ওআইসি (OIC), আরব লীগ বা জাতিসংঘ নয়, বরং প্রকৃত খিলাফাহ রাষ্ট্রই মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তা ও মানবতার মুক্তি নিশ্চিত করবে
লিখেছেন লিখেছেন হামজা ২২ জুলাই, ২০১৪, ১২:৩৪:৪৬ রাত
পবিত্র এই রমযান মাসে ফিলিস্তিনের গাজার মুসলিমদের উপর ইহুদিবাদী আগ্রাসন এবং তাদের আর্তনাদ ও আহাজারি আমাদের আবারও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে এই উম্মাহ’র একমাত্র রক্ষাকবচ হল নবুয়্যতের আদলে প্রতিষ্ঠিত খিলাফত রাষ্ট্র।
ইসরাইল নামক পশ্চিমাদের এই জারজ দেশটিকে নিয়ে সমস্যার গোঁড়াতে রয়েছে মুসলিম ভূমিগুলোর দালাল তাঁবেদার শাসকরা। ইসরাইলের প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আরব, তুরস্ক, এবং মুসলিম ভূমিগুলোর প্রতারক ও অত্যাচারী শাসকরা আমেরিকার ও পশ্চিমাদের সাথে মিলে ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাচ্ছে। মিশর, সৌদি আরব, জর্ডান, তুরস্ক ও সিরিয়ার মতো মুসলিম দেশের শাসকরা “ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি”, “রেজুলেশন ১৭০১ ও ১৮৬০” এবং “শারম আল শেইখ” এর মতো বিভিন্ন প্রকারের অপমানকর চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে মুলতঃ ইসরাইলের নিরাপত্তা বিধান করে যাচ্ছে। তুরস্ক পৃথিবীর একটি শক্তিধর মিলিটারি দেশ হওয়া সত্ত্বেও আমরা দেখতে পেলাম তুরস্কের এরদগান সরকার তাদের বোমারু বিমান না পাঠিয়ে গাজায় ত্রাণ পাঠাচ্ছে! আরেক বিশ্বাসঘাতক মিশরের সিসি তো ইতিমধ্যেই মিশরের বর্ডার বন্ধ করে দিয়েছে যাতে করে চিকিৎসা সেবা নিতেও কোন ফিলিস্তিনি মিশরে যেন প্রবেশ করতে না পারে! এটা আমাদের বোঝা উচিৎ এই শাসকরা মুসলিমদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ক্ষমতার মসনদে বসেনি, বরং তাদের বসানো হয়েছে আমাদের শত্রুদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য।
তাই এই ইহুদিবাদী আগ্রাসনের একমাত্র সমাধান হল মুসলিম ভূমিগুলোর শাসকদের অপসারন করে খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করা। মুসলিমদের এই দুর্ভোগ ও হতাশার জীবন থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হল একজন যোগ্য খলিফাকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করা যার সেনাবাহিনী “আল-আকসার” এই পুণ্যভূমিকে পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে আমাদের হারানো গৌরব ও সম্মান ফিরিয়ে আনবে।
إِنَّمَا الْإِمَامُ جُنَّةٌ يُقَاتَلُ مِنْ وَرَائِهِ وَيُتَّقَى بِهِ
“নিশ্চয়ই, ইমাম (খলিফা) হচ্ছেন ঢাল স্বরূপ যার পেছনে থেকে তোমরা যুদ্ধ কর এবং নিজেদেরকে রক্ষা কর।” [মুসলিম]
বিষয়: বিবিধ
১৮০০ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খিলাপতের ভয়েই আরব রাষ্ট্র গুলো এদিকে হাটবে না।
আপনার ভাষায় বলি" মিশরের সিসি তো ইতিমধ্যেই মিশরের বর্ডার বন্ধ করে দিয়েছে যাতে করে চিকিৎসা সেবা নিতেও কোন ফিলিস্তিনি মিশরে যেন প্রবেশ করতে না পারে! এটা আমাদের বোঝা উচিৎ এই শাসকরা মুসলিমদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ক্ষমতার মসনদে বসেনি, বরং তাদের বসানো হয়েছে আমাদের শত্রুদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য।
ধন্যবাদ।
আপনার এ বক্তব্যের সাথে পুরাপুরি একমত । অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন