শমসের মবিন ’বেইমান’ বেইমান’ বেইমান’ : প্রধানমন্ত্রী
লিখেছেন লিখেছেন মোশারোফ ০৩ আগস্ট, ২০১৪, ০৯:২৭:২৩ রাত
যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক বড় বড় জায়গা থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তারপরও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। লাখ শহীদের আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি এটাই তার প্রমাণ। আর মহান অর্জনের জন্য মহান ত্যাগের প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু সে ত্যাগ করে গেছেন। আমিও প্রস্তুত আছি। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদেরও যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আজ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে কৃষক লীগ আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচি ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীকে ‘বেইমান’ আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, শমসের মবিন চৌধুরীকে বঙ্গবন্ধু জার্মানিতে পাঠিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। অথচ তিনিই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসনে সহায়তা করেছিলেন। আসলে বেইমান চিরকালই বেইমান। এটা হয়তো অনেকে জানেন না।
স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র চলছেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাইনাস-টু ফর্মুলা দেখেছি। এছাড়াও অনেকবার আমি মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখেছি। আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার তো এখন আর হারাবার কিছু নেই। বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্খা পূরণে, বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের ুধা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দেন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া ক্ষমতায় এসে ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দেয়। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের প্রদেশ বানানোর ষড়যন্ত্র শুরু করে। কিন্তু রক্ত দিয়ে যে দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে তাদের কেউ দাবায়া রাখতে পারে না। ২১ বছর তারা সত্য ইতিহাসকে চেপে রেখেছিল, কিন্তু সেটা পারেনি।
বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের খুনিদের মধ্যে যারা বিভিন্ন দেশে আত্মগোপনে আছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে বলেও জানান তিনি। ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান তাঁকে দেশে আসতে বাধা দিয়েছিল দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি মৃত্যুকে পরোয়া করি না। এ জন্য দেশে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নই আমার লক্ষ্য।
এ সময় আবেগজড়িত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমি ছিলাম দেশের বাইরে স্বামীর কর্মস্থলে। ঘরভর্তি মানুষ রেখে বিদায় নিয়েছিলাম। কিন্তু এসে বিমানবন্দরে লাখ লাখ মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। কিন্তু আমার পরিবারের কাউকে পেলাম না। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এই বাড়িতে আমরা মিলাদ পড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু জিয়া অনুমতি দেয়নি। রাস্তার ওপর মিলাদ পড়েছি। এটা বাস্তব সত্য কথা। কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসেনি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ একজনের শোক সইতে পারে না। আমার আর রেহানার কথা ভেবে দেখেন। আমরা সবাইকে হারিয়েছি। আমরা শোকে কাতর হয়েছি। কিন্তু ভেঙে পড়িনি। যাদের মুক্তির জন্য আমার মা-বাবা সবাই জীবন দিল তাদের মুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, যে আকাঙ্খা নিয়ে বঙ্গবন্ধু দেশ গড়েছেন, আমি সেটাই বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছি। মহৎ অর্জনের জন্য প্রয়োজন মহান ত্যাগ স্বীকার। আমি যেকোনো ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে অনেক ষড়যন্ত্র ছিল। সেটা অতিক্রম করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব। বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করব।
কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাক, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক রেজা, সহসভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বিষয়: বিবিধ
৮২৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
'' আমরা শোকে কাতর হয়েছি। কিন্তু ভেঙে পড়িনি। যাদের মুক্তির জন্য আমার মা-বাবা সবাই জীবন দিল তাদের মুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ''
নেত্রী তোমায় স্যালুট
মন্তব্য করতে লগইন করুন