গো-মূত্র খান সুস্থ থাকুন!! বিজ্ঞানময় পুরাই বিজ্ঞানময়!!
লিখেছেন লিখেছেন আলোকিত আধারে ২২ নভেম্বর, ২০১৫, ০২:০৩:৪৭ দুপুর
কয়েক সপ্তাহ আগে উত্তর প্রদেশে গরুর মাংস খাওয়ার গুজবে এক মুসলিমকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর থেকেই নানান বিতর্ক শুরু হয়েছে । ভারতের কোন জনগোষ্ঠী কী পরিমাণ গো-মাংস খায় তা নিয়ে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে সরকারি সংস্থা। এতে বলা হয়েছে, ভারতের আট কোটি মানুষ গরু অথবা মহিষের মাংস খায়। এর মধ্যে এক কোটি ২৫ লাখ হিন্দু রয়েছেন। ভারতের ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিসের (এনএসএসও) সর্বশেষ তথ্যমতে, ভারতের আট কোটি মানুষ অর্থাৎ প্রতি ১৩ জন ভারতীয়ের মধ্যে একজন গরু অথবা মহিষের মাংস খান। "তবে বর্তমানে ভারতে ডাল ও পেঁয়াজের দাম বাড়ায় গোবর এবং গো-মূত্র খাওয়ার অভিনব পরামর্শ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি মার্কন্ডেয় কাটজু। তিনি মঙ্গলবার এ বিষয়ে টুইটারে সরকারের উদ্দেশ্যে খোঁচা দিয়ে বলেছেন, ‘প্রণাম। আজ থেকে গো-মূত্র পান করুন এবং গোবর খান। এসব ওষুধপত্র। ডাল এবং পেঁয়াজ খুব ব্যয়বহুল হয়ে গেছে।’ প্রথম টুইটে এভাবে সরকার এবং অন্যদের কটাক্ষ করার পরে দ্বিতীয় টুইটে আরো চাঞ্চল্যকর এবং অর্থবোধক টুইট করেছেন কাটজু। তিনি বলেছেন, ‘গরুর গোশত খাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, গরুর গোবর খাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা নেই। এ জন্য আশা করছি যদি আমি গোবর খাওয়া শুরু করি তাহলে কেউ আমাকে পিটিয়ে হত্যা করবে না।’ (তথ্যসুত্র: রেডিও তেহরান, নয়া দিগন্ত, আমার দেশ।)"
মার্কন্ডেয় কাটজুর এ ধরণের মন্তব্য এমন সময় এল যখন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে গরুর প্রস্রাব এবং গোবরের বিজ্ঞান ভিত্তিক সুফলের দাবি করে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়েছে । পুস্তিকায় দাবি করা হয়েছে গরুর প্রস্রাব ক্যান্সার প্রতিরোধ করার পাশাপাশি হাঁপানি, জন্ডিস এবং রক্তসল্পতা দূর করতে কার্যকর। Cow urine has Natural Disinfectant and Antisepti cqualities. It helps in curing Cancer, AIDS, Asthma, Diabetes, High BP, Psoriasis, Eczema, Other Skin Diseases, Heart Diseases, Hypertension, Piles, Prostate, Liver, Kidney, Urinary Diseases, Female Diseases, Hepatitis, Acidity, Fits, Ulcer, Spleen, Ear, Sexual Disorders, Nose, Eye, Cough & Cold, Migraine, Headache, Gout, Knee Joint Pains, Sodalities, Sciatica and other chronic ailments.
ভারতের অনেক স্থানে এক ধরনের প্রথা বেশ ছড়িয়ে পড়ছে হিন্দু পুণ্যার্থীদের কাছে। তারা দাবি করেছেন, কুমারী গাভীর বিশুদ্ধ প্রস্রাব পান তাদের সবরকম রোগ থেকে আরোগ্য দান করে। এমনকি এতে মরণ ব্যাধি ক্যান্সার থেকেও মুক্তি মেলে!
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ডেইলি মেইল ২০১৪ সালে এই বিষয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এতে বলা হয়েছিল, হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীরা মনে করেন, গরু একটি পবিত্র ও স্বর্গীয় প্রাণী। এর প্রস্রাবও স্বর্গীয়। ফলে তা তাদের সব ধরনের সম্পদকে বিপদমুক্ত রাখে। সারিয়ে তোলে রোগবালাই । ৪২ বছর বয়সী জয়রাম সিঙ্গাল নামের একব্যক্তি দশ বছর ধরে গরুর প্রস্রাব পান করে আসছেন। এই প্রস্রাবেই তিনি তার স্বাস্থ্যের উপকার লাভ করেছেন। সিঙ্গাল বলেন, “আমার ডায়বেটিস ছিল। কিন্তু যেদিন থেকে আমি গরুর প্রস্রাব পান করা শুরু করলাম, সেদিনথেকে ডায়বেটিসের মাত্রা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।” এই প্রথায় বিশ্বাসীরা দাবি করে বলেন, মরণব্যাধি ক্যান্সার, ডায়বেটিস, টিউমার, হৃদরোগ, পাকস্থলির সমস্যা ও আরো নানা রোগ মোকাবেলায় গাভীর প্রস্রাব বেশ সফলভাবেই সেবন করা যায়। শুধু তাই নয়, টাক সমস্যার কার্যকর এবং একমাত্র সফল সমাধান হলো গাভীর প্রস্রাব পান করা। সাধু ও ধর্মতাত্ত্বিক রমেশ গুপ্ত বলেন, “এই বিশ্ব জগতে দুটি জিনিস সবচেয়ে বিশুদ্ধ ও পবিত্র। একটি হলো পবিত্র গঙ্গার পানি, আরেকটি হলো পবিত্রতম মা গাভীর প্রস্রাব।”
.
আসলেই এতদিন পর বুঝলাম গু মুত বিরাট উপকারী জিনিস, বিজ্ঞানময় পুরাই বিজ্ঞানময়॥
বিষয়: আন্তর্জাতিক
৩০৩০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উটমুত্রে নিরাময়........।
মন্তব্য করতে লগইন করুন