পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘ ২০ পর্ব

লিখেছেন লিখেছেন কিশোর কারুণিক ০১ আগস্ট, ২০১৫, ০৯:৪১:০৭ রাত

পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘

---কিশোর কারুণিক

উপন্যাস-২০ পর্ব

শ্রাবস্তী দৌড় দিল। খুবই সুন্দর লাগছে শ্রাবস্তীর এই দৌড়ে যাওয়ার দৃশ্য। বৃষ্টির জলে অর্ধেক প্রায় ভিজে গেছে শ্রাবস্তীর পোশাক। আমি অবাক হলাম এই ভেবে যে আমার কথায় বিশ্বাস করল ও এতো সহজে।

শ্রাবস্তী টিনের ছাপড়ার নীচে পৌঁছে আমাকে ডাকল, “কী হলো আপনি আবার দাঁড়ালেন কেন?”

“ও .. তাইতো!” আমার ধ্যান যেন ভাঙল। আমি শ্রাবস্তীর ব্যাগটা নিয়ে দৌড় দিতে গেলাম। পিছলে পড়ে গেলাম ধপাস করে। কোমরে কিছুটা ব্যথা অনুভব করলাম।

শ্রাবস্তী হেসে উঠল। শ্রাবস্তীর হাসিতে যেন তা দূর হয়ে গেল। ভাগ্যদেবতা আমাকে নিয়ে এমন ঘটনা ঘটাবেন, তা আমার জানা ছিল না। একটু লজ্জা পেয়েছি, সে জন্য মুখটা নিচু করে ফেললাম।

আবার উচ্চস্বরে শ্রাবস্তী বললো, “কী হলো উঠে আসুন।”

কিন্তু উঠতে পারছি না যে আমি। শ্রাবস্তীর মতই ঘটনা। আমি কি শ্রাবস্তীকে বলব যে আমি উঠতে পারছি না। আমাকে হাত ধরে টান দিতে হবে। না, শ্রাবস্তী কী মনে করবে! নিজে-নিজে উঠবার চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। শ্রাবস্তী দৌড় দিয়ে আসতে গেল। শ্রাবস্তীর বুকে থাকা ওড়না হয়তো লুকোচুরি খেলার জন্য উড়ে গেল। শ্রাবস্তী আমার দিকে তাকাল। আমি ভিজে যাচ্ছি দেখে, ওড়নাকে উপেক্ষা করেই আমার কাছে দৌড়ে এলো। ওড়না বিহীন এই ভাবে আধভেজা পোশাকে দৌড় দেওয়া মোটেই ঠিক না। অশোভন লাগে। অন্য কারোর কাছে কেমন লাগবে তা জানি না। শ্রাবস্তী হাত বাড়িয়ে দিলো। ডান হাতে শ্রাবস্তীর ব্যাগের হ্যান্ডেল ধরা । আপন জনের মত তাকিয়ে আছে শ্রাবস্তী। মুখটা পূর্ণিমার চাঁদের মত চকচক করছে। আমাকে কেমন লাগছে তা শ্রাবস্তীই জানে।

“কী হলো উঠুন, আরো ভিজবেন না-কি?”

আমি হতবাক শ্রাবস্তীর কান্ড দেখে। হাত বাড়িয়ে দিলাম।একটু ইচ্ছা করেই যেন জোর খাটালাম না উঠবার জন্য। শ্রাবস্তী ওর সমস্ত শরীরের শক্তি দিয়ে যেন আমাকে টান দিয়ে তুলবার চেষ্টা করল। মৃদু হাসি পেল। আমার বোন-দিদি আছে, আরো কত জনের সাথে কত সম্পর্ক, জানি না শ্রাবস্তী কোন সম্পর্কে আমাকে আপন জনের মতো সাহায্য করছে। তবে সুন্দর এক সম্পর্ক হয়তো হবে আমাদের দু’জনের মাঝে, আবার নাও হতে পারে।

একটু মৃদু হেসে শ্রাবস্তী বলল, “কী হলো উঠুন।”

শ্রাবস্তী বুঝতে পেরেছে হয়তো আমি ইচ্ছা করেই কুবুদ্ধি করছি, উঠছি না। শ্রাবস্তীর হাত শক্ত করে ধরলাম। শ্রাবস্তী টান দিলো। আস্তে করে উঠে পড়লাম । কোন সুন্দরী মেয়ের এমন সাহচর্য সহযোগিতা পাব ভাবতে পারিনি। হাত ছেড়ে দিলো শ্রাবস্তী। মনে হলো প্রাণ স্পন্দন থেমে গেল। শরীরে যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হচ্ছিল তা যেন বেড়ে গেল। জানি না শ্রাবস্তীর কী অনুভুতি হচ্ছে। শ্রাবস্তীর ব্যাগ নিয়ে ধীরে দৌড় দিলাম দু’জনে। মঝি পথে শ্রাবস্তী ওর ওড়না ওঠাতে গেল। আমি চলে আসলাম সেই

চলবে

বিষয়: সাহিত্য

৮১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File