এক উম্মাহ এক রাষ্ট্র (One Ummah One State)
লিখেছেন লিখেছেন হামজা ২৫ জুলাই, ২০১৪, ০৫:০৩:২৯ বিকাল
প্রায় ১০০ বছর আগে প্রথিতযশা বৃটিশ লেখক G.K. Chesterton, "The Flying Inn" নামক এক অদ্ভুত উপন্যাস লেখেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে, উসমানীয় খিলাফত বৃটেন দখল করে তাতে শারিয়াহ প্রয়োগ করছে।
জর্জ বার্নার্ড শ রচিত "Getting Married" নাটকের একটি চরিত্রের বক্তব্য ছিল এরকম,
"এই শতাব্দীর সমাপ্তি হওয়ার পূর্বেই পুরো বৃটিশ সাম্রাজ্য নতুনভাবে সংশোধিত মোহাম্মদবাদ (ইসলাম) গ্রহণ করবে।"
উল্লেখ্য, এটা ছিল সেই সময় যখন উসমানীয় খিলাফত শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছিল, কাফিররা খিলাফতকে কিরূপ ভয় পেত, এ থেকেই বুঝা যায়।
নবুয়তের আদলে প্রতিষ্ঠিত খিলাফত যেভাবে মুসলিম উম্মাহর সম্পদ কাজে লাগিয়ে উম্মাহকে Super Power করবে।
এখানে সামরিক শক্তির একটি আংশিক চিত্র দেয়া হল....
পাকিস্তান যা উৎপাদনে সক্ষম:
! আল খালিদ এবং আল ঝাররার ট্যাংক।
! মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট, JF- 17 Thunder
! MFI-17 মুশশাক ট্রেনিং এয়ারক্রাফট।
! UAVs (Unmanned Aerial Vehicles)
! Cruise Missile
(পাকিস্তান আর্মি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহৎ আর্মি)
তুরস্ক যা উৎপাদনে সক্ষম:
! ফাইটার এয়ারক্রাফট
! Aircraft Parts For Boeing & Airbus
! UAVs
! যুদ্ধ জাহাজ।
! মিলিটারি ভেহিকলস
(তুরস্কের আর্মি পৃথিবীর ৭ম বৃহত্তম আর্মি)
ইরান যা উৎপাদনে সক্ষম:
! রাডার টেকনোলজি
! সাইব্বেহ সিংগেল সিট ফাইটার জেট
! মিসাইল সিষ্টেম
ইন্দোনেশিয়া যা উৎপাদনে সক্ষম:
! সামরিক বেসামরিক আঞ্চলিক কম্যুটার এয়ারক্রাফট
! আর্মামেন্টস এন্ড মিলিটারি ভেহিকলস
মুসলিম বিশ্বের Active মিলিটারি আছে ৫৫ লক্ষ ৯০ হাজার জন, যেখানে, আমিরিকার ১৪ লক্ষ ৭০ হাজার, রাশিয়ার ১০ লক্ষ ৩৭ হাজার, চায়নার ২২লক্ষ ৫০ হাজার, ফ্রান্সের ২লক্ষ ৬০ হাজার বৃটেনের ২লক্ষ ৪০ হাজার।
অর্থাৎ এই কুফর রাষ্ট্রগুলোর সম্মিলিত সেনাবাহিনী ৫২ লক্ষ ৫৭ হাজার, যা খিলাফতের চেয়ে কম।
আসন্ন খিলাফতের রিজার্ভ আর্মি হচ্ছে ৬ লক্ষ, আর উপরোক্ত দেশগুলোর সম্মিলিতভাবে আছে ৪লক্ষ।
সারা বিশ্বের প্যারামিলিটারি ফোর্স হচ্ছে ২কোটি ৫লক্ষ ২৬ হাজার যার মধ্যে আসন্ন খিলাফতেরই হবে ১কোটি ১৩লক্ষ ২০হাজার।
ইজরাঈলের এক্টিভ মিলিটারি ১লক্ষ ৭৬ হাজার, রিজার্ভ ৪লক্ষ ৪৫ হাজার, প্যারামিলিটারি ৮ হাজার, মোট ৬লক্ষ ২৯হাজার।
বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর অন্যতম সেরা মিলিটারি ট্যাংক হল ইসরায়েলের তৈরি "মারকাভা"। ২০১০ সালে হামাসের সাথে এই গাজাতেই আক্রমণের শিকার হওয়ার পর এই ট্যাংকের কিছু দুর্বলতা বের করে সবচেয়ে অত্যাধুনিক ভার্সন ইসরায়েল বের করেছে - "মারকাভা এমকে ৫"। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল এই ভার্সনের ট্যাংকে সর্বাধুনিক APS প্রতিব্যবস্থা (Countermeasure) সেট করা আছে যেটাকে তারা বলে TROPHY। অটোম্যাটিক ভাবেই শত্রুর ইনকামিং মিসাইল এবং রকেট হামলা ধ্বংস করে দেয় এই TROPHY সিস্টেম।
হামাস এর প্যারা-মিলিটারির হাতে একের পর এক মারকাভা ৫ ট্যাংক পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে এ যুদ্ধে। গ্রাউন্ড অফেন্সিভ এর জন্য আরেক মহা গুরুত্বপূর্ণ এলিমেন্ট হল পদাতিক সৈন্যবল (Infantry)। পৃথিবীর অন্যতম সেরা (!!) পদাতিক ইউনিট তো আবার ইসরায়েলের। এই ডিভিশনও প্রচুর ক্ষতির স্বীকার হয়েছে। কি পরিমাণ হামাসের মুজাহিদ মারা গেছে আর কি পরিমাণ মরেছে ইসরায়েলি সৈন্য তা হিসেব করলেই বুঝা যাবে। যারপরনাই মার খাবার পর এবার তারা আশ্রয় নিয়েছে ইসরায়েলি আর্টিলারি ও বিমান বাহিনীর বোমা হামলার। কারন গ্রাউন্ড অপারেশন করতে এই এলিটরা এখন ভীত একের পর এক পটল তোলার কারনে।
যদি শুধু হামাসের কাছেই এই অবস্থা হয় তাহলে একটি রাষ্ট্রের নিয়মিত সেনাাহিনী হলে যে কি অবস্থা হবে তা সহজেই অনুমেয়।
১৯৭৩ সাল। আরব ইসরাঈল যুদ্ধ চলছে।
এ যুদ্ধের প্রথম সপ্তাহেই ইসরাঈল ৫০০ ট্যাংক, ৫০টা এয়ার ক্রাফট হারায়। ৩ সপ্তাহে ইসরাঈলের ২৬০০ সৈন্য মারা যায়। মিশর, ইসরাঈলের ২৩০ জন সৈন্যকে আটক করেছিল। যার কারণে ইসরাঈলে ব্যাপক বিক্ষোভ সংঘটিত হয়।
সুবিধাজনক অবস্থায় থেকেও অক্টোবরের ২২ তারিখে দালাল আনোয়ার সাদাতের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সবাইকে হতবাক করে।
এ যুদ্ধের পরিকল্পনাকারী ছিলেন, মিশরীয় সেনা অফিসার জেনারেল সাদ আল শাযলী। আনোয়ার সাদাত তাকে হটিয়ে দিয়ে কর্তৃত্ব নিজে নেয়।
প্রশ্ন হচ্ছে জেনারেল সাদ কেন এই বীরত্ব দেখিয়েছিলেন???
আল জাযিরার সাথে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, "আমি এর প্রতিদান আল্লাহর কাছে চাই।"
দুঃখটা এখানেই, অসংখ্য মুসলিমের শহীদ হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই উম্মাহ আজ বুঝতে পারছে ইসরায়েলের শক্তিশালী হওয়াটা একটা আরটিফিশিয়ালি ক্রিয়েটেড মিথ বাই দা ওয়েস্ট। যদি শুধু মিশরের বর্ডার খুলে দেয়, তাহলে এক মিশরের মুসলিমদের মুত্রমুক্তিতেই কিছু ভুমধ্যসাগরে আর কিছু জর্ডানে বাকি মুসলিমদের কবলে গিয়ে পরবে এই ইসরায়েলিরা।
আমাদের তাকবীর শুনেই হার্ট এটাকে মারা যাবে, নাহয় প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলবে।
আমাদের এমন একজন খলীফা দরকার যিনি এই রিসোর্সসমূহকে কাজে লাগাবেন। নসীহা করবেন, উম্মাহর সন্তানদের মৃত ঈমানকে পুনর্জীবিত করবেন এবং উম্মাহকে তার সেনাবাহিনীসহ প্রস্তুত করবেন।
এবং তখন মিডিয়ায় খিলাফত শুধুই ঘোষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেনা, বরং আবু সুফিয়ান মক্কা বিজয়ের আগে যেমন ভিক্ষা চাইতে এসেছিল, তেমনি
কুফর শক্তিগুলোই আমাদের কাছে এসে তার সুরক্ষা ভিক্ষা চাইবে।
সেইদিনের অপেক্ষায়........
বিষয়: বিবিধ
২৩৬৪ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ তুমি এমন একদলকে পয়দা করে দাও- আমিন ।
সেই অপেক্ষাই.........
জনপদ বিভাগে কাজ করতাম। আমার প্রোজেক্টের
ঠিকদার বাইবেল খুলে দেখালো। সিরিয়া থেকে
একদল লোক বেড় হবে। তারা সারা বিশ্বে একই
ধর্ম নিয়ে এগিয়ে যাবে। তুমি কি বিশ্বাস কর?।
আমি এ ব্যাপারে জড়াতে চাইলাম না। সেই দিনের অপেক্ষায় থাকলাম।
তুমি বিভেদ করে চলো
শিয়া সুন্নি কুর্দি,
ওরা চালায় কমন রোলার
ঢেকে যায়ন উর্দি।
পদ্ধতি ও কৌশলগত পরিকল্পনা ও কর্মসূচী নিয়ে এগুতে হবে, তা না হলে এ অপেক্ষা ফুরাবেনা
তাই পদ্ধতি ও কৌশলগত পরিকল্পনা ও কর্মসূচী নিয়ে কিছু বলুন
[অ.ট. আপনার পোস্টগুলো পড়তে ছাড়িনা, ইমেইলে আলাপ করতে পারলে ভালো হতো ]
এই বাক্য আসন্ন খিলাফত বলতে কি ইরাকের যৌন জিহাদী সন্ত্রাসীদের বোঝাচ্ছেন না অন্য কিছুকে ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন