রোযা, ঈদ, লাইলাতুল কদর ও আরাফার দিন সহ চাঁদ নির্ভর প্রতিটি ইবাদাতে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বারের বা দিনের ভিন্নতা কেন? কুরআন, সুন্নাহ্, ফিক্হ ও জ্যোতির্বিজ্ঞান কী বলে? ৫ম অংশ
লিখেছেন লিখেছেন হামজা ০৮ জুলাই, ২০১৪, ০৭:৫২:০৫ সন্ধ্যা
ও, আই, সি (OIC) - এর সিদ্ধান্ত
বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম দেশ এবং সকল মুসলিমের প্রতিনিধিত্বকারী বিশ্ব মুসলিম সংগঠন ‘ও, আই, সি’-এর ফিকহ একাডেমী ১৯৮৬ সনের ১১-১৬ অক্টোবর জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে শতাধিক শরীয়াহ্ বিশেষজ্ঞের সর্ব সম্মতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে,
“যদি কোন এক দেশে নতুন চাঁদ উদয় প্রমানিত হয়, তবে বিশ্বের সকল মুসলিমকে অবশ্যই ইহা মেনে চলতে হবে। চাঁদের উদয়স্থলের ভিন্নতা গ্রহণীয় নয়। কারন রোযা শুরু এবং শেষ করার বিধান বিশ্বজনীন”।
ও, আই, সি’-এর সিদ্ধান্ত দেখতে নিম্নোক্ত লিংকে ক্লীক করুন।
http://www.newmoonbd.com/oic_decision.php
এছাড়াও ১৯৮৯ সালে কুয়েতে আরও একটি সম্মেলন হয় যেখানে ইসলামী একাডেমী ও আরব বিশ্বের বহু স্কলার আলিমগন উপস্হিত ছিলেন, তারা সিদ্ধান্ত নেন যে “যদি কোনো এলাকায় চাঁদ দেখা যায় তাহলে অন্যদেরও তা অনুসরণ করা উচিত কারন হাদীসের সম্বোধন সকল মুসলিমের জন্য সার্বজনীন”।
শুধু জ্যোতির্বিজ্ঞানের গণনা অনুযায়ী রোজা ঈদ বৈধ নয় এই মর্মে ফাতওয়া
শুধু জ্যোতির্বিজ্ঞানের গণনা অনুযায়ী রমজান মাস শুরু, ঈদ ইত্যাদি করা যাবেনা বরং অবশ্যই চাঁদ দেখতে হবে বা চাঁদ দেখার নির্ভরযোগ্য সংবাদ পেতে হবে।
এই ব্যাপারে দারুল ইফতা বিজনুর থেকে মুফতি আযিযুর রহমান মাদানী নিম্নোক্ত ফাতওয়া প্রদান করেছেন,
“চাঁদ দেখা সম্পর্কে হাদীসের বাক্য হচ্ছে ‘ছুমু লি রূয়াতিহি’ অর্থাৎ ‘চাঁদ দেখে রোজা রাখ’। যা নির্দেশবাচক শব্দ। নির্দেশবাচক শব্দে ওয়াজিব প্রমানিত হয়। এই ওয়াজিব চন্দ্রদোয়ের পর (চাঁদ দেখার দ্বারা) রহিত হয়ে যায়। আকাশে চন্দ্রের জন্ম হয়েছে কি হয়নি, তা শরীয়তের বিষয় নয়; শরীয়তের বিষয় হল চাঁদ দেখা গেল কি গেল না। একই হাদীসের অপর বাক্য হচ্ছে ‘চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোজা রেখনা’ এই বাক্যেও রোজা না রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যতক্ষন না চাঁদ দেখা যায়। যারা গণনার উপর নির্ভর করে তারা ফাসিক বলে হেদায়ায় উল্লেখ আছে। অনেকে আবার কাফির বলেছেন। (মিরকাত ৪র্থ খন্ড পৃষ্ঠা ২৪২) জ্যোতির্বিদদের কথার মূল্য নেই বলে ইজমা হয়ে গেছে
একথা প্রমানিত যে যদি চাঁদ না দেখা যায়, তবে বৈজ্ঞানিক হিসাবকে তার স্হলাভিষিক্ত করা যাবেনা। এক্ষেত্রে ৩০ পূর্ণ করতে হবে। বৈজ্ঞানিক হিসাবকে মানলে কুরআন হাদীস মানা হল না।” (মুফতি আযিযুর রহমান মাদানীর ফাতওয়া এখানেই শেষ) [(মুফতি আযিযুর রহমান মাদানী, ২১শে রজব ১৩৯০ হিজরী)]
১ম অংশ: কিছু প্রশ্ন http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/48800
২য় অংশ: পবিত্র কুরআনের বক্তব্য http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/48868
৩য় অংশ: হাদীস শরীফের বক্তব্য http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/48879
৪র্থ অংশ: ফিকাহ এর সিদ্ধান্ত http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/48891
৫ম অংশ: ও, আই, সি (OIC) - এর সিদ্ধান্ত http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/48895
৬ষ্ঠ অংশ: বৃটেন ও কানাডার সমস্যা এবং মুফতি বৃন্দের ফাতওয়া http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/48901
৭ম অংশ: ভৌগোলিক জ্ঞান সংশ্লিষ্ট কিছু প্রশ্ন এবং তার জবাব http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/48916
৮ম অংশ: সারা পৃথিবীতে একই সময়ে নামাজের ওয়াক্ত হয়না তাহলে একই দিনে রমজান মাস শুরু হবে কিভাবে? http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/48934
৯ম অংশ: যারা নিজ নিজ দেশের চাঁদ অনুযায়ী রোজা ও ঈদ পালন করে থাকেন তাদের দলীল ও তাঁর জবাব http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/49494
১০মঅংশ: আহবান http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9430/Hamza/49520
সম্পূর্ণ লেখা http://moonsighting.ucoz.com/Global_Moon_Sighting_by_Amir_Hamza_.pdf
বিষয়: বিবিধ
১৪৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন