’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘

লিখেছেন লিখেছেন কিশোর কারুণিক ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৯:৪০:৫৫ সকাল



’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘

’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘

----কিশোর কারুণিক

উপন্যাস-৭র্ব

নিজেকে নিজের ভিতর আবদ্ধ রেখেছি। একটু হালকা স্বভাবের কোন ছেলে শ্রাবস্তীর সাথে হয়তো আমার মতো আচরন করত না। এমনিতে শ্রাবস্তী খুবই সুন্দরী। আর ও যে পোশাক পরিধান করেছে , তাতে যে কোন পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার ক্ষমতা রাখে । আমিও এর ব্যতিক্রম হলাম না। তবে আমি কি সেরকম হালকা স্বভাবের ? আসলে এমন পরিস্থিতি কেন যে হলো!

পত্রিকার কাগজ ভাঁজ করে ব্যাগটা হাতে নিয়ে সিট থেকে উঠে দাঁড়াতেই কৌত’হলী দৃষ্টিতে শ্রাবস্তী একশো টাকার নোটটা আমার দিকে বাড়িয়ে বললো, “আপনার টাকাটা!”

“আমার কাছে ভাঙতি নেইৃ..তো।”

“আপনি তো চলে যাচ্ছেন, টাকাটা ভাঙিয়ে নিন।”

“কই, যাচ্ছি নাতো। ব্যাগটা শুধু গুছিয়ে রাখলাম।”

“তাই, আমি মনে করেছি, আপনি চলে যাচ্ছেন।”

হ্যাঁ শ্রাবস্তী ঠিকই ভেবেছে , চলে যেতে চেয়েও পারলাম। যাদু জালে আমাকে যেন আটকিয়ে ফেলেছে! আমি আবার সিটে বসে পড়লাম।

আমি বললাম, “আপনি কি একাই?”

‘হ্যাঁ।”

“কোথা থেকে আসছেন?”

“আলমডাঙ্গা।”

আর প্রশ্ন করলাম না। কিছুক্ষণ চুপচাপ আছি। শ্রাবস্তীও কিছু বলছে না। ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে আবার কী যেন বের করতে যাচ্ছে। মোবাইল বের করছে নাতো, কেমন একটা ভয় পেলাম। হ্যাঁ ব্যাগ হাতড়িয়ে মোবাইলটাই বের করল। আমি আমার পকেটের দিকে তাকালাম । কাজ সেরেছে। মোবাইলের মাথা বের হয়ে আছে। ্শ্রাবস্তী দেখেনি তো! শ্রাবস্তী যদি আমার নম্বরে রিং করে! মান সম্মান সব একেবারে যাবে। আমার কপালে যে আজ কী আছে ঠিক বুঝতে পাপরছি না।

তাড়াতাড়ি উঠে একপাশে গিয়ে মোবাইলটা বন্ধ করে আসি। উঠতে যাব, ওমনি সময় কিরিক-কিরিক শব্দ হলো। শ্রাবস্তীর দিকে তাকালাম। শ্রাবস্তী মায়াবী চাহনিতে কৌত’হলী ভঙ্গিমায় আমার পানে তাকিয়ে আছে। ওর হাতে মোবাইল।

ঘাভড়িয়ে গেছি পুরোদমে। জীবনে অনেক পরীক্ষা দিয়েছি হয়তো আজকের পরীক্ষায় আমি পরাজিত হতে যাচ্ছি। কোন মেয়েই আমাকে হালকা ভাবতে পারেনি। আজ অল্প সময়ের পরিচিত শ্রাবস্তী কাছে হয়তো হালকা হয়ে যাব। শ্রাবস্তীর মোবাইলে ফোন করাটা আমার ঠিক হয়নি। বুঝতে পারছি, কিন্তু এখন বুঝে কী হবে!

আমার মোবাইলে কিরিক-কিরিক শব্দ হচ্ছে। অন্যমনস্ক ভাব নিয়ে বললাম, “আপনার ফোন এসেছে, বলে উঠে চলে যাচ্ছি ওমনি মূহুর্তে মৃদু হাসি দিয়ে শ্রাবস্তী বললো,“আমার নয়, আপনার ফোন এসেছে।”

“দিন । বলে শ্রাবস্তীর মোবাইলটা নিতে গেলাম। শ্রাবস্তী সঙ্গে সঙ্গে বললো, “ রিং বাজছে আপনার মোবাইলে।”

নিয়মিত চলবে

’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘

’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘

----কিশোর কারুণিক

উপন্যাস-৭র্ব

নিজেকে নিজের ভিতর আবদ্ধ রেখেছি। একটু হালকা স্বভাবের কোন ছেলে শ্রাবস্তীর সাথে হয়তো আমার মতো আচরন করত না। এমনিতে শ্রাবস্তী খুবই সুন্দরী। আর ও যে পোশাক পরিধান করেছে , তাতে যে কোন পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার ক্ষমতা রাখে । আমিও এর ব্যতিক্রম হলাম না। তবে আমি কি সেরকম হালকা স্বভাবের ? আসলে এমন পরিস্থিতি কেন যে হলো!

পত্রিকার কাগজ ভাঁজ করে ব্যাগটা হাতে নিয়ে সিট থেকে উঠে দাঁড়াতেই কৌত’হলী দৃষ্টিতে শ্রাবস্তী একশো টাকার নোটটা আমার দিকে বাড়িয়ে বললো, “আপনার টাকাটা!”

“আমার কাছে ভাঙতি নেইৃ..তো।”

“আপনি তো চলে যাচ্ছেন, টাকাটা ভাঙিয়ে নিন।”

“কই, যাচ্ছি নাতো। ব্যাগটা শুধু গুছিয়ে রাখলাম।”

“তাই, আমি মনে করেছি, আপনি চলে যাচ্ছেন।”

হ্যাঁ শ্রাবস্তী ঠিকই ভেবেছে , চলে যেতে চেয়েও পারলাম। যাদু জালে আমাকে যেন আটকিয়ে ফেলেছে! আমি আবার সিটে বসে পড়লাম।

আমি বললাম, “আপনি কি একাই?”

‘হ্যাঁ।”

“কোথা থেকে আসছেন?”

“আলমডাঙ্গা।”

আর প্রশ্ন করলাম না। কিছুক্ষণ চুপচাপ আছি। শ্রাবস্তীও কিছু বলছে না। ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে আবার কী যেন বের করতে যাচ্ছে। মোবাইল বের করছে নাতো, কেমন একটা ভয় পেলাম। হ্যাঁ ব্যাগ হাতড়িয়ে মোবাইলটাই বের করল। আমি আমার পকেটের দিকে তাকালাম । কাজ সেরেছে। মোবাইলের মাথা বের হয়ে আছে। ্শ্রাবস্তী দেখেনি তো! শ্রাবস্তী যদি আমার নম্বরে রিং করে! মান সম্মান সব একেবারে যাবে। আমার কপালে যে আজ কী আছে ঠিক বুঝতে পাপরছি না।

তাড়াতাড়ি উঠে একপাশে গিয়ে মোবাইলটা বন্ধ করে আসি। উঠতে যাব, ওমনি সময় কিরিক-কিরিক শব্দ হলো। শ্রাবস্তীর দিকে তাকালাম। শ্রাবস্তী মায়াবী চাহনিতে কৌত’হলী ভঙ্গিমায় আমার পানে তাকিয়ে আছে। ওর হাতে মোবাইল।

ঘাভড়িয়ে গেছি পুরোদমে। জীবনে অনেক পরীক্ষা দিয়েছি হয়তো আজকের পরীক্ষায় আমি পরাজিত হতে যাচ্ছি। কোন মেয়েই আমাকে হালকা ভাবতে পারেনি। আজ অল্প সময়ের পরিচিত শ্রাবস্তী কাছে হয়তো হালকা হয়ে যাব। শ্রাবস্তীর মোবাইলে ফোন করাটা আমার ঠিক হয়নি। বুঝতে পারছি, কিন্তু এখন বুঝে কী হবে!

আমার মোবাইলে কিরিক-কিরিক শব্দ হচ্ছে। অন্যমনস্ক ভাব নিয়ে বললাম, “আপনার ফোন এসেছে, বলে উঠে চলে যাচ্ছি ওমনি মূহুর্তে মৃদু হাসি দিয়ে শ্রাবস্তী বললো,“আমার নয়, আপনার ফোন এসেছে।”

“দিন । বলে শ্রাবস্তীর মোবাইলটা নিতে গেলাম। শ্রাবস্তী সঙ্গে সঙ্গে বললো, “ রিং বাজছে আপনার মোবাইলে।”

নিয়মিত চলবে

বিষয়: সাহিত্য

১১৮২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

262242
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:২০
কাজি সাকিব লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:১৩
206288
কিশোর কারুণিক লিখেছেন : Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File