্ট জনদের কাছে গল্প করে, খুব বীরত্ব দেখাবে। কেন যে বোকার মত কাজ করলাম। নিজের কাছেই এখন অনুতপ্ত হচ্ছি। শ্রাবস্তীর সামনে যেতেও লজ্জা লাগছে। তার চেয়ে এক কাজ করি চলে যাই। না..শ্রাবস্তীকে এখানে এক ফেলে রেখে যাওয়া ঠিক হবে না। ওকে যেখান থেকে নিয়ে এসেছি, আবার সেখানে পৌঁছিয়ে দিলেই আমার দায়িত্ব শেষ হবে। বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থাকতে পারব। আর যতক্ষণ না এই কাজ শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ যা হবার হবে। বিধাতার মত নির্ভয় মনে হচ্ছে এই মূহুর্তে নিজেকে। এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন আমার জীবনে এই প্রথম হয়তো সহজে ভুলতে পারব না। শ্রাবস্তী যা করেছে হয়তো ওর দিক থেকে ও ঠিকই করেছে। শ্রাবস্তী কুমারী, সুন্দরী এক মেয়ে, আর আমি ছেলে, তাও অপরিচিত। এরভাবে সাহায্য করতে যাওয়া ঠিক হয়নি। ঠিকই করেছে শ্রাবস্তী । আমাদের সমাজের প্রতিটি মেয়েই শ্রাবস্তীর মত হলে নারী নির্যাতন অনেকাংশে কমে যাবে। পুরুষদের অন্য্য়া অত্যাচারের প্রতিবাদের জন্যেই নারী নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ। শ্রাবস্তী ভদ্র ঘরের মেয়ে। তবে আমার সাথে এখানে চলে আসার পিছনে অন্য কোন রহস্য আছে কিনা কে জানে! এদিকে তনয় বাজারে গেল তো গেলই। তনয়কে সব কথা খুলে বলতে হবে । কী জানি ও আবার কী ভাবছে! আমি জানি , আমি কোন অন্যায় করছি না। কিন্তু আশে পাশের লোক অন্যায়কারী হলে তারা এই রকম ঘটনাকে অন্যায়ই ভাববে। নিজে ভাল বলে অপর জন ভাল হবে এমন ভাবাও মোটেই ঠিক না। অনেক কিছু শিখছি। বুঝতে পারছি অনেক শেখার বাকিও আছে। মানুষ মারা গেলে তার শরীওে থাকা আত্মা কোথায় য্য়? জানি না। একেকজন একেক রকম বলে। কোনটাকে সত্য বলে মানব, তা বুঝে উঠার আগেই মাথা ঘোরে। সে জন্য জানার আগ্রহ আজকাল কমে গিয়েছে। মুনি-ঋষিদের জীবনী পড়তে ভাল লাগে কিন্তু তাদের উপদেশ মানতে ভাল লাগে না। ভয় লাগে তাদেও মত আমিও যদি নাম করা কেউ হয়ে যাই!
এানুষের সাফল্যের পেছনে কারোর না কারোর অনুপ্রেরণা থাকে। যে একের পর এক সাফল্য অর্জন করছে। সাফল্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, সি নিশ্চয় প্রেম করছে, যাকে সে চায় জীবনে তার ভালবাসা পেয়ে প্রিয়জনের অনুপ্রেরণা পাচ্ছে। পুরুষ হলে নারীর, নারী পুরুষের। কর্ম উপেক্ষা, অবহেলা, অনাদও, অনুপ্রেরণার চাইতেও অনেক-অনেক উপরে নিয়ে যায় মানুষকে। এসবই আমার নিজস্ব ধারণা, একান্তই আমার উপলব্ধি। কারোর কাছে ঠিক নাও মনে হতে পারে। সব জায়গায় যাই না। যেখানে যাই বুক ভরা বিশ্বাস নিয়ে যাই।
“আপনি এখানে দাঁড়িয়ে আছেন?”
শ্রাবস্তীর কণ্ঠস্বর শুনে আমি পেছন ফিরে তাকালাম্ এতদক্ষণ আমি যে ধ্যানে
চলবে
বিষয়: সাহিত্য
৮৮০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একটু বেশী দিতে পারেন না.
আপনি কি খুব বেশী কৃপণ..
দিচ্চেন খুবই অল্প ক্ষণ..........
মন্তব্য করতে লগইন করুন