হিন্দু ধর্মগ্রন্থ বেদের বৈজ্ঞানিক ভুল; (ওপেন চ্যালেঞ্জ - পর্ব ১)
লিখেছেন লিখেছেন আলোকিত আধারে ২৯ নভেম্বর, ২০১৫, ১১:৫৩:৫৩ রাত
.
বেদ হিন্দুদের প্রাচীনতম ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থের নাম। এর চারটি মূল অংশ রয়েছে - ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সাম বেদ এবং অথর্ব বেদ। বেদ (সংস্কৃত véda वेद " জ্ঞান ") প্রাচীন ভারতে লেখা হয়েছে। এটি প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ হিন্দুদের। অথর্ববেদ ৬/৪৪/১ এ বলা হয়েছে, "পৃথিবী স্থির ও নিশ্চল দাঁড়িয়ে আছে।" (নীচে স্ক্রীনশট)
.
Atharva Veda 6.44.1 Firm stood the heaven,firm stood the earth, firm stood this universal world.Firm stood the treesthat sleep erect: let this thy malady be still.
.
.
এখানেও বলা হয়েছে পৃথিবী স্থির।
Atharva Veda 6.77.1 Firm stands the heaven,firm standsthe earth, firm stands this universal world…
.
.
পৃথিবী স্থির এটা বেদাংগেও রয়েছে। বেদাংগ (নিরুক্ত ১০/৩২) বলা হয়েছে, "সবিতা পৃথিবীকে স্থির করে রেখেছেন খুটি দ্বারা।"
.
Rig Veda 10/149 Savitar has fixed the earth with supports; Savitar has fastened heaven in unsupported space…
.
.
Rig Veda 18/89, Sam Veda 4/1/5 Indra hath fixed [Stopped] the earth and heaven as with an axle… (দেব ইন্দ্র পৃথিবী কে স্থির রেখেছেন)।
.
.
অথচ বিজ্ঞান বলে পৃথিবী সহ অন্যান্য গ্রহগুলো গতিশীল। আমরা লক্ষ করেছি যে, প্রতিদিন সূর্য পূর্বদিকে উঠে এবং পশ্চিমে অস্ত যায়। এর কারণ পৃথিবী গতিশীল। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে সূর্যকে সম্মুখে রেখে পৃথিবী নিজ অক্ষে আবর্তন ও নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করছে। এটিই পৃথিবীর গতি। পৃথিবীর গতি দুই প্রকার- আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি। স্থির নক্ষত্রের সাপেক্ষে নিজের অক্ষের চারিদিকে পৃথিবীর একবার পূর্ণ ঘূর্ণনের সময়কাল কে স্থির নক্ষত্র দিবস বলা হয়। এর মান ৮৬,১৬৪.০৯৮৯০৩৬৯১ গড় সৌর সেকেন্ড বা ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট ৪.০৯৮৯০৩৬৯১ গড় সৌর দিন। নিচের ছবিতে দেখুন (পৃথিবীর ঘূর্ণনতল ও অক্ষের সঙ্গে অক্ষীয় নতির সম্পর্ক)।
.
.
অথর্ববেদ ১৫/৭/১ এ বলা হয়েছে, "তিনি চলে গেলেন পৃথিবীর শেষ প্রান্তে।", এই একই কথা আবার আছে রিগবেদ ৭/৮৩/৩ এ, "তিনি তাকালেন পৃথিবীর শেষ প্রান্তে।" এখন যে জিনিস গোল বা কমলালেবুর মতো তার শেষ প্রান্ত কি করে হয় ? নীচে স্ক্রীনশট দেয়া হল।
.
.
অথর্ববেদ ১৮/৪/৮৯ তে বলা হয়েছে, "চাঁদ পানির মধ্যে গমন করে আকাশের আলোয়।"
অর্থাৎ যখন সুর্যের আলো আকাশে আসে, তখন চাঁদ নাকি পানিতে ডুবে। Atharva Veda 18/4 With in the waters runs the Moon...
সংস্কৃত ইংরেজি দুই ধরনের স্ক্রীনশটই দিলাম।
.
.
.
চাঁদ পানিতে ডুবে তার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নাই। বিজ্ঞান বলে, আমরা পৃথিবী থেকে চাঁদের একই পৃষ্ঠ সবসময় দেখতে পাই। চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে ২৭ দিন, ৭ ঘন্টা, ৪৩ মিনিট এবং ১১ সেকেন্ড সময় নেয় কিন্তু সমসাময়িক আবর্তনের ফলে পৃথিবীর পর্যবেক্ষকরা প্রায় ২৯.৫ দিন হিসেবে গণনা করে। একটি ঘণ্টা আবর্তনের পর্যায়কাল অর্ধেক ডিগ্রি দূরত্ব অতিক্রম করে। চাঁদ পৃথিবীকে যে অক্ষরেখায় পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করছে, সে অক্ষরেখায় চাঁদ একদিন বা ২৪ ঘন্টায় ১৩°কোণ অতিক্রম করে। সুতরাং পৃথিবীকে প্রদক্ষীণ চাঁদের সময় লাগে ২৭ দিন, ৭ ঘন্টা, ৪৩ মিনিট এবং ১১ সেকেন্ড। এই জন্য আমরা পৃথিবী থেকে চাঁদের একই পৃষ্ঠ দেখে থাকি। পৃথিবী থেকে আমরা চাঁদের শতকরা প্রায় ৫৯ ভাগ দেখতে পেয়ে থাকি।
.
বেদ অনুসারে চাঁদের রয়েছে নিজস্ব আলো,দেখুন অথর্ব বেদ ২/২৩/২ এ। O moon the light rays that is yours...
.
.
কিন্তু বিজ্ঞান বলে, চাঁদ যে আলো দেয় বা পৃথিবী থেকে চাঁদের যে আলো আমরা দেখতে পাই সেটি আসলে সূর্যের আলো। সূর্য একটি নক্ষত্র এর নিজস্ব আলো আছে। সূর্যের এই আলোই মূলত চাঁদ এবং সৌরজগতের সকল গ্রহ-উপগ্রহের আলো ও তাপের উৎস। চাঁদ সূর্যের থেকে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এতদূর থেকে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় তিন লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সূর্য থেকে চাঁদে আসে। মহাকাশচারীরা যখন চাঁদে গিয়েছিলেন, তারা দেখেছেন চাঁদের পৃষ্ট ধূসর রংয়ের ও উঁচু-নিচু। এই পৃষ্ঠ তার উপরে পরা আলোকে প্রতিফলিত করে।
.
.
বেদের ভুল নিয়ে আরো অনেক উদাহরণ দেওয়া যাবে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, কোরআনই একমাত্র কিতাব নয় বরং এটি সর্বশেস কিতাব। তিন আরো কিতাব পাঠিয়েছেন যা মানুষ নিজেদের স্বার্থে বিকৃত করেছে। হতে পারে বেদ ও সেরকম কোন কিতাবেরই ভগ্নাংশ, বা কোন আসমানি কিতাব যার কিছু ভগ্নাংশ মুনি রিসিরা নিয়ে বেদ রচনা করেছেন। তবে অবশ্যই এটি সেই মুল আসমানি কিতাব নয়, কারন এতে রয়েছে অনেক অশ্লীল কথা,অবৈজ্ঞানিক কথা এবং পরস্পর বিরোধি কথা।
বিষয়: বিবিধ
৩৯৭৯ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সূরা ১৬:১৫- "এবং তিনি পৃথিবীর উপর পবর্তমালা স্থাপন করে স্থির রেখেছেন যে, কখনো যেন তা তোমাদেরকে নিয়ে হেলে-দুলে না পড়ে এবং নদী ও পথ তৈরী করেছেন, যাতে তোমরা পথ প্রদর্শিত হও।"
And He has affixed into the earth mountains standing firm, lest it should shake with you, and rivers and roads, that you may guide yourselves.
সূরা ১৬:১৫- "এবং তিনি পৃথিবীর উপর পবর্তমালা স্থাপন করে স্থির রেখেছেন যে, কখনো যেন তা তোমাদেরকে নিয়ে হেলে-দুলে না পড়ে এবং নদী ও পথ তৈরী করেছেন, যাতে তোমরা পথ প্রদর্শিত হও।"
And He has affixed into the earth mountains standing firm, lest it should shake with you, and rivers and roads, that you may guide yourselves.
মন্তব্য করতে লগইন করুন