’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘২৬পর্
লিখেছেন লিখেছেন কিশোর কারুণিক ১০ আগস্ট, ২০১৫, ১০:৫৫:৩৮ রাত
’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-২৬পর্ব
তোরা । আমি এখুনই আসছি।”
আমি বললাম, “তুই কোথায় যাবি?”
“আরে বস না..আমি আসছি।”
“না মানে বলে তো যাবি কোথায় যাচ্ছিস?”
“মিষ্টি কিনতে।”
“মিষ্টি দিয়ে আবার কী হবে!”
“কেন রে খুশির মূহুর্তে মিষ্টি মুখ করতে হয় এটাও জানিস না?”
আমি একটু উপেক্ষার স্বরে বললাম, “আরে বাবা! মিষ্টির দরকার নেই , চা বিস্কুট হলেই হবে।”
শ্রাবস্তী দিকে এক পলক তাকিয়ে বললো, “চা, চিনি, দুধ রান্না ঘরে আছে। পারলে চা তৈরী করে নিস, আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসছি।”
ছাতি নিয়ে তনয় ঘরের বাইরে চলে গেল। শ্রাবস্তী আমার দিকে রাগত দৃষ্টিতে তাকাল। শ্রাবস্তী যেন কী বলতে চাচ্ছে এই মূহুর্তে। ও বলার আগেই আমি বলে ফেললাম, “দেখুন, তনয়ের কথা মানে আমার বন্ধুর কথায় রাগ করবেন না। বোঝেনই তো, এক যুবক ছেলের সাথে মেয়ে দেখলেই মানুষ কিছু না কিছু ধারাণলা করে বসে। তাছাড়াও আমার খুবই ঘনিষ্ট বন্ধু, মাঝে মাস খানেক ওর সাথে দেখা নেই। আমার আত্মীয় স্বজনদের ও সব চেনে। আপনি অপরিচিত বলে মনে করছে আপনার সাথে বোধ হয় আমার অন্য রকম সম্পর্ক।”
মুখস্ত বিদ্যার মত বলে গেলাম। শ্রাবস্তী শুনলো কিন্তু কিছুই বললো না।
আমি আবার বললাম, “আপনি আর না দাঁড়িয়ে পোশাকটা চেঞ্জ করে নিন। ঐ দিকে বাথরুম।”
শ্রাবস্তী ব্যাগ থেকে বেগুনী রঙের সালোয়ার কামিজ বের করে বাথরুমের দিকে চলে গেল।
শ্রাবস্তী বাথরুমে ঢুকে সিটকিনি আটকাতে যাচ্ছে, কিন্তু দিতে পারছে না। খুব চেষ্টা করছে কিন্তু সিটকিনি আপকাতে পারছে না। আমি এবার এগিয়ে গেলাম বাথরুমের দিকে। শ্রাবস্তীও সিটকিনি না দিতে পেরে হয়তো কিছু বলার জন্য দরজা খুলেই আমাকে দেখতে পেল । চোখে-চোখ পড়লে,শ্রাবস্তী কেমন যেন চকমে যায়। একট ভয়ও পাচ্ছে হয়তো। নিজেকে স্বাভাইবক করে বললাম, “কি সিটকিনি লাগাতে পারছেন না, এই তো?”
শ্রাবস্তী কোন উত্তর দিলো না। আমি বাথরুমের ভেতর প্রবেশ করতেই, শ্রাবস্তী যেন আমার প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস হারিয়ে ফেললো। শ্রাবস্তী সমস্ত শরীরটা কাপঁছে।
চলবে
বিষয়: সাহিত্য
৯৯৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন