তারাবীহ কথন ও শৈশব স্মৃতি
লিখেছেন লিখেছেন পুণ্য ০৫ জুলাই, ২০১৪, ১১:৩৩:৪৫ রাত
যে মসজিদে তারাবীহ আদায় করি সে মসজিদটা বেশ বড়ই। প্রথম, দ্বিতীয় তলা থাকে মুসল্লিতে পূর্ণ। আর তৃতীয় তলায় মুসল্লি থাকে অর্ধেকটায় আবার যার বেশির ভাগ সংখ্যাটা কিশোর এবং বাচ্চা বয়সীদের দখলে। আর যত মুশকিল এদের নিয়ে। এদের দমানোর জন্যেই একজন মুয়াজ্জিন হুজুর নিয়োজিত। কিশোর আর বাচ্চাদের কাণ্ড গুলো বড্ড হাঁসির এবং বিদঘুটে। কিশোররা সালাতুত তারাবীহ বাদ দিয়ে ব্যতি ব্যস্ত থাকে মোবাইল ফেসবুক নিয়ে। আর বাচ্চারা ব্যতি ব্যস্ত থাকে পরস্পর খুনসুটিতে। আর এদের সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় মুয়াজ্জিন হুজুরের।মুয়াজ্জিন হুজুরের চেষ্টা থাকে কিভাবে সালাতের পরিবেশ নির্বিঘ্ন রাখা যায়।
আর এদের ইঁদুর-বিড়াল কাণ্ড দেখে নিজের শৈশব স্মৃতি মনে হতেই হাঁসি পায়। হায়রে, এদের বয়সী থাকতে আমরাও কত দুষ্টুমিই না করতাম আর হুজুরের বকা খেতাম। নামাজের সময় অন্যের টুপি নিয়ে ফেলতাম, পাশে দাঁড়ানো বন্ধুটিকে নামাজে দাক্কা দিয়ে ফেলে দিতাম আরো কত কি! আরেকটা মজার ব্যাপার ছিল দল বেঁধে একদিন এক এক মসজিদে তারাবীহ আদায় করতে যাওয়া আর পথে শসা বাগান থেকে শসা চুরি করে খাওয়া।আরেকটা ব্যাপার আরো বেশি মজা দিত পুকুর ঘাটে টর্চ লাইটের আলোতে হাত দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা। তাতে কখনও সফল আবার কখনও ব্যর্থ।
বিষয়: বিবিধ
১০৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন