সেক্সটিং থেকে সাবধান ! সাবধান !সাবধান !
লিখেছেন লিখেছেন মোশারোফ ০২ আগস্ট, ২০১৪, ০১:২২:৩৫ দুপুর
ইন্টারনেটে নতুন ক্রমবর্ধমান প্রবণতা ‘সেক্সটিং’। টিনএজারদের ‘সেক্সটিং’ নিয়ে এখন ওত পেতে রয়েছে একটি চক্র। ‘সেক্সটিং’আসলে ‘সেক্স’ আর ‘টেস্কটিং’ এই দুটি শব্দ মিলে তৈরি এক উত্তেজক চ্যাটিং অ্যাপলিকেশন। যা ইন্টারনেটের স্ন্যাপচ্যাট, অরকুট বা ফেসবুকের মতো যোগাযোগ সাইটে হরহামেশাই করে বহু টিনএজ।
Sexting-3
সেক্সটিং
তারা নিজেদের ‘খোলামেলা’ ছবি বয়ফ্রেন্ড, গার্লফ্রেন্ড বা নিছকই বন্ধুদের শেয়ার করে। অথচ তারা জানতে পারছে না তাদের অজান্তেই কিভাবে দ্রুত গতিতে আসছে এক অজানা আতঙ্ক। কীভাবে মুহূর্তের মধ্যে তাদের সেই সব খোলামেলা ছবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছে।
আসলে বিশ্বব্যাপী একটা চক্র টিনএজারদের এই সমস্ত খোলামেলা ছবি নিয়ে ব্যবসার জাল বিছিয়েছে। ওই চক্র ব্যক্তিগত সেক্সটিং থেকে ছবি চুরি করে তা ইন্টারনেটের মাধ্যমেই বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা লুটছে।
ইন্টারনেট ওয়াচ ফাউন্ডেশন (আইডব্লুউএফ) নামের একটি সংস্থা জানিয়েছে, যে টিনএজাররা ‘খোলামেলা’ ‘সেক্সি সেলফি’ পোস্ট করে তারা রীতিমত অপরাধ চক্রের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। এই চক্র ইন্টারনেট থেকে সেই সব ছবি যোগাড় করে পিডোফাইলসদের (শিশুদের প্রতি যৌন আসক্তি বোধ করে যারা) সরবারহ করে।
আইডব্লুউএফ সতর্ক করে জানিয়েছে, টিনেজাররা বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপস এর সিকিউরিটি প্রতিশ্রুতিতে মজে ‘সেক্সটিং’র ভয়াবহ দিকটির দিকে একেবারেই নজর দেয় না। যেমন স্ন্যাপচ্যাট দাবি করে- কোনও বন্ধুর সঙ্গে ছবি শেয়ার করার ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই সেই ছবি উধাও হয়ে যাবে। কিন্তু ওই ১০ সেকেন্ডেই খুব সহজে সেই ছবি ডাউনলোড করে নেওয়া যায়। এমনকি ফোনের স্ক্রিন এর ছবি তুলে ফেলা যায়। তারপর সেই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া তো আরও সহজ। মুহূর্তের মধ্যে হাজার হাজার শেয়ার হয়ে যায় সেই সব ছবি।
গবেষণায় দেখা গেছে, ৫২.৩ ভাগ তরুণ-তরুণী তাদের সঙ্গীদের কাছ থেকেই এ ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছে। গবেষণায় ৫৫ ভাগ নারী অংশগ্রহণকারী বলেন, তারা অতীতে সেক্সটিংয়ে জড়িত ছিলেন। অন্যদিকে ৪৮ ভাগ পুরুষ এতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
sexting-2
সেক্সটিং-এ রত এক তরুণী
কম্পিউটার্স ইন হিউম্যান বিহ্যাভিয়ার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় জানা গেছে, অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের ম্যাসেজে অংশগ্রহণের কারণ সঙ্গীকে তোষামোদ, সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা, অংশগ্রহণ ও চাহিদা পূরণ, সঙ্গীর সঙ্গে অন্তরঙ্গতা প্রকাশ করা।
শুধু মার্কিন মুলুক নয়, সেক্সটিং বেড়ে চলেছে বাংলাদেশেও। নানা ওয়েবসাইট বয়ে চলেছে তার নমুনাও। আমাদের দেশে বিশেষ করে উচ্চ মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারবারের শিশুরা আবেগপ্রবণ, অরক্ষিত, একাকী এবং মা-বাবার স্নেহহীনভাবে বেড়ে উঠছে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা এবং স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তা কিশোর বয়সীদের মধ্যে সেক্সটিং বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। তাই সন্তানকে সেক্সটিং থেকে দূরে রাখতে এগিয়ে আসতে হবে অভিভাবকদের। তাদেরকে বোঝাতে হবে মোবাইল ফোন ব্যবহারের নিরাপদ দিকগুলো।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন