ইখতিলাফি (মতপার্থক্যপূর্ণ) মাসআলা-মাসায়েলের ব্যাপারে শাইখ উসাইমিন(রহঃ) এর অসাধারণ কিছু নসিহা-

লিখেছেন লিখেছেন হামজা ২০ জুলাই, ২০১৪, ০১:৫১:২৮ দুপুর

"ইজতিহাদি বিষয়ে বৈধ মতপার্থক্য প্রকৃতপক্ষে বাস্তব জীবনের কোন পার্থক্য না কারন যারাই ভিন্ন ইজতিহাদি মত গ্রহন করেছে সেটা তাদের জন্য ফরয ছিল এবং সেটা থেকে সরে আশা তাদের জন্য বৈধ হতো না। তাই যখনি তারা দেখে যে তাদের কোন এক ভাই ভিন্ন কোন মত নিয়ে নিয়েছেন, তখন কিন্তু তারা মনে করে এই মতপার্থক্য বাস্তব জীবনের কোন দ্বন্দ্ব না কারন তাদের সেই ভাইও শরিয়ার দলীল খুজেই দ্বিমত পোষণ করেছেন। তাই যদিও সে অন্যদের সাথে দ্বিমত পোষণ করছে কিন্তু সে দলীল এর ওপর ভিত্তি করেই তা করছে। তাই আমি (শেইখ উথাইমিন) এটাকে ফরয মনে করি যে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের ভাইদের সবসময় ঐক্যের ভেতরই থাকা উচিৎ যদিওবা তারা একে ওপরের সাথে দ্বিমত পোষণ করে, এবং এই দ্বিমত মেনে নেয়া যাবে যতক্ষণ পর্যন্ত তা শরিয়ার দলীল এর ওপর দাড়িয়ে থাকবে। এটা মনে রাখতে হবে এই মতপার্থক্য (ইখতিলাফ) হল আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা সরলতা (উপহার আকারে), আমাদের শুধু মনে রাখতে হবে আমাদের কথা এবং হৃদয় যাতে এক থাকে ইখতিলাফ সত্ত্বেও। নিঃসন্দেহে, আল্লাহর শত্রুরা মুসলিমদের ভেতর বিভক্তি দেখতে চায়। তাই আমাদের উচিৎ "আল ফিরকা আন নাজিয়্যাহ" (Saved Sect) এর বিশেষ চরিত্র ধারন করার যেটা হল - "একই কণ্ঠের ভেতর দিয়ে ঐক্যের ডাক দেয়া" (মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও)"। [মাজমু আল-ফাতওয়া ওয়ার রাসাইল, খণ্ড ১]

বিষয়: বিবিধ

১৪৪৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

246249
২০ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:৫৭
ইমরান ভাই লিখেছেন : আমলে পার্থক্য থাকতে পারে তবে জাল/যইফ হাদীস মেনে পার্থক্য করলে তো সমস্যা। আর আকিদাতে কোন পার্থক্য থাকতেই পারে না।

আসলে সর্ব সমস্যা হলো আকিদাতে সমস্যা। শিরর্কি আকিদা নিয়ে ঘুরার লোক তো কম না। আবার তারা হক্কানী।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File