’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘১৪ পর্ব

লিখেছেন লিখেছেন কিশোর কারুণিক ২৬ জুলাই, ২০১৫, ০৭:২৮:০৭ সকাল

’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘

----কিশোর কারুণিক

উপন্যাস-১৪ পর্ব

বাবার অনেক স্বপ্ন। পড়াশুনায় মোটামুটি ছিলাম। বেশি পড়াশুনা না করলেও কেমন করে যেন প্রতি পরীক্ষায় রেজাল্ট ভাল হয়ে যেত। বিস্ময় প্রকাশ করত সবায় । আসলে যেটুকু পড়াশুনা করতাম, করার মত করতাম। মা বাবার মনে দুঃখ দিতে চাইনা। তাই তাদের অনেক আবদার প্রশ্ন না করেই মেনে নিতাম। মা ইচ্ছা পোষণ করেছে আমার বিয়ে দেবে। লাল টুকটুকে বউ ঘরে তুলবে। বউ নুপুর পায়ে এ ঘর থেকে ও ঘরে যাবে, ঝুমুর-ঝুমুর শব্দ হবে। সেই আনন্দে ভরে থাকবে মায়ের মনটা। জানি না মায়ের এই স্বপ্ন পূরণ হরেব কিনা! যদি না হয় জানি মা খুবই কষ্ট পাবে। সেই কষ্টে আমাকেই হয়তো ভবিষ্যতে কষ্ট পেতে হবে। কাউকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা আমার মনে হয় ঠিক না। তবুও আমরা স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি। বিশ্বাস করে ফেলি কাউকে হঠাৎ করেই। মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে যেয়ে বিয়েতে আমাকে রাজি হতে হবে! কী জানি, বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে কি-না! একমাত্র ছেলে হিসাবে একটু বেশি মাত্রায় আশা থাকতে পারে আমাকে নিয়ে। আমার যত সব আবদার সাধ্যমত পূরণ করার চেষ্টা করেছে মা-বাবা। তাই আামিও তাদের আবদার পূরণ করার চেষ্টা করি। একদিন মা আমাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করে ফেললো,

“তারুণ্য তুই তো অনেকের সাথে উঠা-বসা করিস, তুই আবার কাউকে পছন্দ করিস না-তো?”

মা’র প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনি আমি। হেসেই উরিয়ে দিয়েছি। মা ও আমার সাথে হেসে ফেলেছিল। কখন যে বাড়ি যাব! এায়ের মুখটা দেখব। মনটা অস্থির হয়ে উঠল। যোগাযোগ ঠিক রাখার জন্য মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছে বাবা। মাঝে-মধ্যেই বাড়িতে মোবাইল করি। এক কাজ করি, মোবাইল করে জানিয়ে দিই আমার আসতে দেরি হবে। তারা যেন চিন্তা না করে। পকেট থেকে মোবাই বের করে মোবাইল করতে যাব, মূহুর্তে চোখ পড়ে গেল শ্রাবস্তীর দিকে। শ্রাবস্তী ট্রেনের কামরা থেকে নামছে। বুকের ভিতর কী যেন হয়ে গেল। মোবাইলটা পকেটের ভেতর ঢুকিয়ে দৌড় দেবার প্রস্তুতি নিলাম। হ্যাঁ, শ্রাবস্তী আমার দিকেই এগিয়ে আসছে। কী যে আছে আজ কপালে! বুঝতে পারছি না। শ্রাবস্তী কি আমাকে ব্লাকমেইল করবে? ও যদি কোন অপরাধী দলের সদস্য হয়ে থাকে, তবে ওর সাথে নিশ্চয় আরো লোকজন থাকতো। অথচ এখানে কোন লোকজনও নেই। আমি আর শ্রাবস্তী। শ্রাবস্তী একটি মেয়ে আর আমি ছেলে। কিসের ভয়। শ্রাবস্তী এদিক-ওদিক কিছু করলে এবারে ছেড়ে দেব না।

শ্রাবস্তী আমার দিকেই এগিয়ে আসছে। হাতে থাকা ব্যাগটা ভারী বলে কষ্ট হচ্ছে শ্রাবস্তীর। একবার বাম হাতে একবার ডান হাতে নিচ্ছে ব্যাগটা। হালকা গোলাপী রঙের সালোয়ার কামিজ পরা শ্রাবস্তীর। শ্রাবস্তী এসে আমার থেকে দূওে দাঁড়াল। কিছু যেন বলবে আমাক্ েসেই মায়াবী চাহনি। শ্রাবস্তীকে কেন যেন আমার আপন মনে হচ্ছে। ও কি যেন বলতে চাচ্ছে কিন্তু বলতে পারছে না। মাঝে-মধ্যেই শ্রাবস্তীর লার ঠোঁট দুটো মৃদু নড়ে উঠছে। আমি স্বভাবিক। যা হবার তাতো হবেই, চিন্তা করে কোন লাভ নেই। শ্রাবস্তী কথা বলছে না। হয়তো বুঝতে পারছে আমার সাথে ওরকম ব্যবহার করা ঠিক ওর হয়নি। নাকি কামরাতে একা বলে ভয পেয়ে আমার সান্নিধ্য চাইছে। শ্রাবস্তীর সাথে হঠাৎ এই অল্প সময়ের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বিশ্লেষন করার চেষ্টা করছি।

নিয়মিত চলবে

বিষয়: সাহিত্য

৮০৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

331632
২৬ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৯:১০
নাবিক লিখেছেন : আপনার উপন্যাসের নামটা তেমন একটা সুন্দর হয়নি, এজন্য পড়ার আগ্রহ জাগেনা। গল্প, উপন্যাসের আকর্ষনীয় নাম না হলে পাঠক সেটা পড়তে চায়না।

আশা করি ভবিষ্যতে এটা মাথায় রাখবেন। ধন্যবাদ..
২৭ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:১৭
274202
কিশোর কারুণিক লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File