আজ সোমবার ঢাকায় ঈদের প্রধান জামাত বসুন্ধরা সিটির পাশে সামারাই কনভেনশন সেন্টারে....সকলে আমন্ত্রিত....
লিখেছেন লিখেছেন হামজা ২৮ জুলাই, ২০১৪, ০৪:৫১:২০ রাত
পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা যাওয়ায় সোমবার ঢাকায় ঈদের জামাত বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স এর সামনে সামারাই কনভেনশন সেন্টারে অনু্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।
তারিখঃ ০১/১০/১৪৩৫ হিজরী (২৮/০৭/২০১৪) সোমবার
সময়ঃ সকাল ৭:৩০ (প্রথম জামাত), সকাল ৮:৪৫ (দ্বিতীয় জামাত)
স্থানঃ সামারাই কনভেনশন সেন্টার ২৩/জি/৭, পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫ (বসুন্ধরা সিটি মার্কেটের বিপরীত পাশে)
তাক্বব্বালাল্লহু মিন্না ওয়া মিনকুম...
বিশ্বব্যাপী একই দিনে রোজা শুরু ও একই দিনে ঈদ পালনের ইজতিহাদ সম্পর্কে জানতে নিম্নোক্ত লিংকগুলি দেখুন
১ম অংশ: কিছু প্রশ্ন http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/48800
২য় অংশ: পবিত্র কুরআনের বক্তব্য http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/48868
৩য় অংশ: হাদীস শরীফের বক্তব্য http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/48879
৪র্থ অংশ: ফিকাহ এর সিদ্ধান্ত http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/48891
৫ম অংশ: ও, আই, সি (OIC) - এর সিদ্ধান্ত http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/48895
৬ষ্ঠ অংশ: বৃটেন ও কানাডার সমস্যা এবং মুফতি বৃন্দের ফাতওয়া http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/48901
৭ম অংশ: ভৌগোলিক জ্ঞান সংশ্লিষ্ট কিছু প্রশ্ন এবং তার জবাব http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/48916
৮ম অংশ: সারা পৃথিবীতে একই সময়ে নামাজের ওয়াক্ত হয়না তাহলে একই দিনে রমজান মাস শুরু হবে কিভাবে? http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/48934
৯ম অংশ: যারা নিজ নিজ দেশের চাঁদ অনুযায়ী রোজা ও ঈদ পালন করে থাকেন তাদের দলীল ও তাঁর জবাব http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/49494
১০মঅংশ: আহবান http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/49520
সম্পূর্ণ লেখা http://moonsighting.ucoz.com/Global_Moon_Sighting_by_Amir_Hamza_.pdf
বিষয়: বিবিধ
২৩০৬ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরবের সময়ের পার্থক্য ৩ ঘন্টা , বাংলাদেশ আগানো ।
সৌদিতে ভোর ৪-৪.৩০ এ যখন ফযরের নামাজ পড়া হয় তখন বাংলাদেশে সময় সকাল ৭-৭.৩০ টা । সূর্য্য উঠে গেছে ২ ঘন্টারও বেশী আগে ।
এ সময় কি ফযরের নামাজ পড়া যাবে বাংলাদেশে ?
আবার সৌদিতে যখন যোহরের ওয়াক্ত শুরু হয় তখন আমেরিকাতে ফযরের আযানই হয় নি । আমেরিকার লোকেরা কি সেই ভোর রাতে সৌদির সাথে সময় মিলিয়ে যোহরের নামাজ আদায় করবে ?
আল্লাহর দুনিয়াতে কখনও আজানের ধ্বনি শেষ হয় না প্রতি নিয়তই ধ্বনিত হতে থাকে । একই মুহূর্তে কোথায় ফযর , কোথাও বা যোহর , আবার কোথাও বা আছর , কোথাও মাগরিব আর কোথাও বা 'এশার আযান হয়ে থাকে ।
ব্যতিক্রম জায়গা গুলোতে কাছের সাধারন দেশগুলোকে ফলো করা হয় ।
১। রমজান: আবদুল্লাহ ইবনে ওমর(রাঃ) থেকে বর্ণিত - "চাঁদ দেখে রোজা রেখো এবং চাঁদ দেখে রোজা ভাংগো এবং মেঘের কারনে চাঁদ দেখা না গেলে শাবান মাসের ৩০ পূর্ণ কর" - হাদিসটি কোন দেশের ভৌগলিক সীমারেখায় বদ্ধ করার সুযোগ নেই। তারপরও রাষ্ট্র কাঠামোতে একে আবদ্ধ করা হচ্ছে। ফলে দুনিয়ার সব মুসলমান একই দিন জুমা পড়লেও একই দিনে রোজা রাখে না। কেউ কেউ বিভিন্ন স্থানের সময়ের ব্যবধানকে এর কারন হিসেবে দেখেন। এক্ষেত্রে উল্লেক্ষ্য যে, একসময় ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ একই রাষ্ট্র ছিল। তখন ভারতের আকাশে চাঁদ দেখা গেলেই রোযা ও ঈদ পালন করা হতো । ৪৭ এর পর পাক-ভারত আলাদা হয়ে যায়। তখন থেকে দু’দেশের আকাশও আলাদা হয়ে গেল । ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ’ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়। তখন থেকে ‘বাংলাদেশের আকাশ’ নামে একটি আকাশেরও জন্ম হয়েছে। মহান আল্লাহ কি এভাবে পৃথক পৃথক রাষ্ট্রের জন্য পৃথক আকাশ তৈরি করেছেন? পাকিস্তান আমলের কথা যাদের স্মরণে আছে তারা জানেন যে, পিন্ডি বা বেলুচে চাঁদ দেখে পূর্ব পাকিস্তানে রোজা রাখা হতো। অথচ পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে সময়ের ব্যবধান একঘন্টা। আবার একই জনপদ দুই রাষ্ট্রে ভাগ হয়ে গেলে (যেমন, দিনাজপুর বাংলাদেশ ও ভারতে বিভক্ত হয়ে আছে) সময়ের ব্যবধান না থাকা সত্বেও রোজা শুরু হয় ভিন্ন দিন। এ বিষয়টিও বিবেচনার দাবী রাখে। তাই সময়ের ব্যবধানের জন্য তারিখ ব্যবধান সঠিক কিনা তা নিজের অন্তরকে জিজ্ঞেস করে উত্তর পেতে হবে। রাষ্ট্রীয় সীমানায় হিজরী ক্যালেন্ডার তৈরী করে কেবল ক্ষমতার কুক্ষিগত অবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা যেতে পারে, সার্বজনীন ইসলাম কায়েম হওয়া সম্ভব নয়।
২। লাইলাতুল কদর: মহিমান্বিত এ রাতে কুরআন নাজিল হয়। তাই লাইলাতুল কদর পেতে হলে কুরআন নাজিলের রাতকে খোঁজ করা দরকার। এর সাথে সম্পর্কিত রয়েছে নাজিলের স্থান। তাছাড়া সেই মহিমান্বিত রজনীতে জিব্রাইল (আঃ) অবতীর্ণ হয়ে রহমত মেলে ধরবেন বলে জানা যায়। জিব্রাইল (আঃ) তো অবতীর্ণ হবেন কেবল এক রাতে। সেই রাতটি সমগ্র দুনিয়ার জন্যই প্রযোজ্য। এক এক দেশের আলাদা আলাদা রাতে নয়। হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, রমযানের শেষ দশ তারিখের বেজোড় রাতসমুহে লাইলাতুল কদরকে তালাশ কর [সূত্রঃ সহিহ আল বুখারী ২/২৮৪ হাদিস নং ১৮৭৪]। হাদিস মোতাবেক রমযানের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতে সেই লাইলাতুল কদর তালাশ করতে কোন হিসেব গন্য হবে? কেননা রাষ্ট্রীয় সীমানায় হিজরী ক্যালেন্ডার তৈরী করে প্রায় বছরই যখন মক্কায় জোড় রাত তখন বাংলাদেশে বেজোড় রাত তালাশ করা হয়।
৩। ঈদ: ঈদের দিনে রোজা রাখা হারাম। হযরত আবু উবাইদা (রাঃ) বলেন, আমি হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর সাথে ঈদের নামাজ আদায় করেছি। তিনি বলছেন, এ দুই দিনের রোজা রাখা থেকে নবী (সাঃ) নিষেধ করেছেন। প্রথম দিন হলো, যখন তোমরা রোযা শেষ কর, আর দ্বিতীয় দিন হলো, যখন তোমরা কোরবানীর গোস্ত খাবে [সহিহ আল বুখারী ২/২৭২ হাদিস নং ১৮৫১]। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্নীত, রাসুল (সাঃ)রোজার ঈদের দিন এবং কুরবানীর ঈদের দিন রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন [সূত্র: সহীহ সহীহ বুখারী ৩য় খন্ড/১৮৬৭, ১৮৬৮ ও সহীহ মুসলিম ৩য় খন্ড/২৫৩৭-২৫৪২]। রাষ্ট্রীয় সীমানার বিবেচনায় হিজরী ক্যালেন্ডার তৈরী করে যখন মক্কায় ঈদ তখন বাংলাদেশে রোজা। শুধু পশ্চিমের মক্কায় কেন আমাদের পূর্ব দিকের দেশ জাপান, ইন্দোনেসিয়া ইত্যাদি দেশের মানুষ ঐদিন ঈদ পালন করছে। তখন আমরা রোজা রেখে হারাম কাজ করছি কিনা তা নিখুতভাবে নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। আল্লাহ রহমানুর রাহিম বিধায় আমাদেরকে মাফ করে দিতে পরেন। তারপরও ভয়তো ঠিকই থেকে যায়।
৪। হজ্ব: হিজরী ৯ই জিলহজ্ব সারা দুনিয়া থেকে মুসলমানরা এসে আরফাত ময়দানে হাজির হন। এদিনে রোজা রাখার গুরুত্ব ও সওয়াব অনেক। কিন্তু বাংলাদেশের ৯ই জিলহজ্ব আরফাত ময়দানে কেউ অবস্থান করে না। কেননা মক্কার হিসেবে সেদিন ১০ই জিলহজ্ব। ঐ তারিখে আমরা রোজা রেখে আসলে কাদের সাথে একাত্মতা করছি? তাছাড়া মীনার দিবস অর্থ্যাৎ ০৮ জিলহজ্ব ফজর থেকে ১৩ জিলহজ্ব আসর পর্যন্ত সমগ্র দুনিয়ার মুমিনগন তাকবীরে তাসরীক (আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু-আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, ওয়ালিল্লাহিল হামদ) পাঠ করে থাকেন। রাষ্ট্রীয় বিবেচনায় হিজরী ক্যালেন্ডার তৈরী করার ফলে তা হতেও বঞ্চিত হন অনেক মুমিন।
৫। আশুরা: ঐতিহাসিকভাবে এ দিবসে আল্লাহর কুদরতের হাজার নিদর্শন রয়েছে। যেমন, মুসা (আঃ) লোহিত সাগর পাড় হন, নুহ (আঃ) এর নৌকা মহাপ্লাবন শেষে পাহাড়ে মাটির নাগাল পায়, ইউনুস (আঃ) মাছের পেট থেকে বের হন, ইউসুফ (আঃ) কুয়ার ভেতর থেকে উদ্ধার হন। হযরত আবু কাতাদাহ থেকে বর্নীত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, আরাফার রোযা আগের পরের দু’বৎসরের গুনাহ মাফ করে দেয় এবং আশুরার রোযা বিগত এক বৎসরের গুনাহ সমুহ ক্ষমা করে দেয় [আহমাদ, আবুদাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, মুসলিম শরীফ]। সেজন্য আশুরার রোজা রাখার ব্যাপারে যথেষ্ট তগিদ রয়েছে। কিস্তু রাষ্ট্রীয় হিজরী ক্যালেন্ডারের কারনে তা হারিয়ে ফেলি। আশুরার রোজা রাখি ভিন্ন দিনে।
৬। কিয়ামতঃ হাদীস থেকে যতদুর জানা যায় কিয়ামত হতে পারে মহররম মাসের ১০ তারিখ। রাষ্ট্রীয় সীমানার হিজরী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এ তারিখটিও বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন দিনে আসবে। তাহলে কী এক এক দেশে কিয়ামত এক এক দিন হবে?
৭। মাসের দিন সংখ্যাঃ কোন একটি দেশে ২৯ বা ৩০ দিনে মাস শেষ, আবার অন্য দেশে আর ১ দিন বা ২ দিন পরে মাস শেষ হয়। অর্থাৎ উক্ত দুই দেশ একত্র করলে মাসের দিন হয় ৩১ বা ৩২ যা শরীয়ায় কোন দলিলে পাওয়া যায় না। সর্বজন স্বীকৃত যে, আরবী মাস ২৯ বা ৩০ দিনে হবে। চান্দ্র মাস ৩০ দিনের বেশী হওয়া বাস্তব সম্মত নয়।
১। রমজান: আবদুল্লাহ ইবনে ওমর(রাঃ) থেকে বর্ণিত - "চাঁদ দেখে রোজা রেখো এবং চাঁদ দেখে রোজা ভাংগো এবং মেঘের কারনে চাঁদ দেখা না গেলে শাবান মাসের ৩০ পূর্ণ কর" - হাদিসটি কোন দেশের ভৌগলিক সীমারেখায় বদ্ধ করার সুযোগ নেই। তারপরও রাষ্ট্র কাঠামোতে একে আবদ্ধ করা হচ্ছে। ফলে দুনিয়ার সব মুসলমান একই দিন জুমা পড়লেও একই দিনে রোজা রাখে না। কেউ কেউ বিভিন্ন স্থানের সময়ের ব্যবধানকে এর কারন হিসেবে দেখেন। এক্ষেত্রে উল্লেক্ষ্য যে, একসময় ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ একই রাষ্ট্র ছিল। তখন ভারতের আকাশে চাঁদ দেখা গেলেই রোযা ও ঈদ পালন করা হতো । ৪৭ এর পর পাক-ভারত আলাদা হয়ে যায়। তখন থেকে দু’দেশের আকাশও আলাদা হয়ে গেল । ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ’ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়। তখন থেকে ‘বাংলাদেশের আকাশ’ নামে একটি আকাশেরও জন্ম হয়েছে। মহান আল্লাহ কি এভাবে পৃথক পৃথক রাষ্ট্রের জন্য পৃথক আকাশ তৈরি করেছেন? পাকিস্তান আমলের কথা যাদের স্মরণে আছে তারা জানেন যে, পিন্ডি বা বেলুচে চাঁদ দেখে পূর্ব পাকিস্তানে রোজা রাখা হতো। অথচ পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে সময়ের ব্যবধান একঘন্টা। আবার একই জনপদ দুই রাষ্ট্রে ভাগ হয়ে গেলে (যেমন, দিনাজপুর বাংলাদেশ ও ভারতে বিভক্ত হয়ে আছে) সময়ের ব্যবধান না থাকা সত্বেও রোজা শুরু হয় ভিন্ন দিন। এ বিষয়টিও বিবেচনার দাবী রাখে। তাই সময়ের ব্যবধানের জন্য তারিখ ব্যবধান সঠিক কিনা তা নিজের অন্তরকে জিজ্ঞেস করে উত্তর পেতে হবে। রাষ্ট্রীয় সীমানায় হিজরী ক্যালেন্ডার তৈরী করে কেবল ক্ষমতার কুক্ষিগত অবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা যেতে পারে, সার্বজনীন ইসলাম কায়েম হওয়া সম্ভব নয়।
২। লাইলাতুল কদর: মহিমান্বিত এ রাতে কুরআন নাজিল হয়। তাই লাইলাতুল কদর পেতে হলে কুরআন নাজিলের রাতকে খোঁজ করা দরকার। এর সাথে সম্পর্কিত রয়েছে নাজিলের স্থান। তাছাড়া সেই মহিমান্বিত রজনীতে জিব্রাইল (আঃ) অবতীর্ণ হয়ে রহমত মেলে ধরবেন বলে জানা যায়। জিব্রাইল (আঃ) তো অবতীর্ণ হবেন কেবল এক রাতে। সেই রাতটি সমগ্র দুনিয়ার জন্যই প্রযোজ্য। এক এক দেশের আলাদা আলাদা রাতে নয়। হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, রমযানের শেষ দশ তারিখের বেজোড় রাতসমুহে লাইলাতুল কদরকে তালাশ কর [সূত্রঃ সহিহ আল বুখারী ২/২৮৪ হাদিস নং ১৮৭৪]। হাদিস মোতাবেক রমযানের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতে সেই লাইলাতুল কদর তালাশ করতে কোন হিসেব গন্য হবে? কেননা রাষ্ট্রীয় সীমানায় হিজরী ক্যালেন্ডার তৈরী করে প্রায় বছরই যখন মক্কায় জোড় রাত তখন বাংলাদেশে বেজোড় রাত তালাশ করা হয়।
৩। ঈদ: ঈদের দিনে রোজা রাখা হারাম। হযরত আবু উবাইদা (রাঃ) বলেন, আমি হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর সাথে ঈদের নামাজ আদায় করেছি। তিনি বলছেন, এ দুই দিনের রোজা রাখা থেকে নবী (সাঃ) নিষেধ করেছেন। প্রথম দিন হলো, যখন তোমরা রোযা শেষ কর, আর দ্বিতীয় দিন হলো, যখন তোমরা কোরবানীর গোস্ত খাবে [সহিহ আল বুখারী ২/২৭২ হাদিস নং ১৮৫১]। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্নীত, রাসুল (সাঃ)রোজার ঈদের দিন এবং কুরবানীর ঈদের দিন রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন [সূত্র: সহীহ সহীহ বুখারী ৩য় খন্ড/১৮৬৭, ১৮৬৮ ও সহীহ মুসলিম ৩য় খন্ড/২৫৩৭-২৫৪২]। রাষ্ট্রীয় সীমানার বিবেচনায় হিজরী ক্যালেন্ডার তৈরী করে যখন মক্কায় ঈদ তখন বাংলাদেশে রোজা। শুধু পশ্চিমের মক্কায় কেন আমাদের পূর্ব দিকের দেশ জাপান, ইন্দোনেসিয়া ইত্যাদি দেশের মানুষ ঐদিন ঈদ পালন করছে। তখন আমরা রোজা রেখে হারাম কাজ করছি কিনা তা নিখুতভাবে নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। আল্লাহ রহমানুর রাহিম বিধায় আমাদেরকে মাফ করে দিতে পরেন। তারপরও ভয়তো ঠিকই থেকে যায়।
৪। হজ্ব: হিজরী ৯ই জিলহজ্ব সারা দুনিয়া থেকে মুসলমানরা এসে আরফাত ময়দানে হাজির হন। এদিনে রোজা রাখার গুরুত্ব ও সওয়াব অনেক। কিন্তু বাংলাদেশের ৯ই জিলহজ্ব আরফাত ময়দানে কেউ অবস্থান করে না। কেননা মক্কার হিসেবে সেদিন ১০ই জিলহজ্ব। ঐ তারিখে আমরা রোজা রেখে আসলে কাদের সাথে একাত্মতা করছি? তাছাড়া মীনার দিবস অর্থ্যাৎ ০৮ জিলহজ্ব ফজর থেকে ১৩ জিলহজ্ব আসর পর্যন্ত সমগ্র দুনিয়ার মুমিনগন তাকবীরে তাসরীক (আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু-আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, ওয়ালিল্লাহিল হামদ) পাঠ করে থাকেন। রাষ্ট্রীয় বিবেচনায় হিজরী ক্যালেন্ডার তৈরী করার ফলে তা হতেও বঞ্চিত হন অনেক মুমিন।
৫। আশুরা: ঐতিহাসিকভাবে এ দিবসে আল্লাহর কুদরতের হাজার নিদর্শন রয়েছে। যেমন, মুসা (আঃ) লোহিত সাগর পাড় হন, নুহ (আঃ) এর নৌকা মহাপ্লাবন শেষে পাহাড়ে মাটির নাগাল পায়, ইউনুস (আঃ) মাছের পেট থেকে বের হন, ইউসুফ (আঃ) কুয়ার ভেতর থেকে উদ্ধার হন। হযরত আবু কাতাদাহ থেকে বর্নীত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, আরাফার রোযা আগের পরের দু’বৎসরের গুনাহ মাফ করে দেয় এবং আশুরার রোযা বিগত এক বৎসরের গুনাহ সমুহ ক্ষমা করে দেয় [আহমাদ, আবুদাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, মুসলিম শরীফ]। সেজন্য আশুরার রোজা রাখার ব্যাপারে যথেষ্ট তগিদ রয়েছে। কিস্তু রাষ্ট্রীয় হিজরী ক্যালেন্ডারের কারনে তা হারিয়ে ফেলি। আশুরার রোজা রাখি ভিন্ন দিনে।
৬। কিয়ামতঃ হাদীস থেকে যতদুর জানা যায় কিয়ামত হতে পারে মহররম মাসের ১০ তারিখ। রাষ্ট্রীয় সীমানার হিজরী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এ তারিখটিও বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন দিনে আসবে। তাহলে কী এক এক দেশে কিয়ামত এক এক দিন হবে?
৭। মাসের দিন সংখ্যাঃ কোন একটি দেশে ২৯ বা ৩০ দিনে মাস শেষ, আবার অন্য দেশে আর ১ দিন বা ২ দিন পরে মাস শেষ হয়। অর্থাৎ উক্ত দুই দেশ একত্র করলে মাসের দিন হয় ৩১ বা ৩২ যা শরীয়ায় কোন দলিলে পাওয়া যায় না। সর্বজন স্বীকৃত যে, আরবী মাস ২৯ বা ৩০ দিনে হবে। চান্দ্র মাস ৩০ দিনের বেশী হওয়া বাস্তব সম্মত নয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন