“পাবার মতো চাইলে পাওয়া”

লিখেছেন লিখেছেন কিশোর কারুণিক ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১১:০২:৩৮ রাত



“পাবার মতো চাইলে পাওয়া”

“পাবার মতো চাইলে পাওয়া”

--কিশোর কারুণিক

উপন্যাস-৫পর্ব

আমি কিছুই বললাম না। লাইন কেটে দিলাম। আমি এতদিন জানতাম আমার স্মরণশক্তি খুবই কত। এখন মনে হচ্ছে আমার স্মরণ শক্তি বেশ। ঐ লোকটিকে শ্রাবস্তী একবার ওর মোবাইল নম্বরটা বলায় লোকটি লিখে নিয়েছিল। আমি পাশ থেকে শুনেছিলাম । নম্বরটা ঠিক মনে আছে কি না পরীা করতেই সুন্দর এক শব্দ শুনলা,“হ্যালো”। যেন কতদিনের চেনা কণ্ঠস্বর । ক্রমানয়ে শ্রাবস্তীর প্রতি কি আমি দুর্বল হয়ে পড়ছি! আমি কি ওর প্রেমে আকৃষ্ট হচ্ছি? ছিৎ ছিঃ কী সব আবোল তাবোল ভাবছি। ও আমার প্রতি ভদ্রতা দেখিয়েছে, আমিও একটু ভদ্রতা দেখিয়েছেÑ এই আর কি! মোবাইল করা কি ঠিক হয়েছে! আমি তো দেখলাম নম্বরটা ঠিক মনে আছে কিন॥ । আচ্ছা, মোবাইল যে রিসিভ করলো, ও-কি শ্রাবস্তীই হঠাৎ মোবাইলে রিং বেজে উঠলো মনে হলো শ্রাবস্তী রিং ব্যাক করেছে। আমি যখন মোবাইল কিেছলাম তখন আমার মোবাইল নম্বরটা নিশ্চয় ওর মোবাইলে উঠেছিল।

মোবাইল কানের কাছে ধরে “হ্যালো” বলতেই ও পাশ থেকে লাইন কেটে দিলো। হ্যাঁ, আমি শূয়্যর, যে এটা শ্রাবস্তীর নম্বর। অনেক যাত্রীরা নিচে নেমে এদিক-ওদিকে ঘোরাফেরা করছে। এই কামরায় অথ্যাৎ “জ” তে শুধু শ্রাবস্তী বসে আছে। আমি উঠলাম কামরায়। ওর থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে শ্রাবস্তী মোবাইল রিসিভ করার জন্য মোবাইলটি কানের কাছে ধরলো।

“হ্যালো।”

হ্যাঁ সেই কণ্ঠস্বর, আবার লাইন কেটে দিলাম। স্পষ্ট দেখতে পেলাম শ্রাবস্তী একটু বিরক্ক হলো। রাগলে শ্রাবস্তীকে তো ভালোই লাগে। মোবাইলটা পকেটের ভেতর ঢুকিয়ে আমার ব্যাগ নেবার ছলনায় শ্রাবস্তীর কাছে গেলাম।

“একাই বসে আছেন?”

“হ্যাঁÑবসেন।”

“কতদূর যাবেন আপনি?”

ীণ শব্দে কী যেন বলল বুঝতে পারলাম না। আমি শ্রাবস্তীর সামনের সিটে বসলাম। এবার জড়তার কোন ভান না করে শ্রাবস্তীর সুন্দর মুখের দিকে কিছুণ তাকিয়ে থাকলাম। লজ্জায় ও আমার দিকে বেশিণ তাকালো না। আসলে খুবই সুন্দর মুখের গঠন, মায়াবী দু’টি চোখ ওর। আমি যদি কবি হতাম, কবিতা লিখে শ্রাবস্তীকে উপহার দিতাম। কি যেন চিন্তা করছে শ্রাবস্তী। আমার ব্যাগটা বাংকার থেকে নামাতে উঠে দাঁড়ালাম। শ্রাবস্তীও সিট থেকে উঠে দাঁড়াল। আমাদের শরীরের দূরত্ব পাঁচ-ছয় ইঞ্চি হবে। শরীরের ভিতর কেন যেন বিদ্যুৎ খেলে গেল।

শ্রাবস্তী বললে, “প্লিজ, আমার ব্যাগটা একটু নামিয়ে দেবেন?

আমার ব্যাগ নামিয়ে সিটের উপর রেখে শ্রাবস্তীর ব্যাগটা নামিয়ে দিলাম। একা বললে ভুল হবে, দু’জনে মিলে নামালাম। আসলে শ্রাবস্তীর রুচি আছে। আচ্ছা ,আমি যে ওর সম্মন্ধে এই অল্প সময়ে এতো কৌতূহলী হয়ে পড়েছি, আমার সম্পর্কে ওর কী ধারনা হতে পারে? নিশ্চয় খারাপ না। আর খারাপ হলে শ্রাবস্তী এমনভাবে আমার সাথে মিশতো না । ব্যাগ পায়ের কাছে রেখে শ্রাবস্তী সিটে বসে বললো, “আপনি কি চলে--

নিয়মিত চলবে

“পাবার মতো চাইলে পাওয়া”

“পাবার মতো চাইলে পাওয়া”

--কিশোর কারুণিক

উপন্যাস-৫পর্ব

আমি কিছুই বললাম না। লাইন কেটে দিলাম। আমি এতদিন জানতাম আমার স্মরণশক্তি খুবই কত। এখন মনে হচ্ছে আমার স্মরণ শক্তি বেশ। ঐ লোকটিকে শ্রাবস্তী একবার ওর মোবাইল নম্বরটা বলায় লোকটি লিখে নিয়েছিল। আমি পাশ থেকে শুনেছিলাম । নম্বরটা ঠিক মনে আছে কি না পরীা করতেই সুন্দর এক শব্দ শুনলা,“হ্যালো”। যেন কতদিনের চেনা কণ্ঠস্বর । ক্রমানয়ে শ্রাবস্তীর প্রতি কি আমি দুর্বল হয়ে পড়ছি! আমি কি ওর প্রেমে আকৃষ্ট হচ্ছি? ছিৎ ছিঃ কী সব আবোল তাবোল ভাবছি। ও আমার প্রতি ভদ্রতা দেখিয়েছে, আমিও একটু ভদ্রতা দেখিয়েছেÑ এই আর কি! মোবাইল করা কি ঠিক হয়েছে! আমি তো দেখলাম নম্বরটা ঠিক মনে আছে কিন॥ । আচ্ছা, মোবাইল যে রিসিভ করলো, ও-কি শ্রাবস্তীই হঠাৎ মোবাইলে রিং বেজে উঠলো মনে হলো শ্রাবস্তী রিং ব্যাক করেছে। আমি যখন মোবাইল কিেছলাম তখন আমার মোবাইল নম্বরটা নিশ্চয় ওর মোবাইলে উঠেছিল।

মোবাইল কানের কাছে ধরে “হ্যালো” বলতেই ও পাশ থেকে লাইন কেটে দিলো। হ্যাঁ, আমি শূয়্যর, যে এটা শ্রাবস্তীর নম্বর। অনেক যাত্রীরা নিচে নেমে এদিক-ওদিকে ঘোরাফেরা করছে। এই কামরায় অথ্যাৎ “জ” তে শুধু শ্রাবস্তী বসে আছে। আমি উঠলাম কামরায়। ওর থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে শ্রাবস্তী মোবাইল রিসিভ করার জন্য মোবাইলটি কানের কাছে ধরলো।

“হ্যালো।”

হ্যাঁ সেই কণ্ঠস্বর, আবার লাইন কেটে দিলাম। স্পষ্ট দেখতে পেলাম শ্রাবস্তী একটু বিরক্ক হলো। রাগলে শ্রাবস্তীকে তো ভালোই লাগে। মোবাইলটা পকেটের ভেতর ঢুকিয়ে আমার ব্যাগ নেবার ছলনায় শ্রাবস্তীর কাছে গেলাম।

“একাই বসে আছেন?”

“হ্যাঁÑবসেন।”

“কতদূর যাবেন আপনি?”

ীণ শব্দে কী যেন বলল বুঝতে পারলাম না। আমি শ্রাবস্তীর সামনের সিটে বসলাম। এবার জড়তার কোন ভান না করে শ্রাবস্তীর সুন্দর মুখের দিকে কিছুণ তাকিয়ে থাকলাম। লজ্জায় ও আমার দিকে বেশিণ তাকালো না। আসলে খুবই সুন্দর মুখের গঠন, মায়াবী দু’টি চোখ ওর। আমি যদি কবি হতাম, কবিতা লিখে শ্রাবস্তীকে উপহার দিতাম। কি যেন চিন্তা করছে শ্রাবস্তী। আমার ব্যাগটা বাংকার থেকে নামাতে উঠে দাঁড়ালাম। শ্রাবস্তীও সিট থেকে উঠে দাঁড়াল। আমাদের শরীরের দূরত্ব পাঁচ-ছয় ইঞ্চি হবে। শরীরের ভিতর কেন যেন বিদ্যুৎ খেলে গেল।

শ্রাবস্তী বললে, “প্লিজ, আমার ব্যাগটা একটু নামিয়ে দেবেন?

আমার ব্যাগ নামিয়ে সিটের উপর রেখে শ্রাবস্তীর ব্যাগটা নামিয়ে দিলাম। একা বললে ভুল হবে, দু’জনে মিলে নামালাম। আসলে শ্রাবস্তীর রুচি আছে। আচ্ছা ,আমি যে ওর সম্মন্ধে এই অল্প সময়ে এতো কৌতূহলী হয়ে পড়েছি, আমার সম্পর্কে ওর কী ধারনা হতে পারে? নিশ্চয় খারাপ না। আর খারাপ হলে শ্রাবস্তী এমনভাবে আমার সাথে মিশতো না । ব্যাগ পায়ের কাছে রেখে শ্রাবস্তী সিটে বসে বললো, “আপনি কি চলে--

নিয়মিত চলবে

বিষয়: সাহিত্য

১১৭৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File