খুব সকাল সকাল বাইক চালানো শেখা, অতঃপর রক্তদান--
লিখেছেন লিখেছেন পুণ্য ১২ জুলাই, ২০১৪, ০৫:০৭:১৫ সকাল
খুব সকাল সকাল বাইক চালানো শেখা, অতঃপর রক্তদান--
বেশ কিছু দিন থেকেই ভাবছিলাম বাইক চালানোটা শিখে ফেলব। ইচ্ছের কথাটা বাইক ওয়ালা কয়েক জনকে বলে ফেললাম। অনেকে উৎসাহিতও করলেন কিন্তু সময় আর সুযোগ হয়ে উঠছিলনা। শেষ-মেশ গত কয়েকদিন থেকে আমার কাজিন Tareq Aziz কে জানাতেই সে খুব আগ্রহ নিয়ে সাড়া দিল। কিন্তু এতেও বাঁধা হল ফজরের পর অতি দামি ঘুম মহাশয়। কারণটা যথারীতি দেরিতে ঘুমাতে যাওয়া।
অবশেষে গতরাতে সিদ্ধান্ত নেই, যে করে হোক আজ ফজরের ঘুমকে কোন ভাবেই প্রশ্রয় দেব না। আজ ভোরে উঠেই ফোন দিলাম কাজিনকে। সেও খুলশি থেকে রওয়ানা দিল আমার বাসার উদ্দেশ্যে জুবিলী রোডে। ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে সে এসে পোঁছাল আর আমিও বাইকের পেছনে উঠে বসলাম। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো চালানো শিখব এমন খোলা মাঠ খুঁজে না পাওয়ায়। পাঁশে একটা স্কুল মাঠে গিয়ে দেখি গেইটে তালা। আবার রওয়ানা দিলাম লালদীঘি মাঠে, সেখানে দেখি লোকজন ফুটবল ক্রিকেটে মত্ত। উপায় না পেয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম এর মধ্যেই চালানোর।
আসল সেই প্রতীক্ষিত ক্ষণ, উঠে বসলাম বাইকে। কিছু বেসিক টিপস দিল সে মতে দিলাম স্টার্ট দেখি বাইক চলতে শুরু করেছে আর আমিও শিহরিত। অল্প একটু চালানোর পর পড়ে যাব মুহূর্তে আমি বাইক ছেড়ে দিয়ে নিজেকে সেইফ করি। পাশে খেলার দরুন ঠিকমত চালাতে পারছিলাম না। তাই সিদ্ধান্ত নেই জায়গা পরিবর্তন করব।
এবার গেলাম লালদীঘি থেকে সি আর বি তে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ বাইক চালনোর পর আবার হালকা দুর্ঘটনা। এবার বাঁ পায়ে খানিকটা আঘাত পেলাম। তারপরও রাস্তা উঁচু নিচু হওয়াতে ভালই লাগল চালিয়ে।
বাসায় ফিরব বলে নাস্তা করে বের হতেই কাজিনের মোবাইল বেজে উঠে। খবর, রক্ত লাগবে এ পজেটিভ। আমি বললাম, আমি তো এ পজেটিভ। ঠিক আছে আমি রক্ত দেব। এবার গন্তব্য সি আর বি থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল। সব দাফতরিক নিয়ম শেষে রক্তও দিলাম। স্বাভাবিক ভাবে রক্ত দাতাকে রোগীর অভিভাবকরা যত্ন-আত্তি করে। রক্ত দান শেষে উনারা আমাকে ডাব খেতে দেয়। গতরাতে দেরিতে ঘুমানো,আবার ভোরে উঠা, বাইক চালানো, হালকা আঘাত পাওয়া এবং রক্ত দেয়া সব মিলিয়ে মাথাটা ক্যামন জানি করছিল। এর মধ্যে ডাবের পানি পাইপ দিয়ে টানতে টানতেই সেন্সলেস!!
একটু পর সেন্স ফিরলে নিজেকে আবিস্কার করি হাসপাতালের বেঞ্চে শুয়া অবস্থায় আর রোগীর একজন অভিভাবক আমাকে মাথায় পানি দিচ্ছেন এবং মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এটা ছিল আমার সেকেন্ড টাইম রক্ত দেয়া। প্রথমবার দিয়েছিলাম মায়ের অপারেশনের সময়।
আর বাসায় ফিরে যথারীতি মায়ের বুকুনি সাথে যত্ন।
বেশ কিছু দিন থেকেই ভাবছিলাম বাইক চালানোটা শিখে ফেলব। ইচ্ছের কথাটা বাইক ওয়ালা কয়েক জনকে বলে ফেললাম। অনেকে উৎসাহিতও করলেন কিন্তু সময় আর সুযোগ হয়ে উঠছিলনা। শেষ-মেশ গত কয়েকদিন থেকে আমার কাজিন Tareq Aziz কে জানাতেই সে খুব আগ্রহ নিয়ে সাড়া দিল। কিন্তু এতেও বাঁধা হল ফজরের পর অতি দামি ঘুম মহাশয়। কারণটা যথারীতি দেরিতে ঘুমাতে যাওয়া।
অবশেষে গতরাতে সিদ্ধান্ত নেই, যে করে হোক আজ ফজরের ঘুমকে কোন ভাবেই প্রশ্রয় দেব না। আজ ভোরে উঠেই ফোন দিলাম কাজিনকে। সেও খুলশি থেকে রওয়ানা দিল আমার বাসার উদ্দেশ্যে জুবিলী রোডে। ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে সে এসে পোঁছাল আর আমিও বাইকের পেছনে উঠে বসলাম। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো চালানো শিখব এমন খোলা মাঠ খুঁজে না পাওয়ায়। পাঁশে একটা স্কুল মাঠে গিয়ে দেখি গেইটে তালা। আবার রওয়ানা দিলাম লালদীঘি মাঠে, সেখানে দেখি লোকজন ফুটবল ক্রিকেটে মত্ত। উপায় না পেয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম এর মধ্যেই চালানোর।
আসল সেই প্রতীক্ষিত ক্ষণ, উঠে বসলাম বাইকে। কিছু বেসিক টিপস দিল সে মতে দিলাম স্টার্ট দেখি বাইক চলতে শুরু করেছে আর আমিও শিহরিত। অল্প একটু চালানোর পর পড়ে যাব মুহূর্তে আমি বাইক ছেড়ে দিয়ে নিজেকে সেইফ করি। পাশে খেলার দরুন ঠিকমত চালাতে পারছিলাম না। তাই সিদ্ধান্ত নেই জায়গা পরিবর্তন করব।
এবার গেলাম লালদীঘি থেকে সি আর বি তে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ বাইক চালনোর পর আবার হালকা দুর্ঘটনা। এবার বাঁ পায়ে খানিকটা আঘাত পেলাম। তারপরও রাস্তা উঁচু নিচু হওয়াতে ভালই লাগল চালিয়ে।
বাসায় ফিরব বলে নাস্তা করে বের হতেই কাজিনের মোবাইল বেজে উঠে। খবর, রক্ত লাগবে এ পজেটিভ। আমি বললাম, আমি তো এ পজেটিভ। ঠিক আছে আমি রক্ত দেব। এবার গন্তব্য সি আর বি থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল। সব দাফতরিক নিয়ম শেষে রক্তও দিলাম। স্বাভাবিক ভাবে রক্ত দাতাকে রোগীর অভিভাবকরা যত্ন-আত্তি করে। রক্ত দান শেষে উনারা আমাকে ডাব খেতে দেয়। গতরাতে দেরিতে ঘুমানো,আবার ভোরে উঠা, বাইক চালানো, হালকা আঘাত পাওয়া এবং রক্ত দেয়া সব মিলিয়ে মাথাটা ক্যামন জানি করছিল। এর মধ্যে ডাবের পানি পাইপ দিয়ে টানতে টানতেই সেন্সলেস!!
একটু পর সেন্স ফিরলে নিজেকে আবিস্কার করি হাসপাতালের বেঞ্চে শুয়া অবস্থায় আর রোগীর একজন অভিভাবক আমাকে মাথায় পানি দিচ্ছেন এবং মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এটা ছিল আমার সেকেন্ড টাইম রক্ত দেয়া। প্রথমবার দিয়েছিলাম মায়ের অপারেশনের সময়।
আর বাসায় ফিরে যথারীতি মায়ের বুকুনি সাথে যত্ন।
বিষয়: বিবিধ
১০৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন