স্লিম থাকার ২০ উপায়..................
লিখেছেন লিখেছেন মোশারোফ ২২ জুলাই, ২০১৪, ০৩:০৭:৩৫ দুপুর
বেশিরভাগ সময় স্লিম থাকতে গিয়ে নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হিমসিম খেতে হয় সবাইকে। বিশেষ করে চাকরিতে ঢোকার পর কিংবা বিয়ের কিছুদিন পরই শুরু হয়ে যায় মোটা হওয়া। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে সন্তান হওয়ার পর তো কথাই নেই, ওজন দ্বিগুণ হারে বেড়ে যায়।
কে চায় ওজন বেশি নিয়ে ঘুরতে? ওজন যেন কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। ডায়েট, ব্যায়াম ইত্যাদি সবকিছুকে ব্যর্থ করে ওজন যেন দিন দিন শুধু বাড়তেই থাকে!
এবার অর্থসূচকের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হলো ওজন নিয়ন্ত্রণের ২০ টিপস। এগুলো মেনে চললে সারা জীবন ওজন থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রণে।
এক. ওজন নিয়ন্ত্রণে ডায়েটিং জরুরি। কিন্তু খাবার খাওয়ার মধ্যে বেশি সময় গ্যাপ রাখা যাবে না। আবার ডায়েট করতে গিয়ে না খেয়ে থাকারও কোনো প্রশ্নই ওঠে না। দিনে অন্তত চার থেকে পাঁচ বার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
দুই. দিনে অন্তত ২০ মিনিট ব্যায়াম করুন। তাতে শরীর ভালো থাকবে। কখনো হাঁটতে পারেন, আবার কখনও বারান্দায় দাঁড়িয়ে সেরে নিতে পারেন জগিং। এতেও ব্যায়াম হবে।
তিন. রাতের খাবার খাওয়ার পর খানিকক্ষণ হালকা শরীরচর্চা করা ভালো। আবার খাওয়ার ২ ঘণ্টা পর একটু হেঁটে নিতে পারেন। এতে শরীর ঝরঝরে থাকবে।
চার. মেয়েদের দৈনিক ক্যালোরি গ্রহনের পরিমান দিনে ১০০০-১৫০০ বেশি না হওয়াই ভালো। তবে পুরুষের শারীরিক চাহিদা একটু বেশি বিধায় তাদের জন্য ২০০০ ক্যালোরি বরাদ্দ। এর বেশি হলেই ভুঁড়ি জমতে শুরু করবে।
পাঁচ. এলোপাথাড়ি ব্যায়াম না করে নিজের শরীরের সাথে মানানসই ব্যায়াম করুন। সেই সাথে বাজার থেকে সস কিনে খাওয়া বাদ দিন, এতে প্রচুর চিনি থাকে।
ছয়. প্রত্যেক সপ্তাহে একই দিনে ও একই সময়ে ওজন মাপুন। এটা ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্র আপনাকে সতর্ক করে তুলবে।
সাত. সঠিক সময়েখাওয়াদাওয়া সারুন। কারণ হজম ক্ষমতা গতিশীল রাখতে এটা খুব জরুরি।
আট. প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট খাওয়া প্রয়োজন। পেট দীর্ঘক্ষণ খালি রাখবেন না। এতে মেটাবলিজম কমে যাবে ও ওজন বাড়বে।
নয়. ভাজা-পোড়া খাবেন সপ্তাহে একদিন।
দশ. নির্দিষ্ট বেলার খাবারের মাঝের সময়ে যদি খিদে পায়,তাহলে প্রচুর পরিমানে পানি খান। আবারফলও খেতে পারেন।
এগার. মিষ্টি, কোমল পানীয়, কেক ইত্যাদি খাবার সপ্তাহে একদিন খেতে পারেন। বিস্কুট খেতে চাইলে ডায়েট বিস্কিট কিনুন।
বার. প্রাণীজ ফ্যাট, বিশেষত লাল মাংস ও ডালডা খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিন। মাংস খেলে চামড়া ও চর্বি বাদ দিয়ে খান।
তের. অতিরিক্ত দুধ জাতীয় খাবার যেমন মাখন বা চিজ বেশি খাবেন না।
চৌদ্দ. দিনে দুইকাপ গ্রিন টি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
পনের. মাদকজাতীয় দ্রব্যের নেশা ছেড়ে দিন।
ষোল. পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন – আলু, ভাত, রুটি খান। তবে লাল চালের ভাত ও লাল আটার রুটি খাওয়া সবচাইতে ভালো।
সতের. দুপুরে ও রাতে অবশ্যই এক কাপ করে সালাদ বা কম মশলায় রান্না সবজি খাওয়া ভালো।
আঠার. খাবারের প্লেটের আকার ছোট করুন এবং একবারের বেশি দুবার নিয়ে খাওয়ার প্রবণতা ত্যাগ করুন। খাবার একবারেই প্লেটে তুলে নেবেন।
ঊনিশ. চেষ্টা করুন সকালে ভারী ব্রেকফাস্ট করার। সামান্য ভারি লাঞ্চ এবং হালকা ডিনার করার। নাস্তা হিসাবে খান বাদাম, মুড়ি, ফল, ডায়েট বিস্কুট।
বিশ. চিনি দুই চামচের বেশি খাবেন না।
না খেয়ে থাকার চেয়ে বার বার অল্প অল্প করে খান। তবে অবশ্যই অতিরিক্ত খাবেন না। দেখবেন, সঠিক সময়ে পরিমিত খাবার গ্রহণে ওজন থাকবে একবারে আপনার হাতের মুঠোয়।
বিষয়: বিবিধ
১১৪১ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খাবার কম খাওয়ায় আমি পক্ষপাতী না, আর স্বাভাবিক হাটায় কোন কাজ হয় না! আপনি রেগুলার যেভাবে উচিৎ (ভালো রকম কায়িক পরিশ্রম) সেভাবে ক্যালোরী বার্ন করলেই আর কিছু হবে না; কিন্তু সে পরিবেশ নাই। এ লক্ষ্যে আমি মাঝে দৌড়ানোর জন্য কিছু সকাল পার্কে গিয়ে দেখি সেখানে মানুষের ভীড়ে হাটাই যায় না – দৌড় দিতে গেলে তো ঢুস খেতে খেতে মারামারি বেধে যাবে। য়ার রাস্তায় তো ধুলা-বালীতে দৌড়ানো উচিত-ই না।
ব্যাপক খাওয়া এবং সেই সাথে বসে আর শুয়ে থেকে আমার ভুরী ৪০ ইঞ্চি হয়ে গেছিল মাঝে – সেটা সীট-আপ বেঞ্চ দিয়ে এখন ৩৪-এ নিয়ে এসেছি; এর সাথে আর কিছুদিন পর দৌড়ানোর জন্য যোগ করবো ট্রেডমিল আশা করি একদম ২৮-এ নিয়ে আসবো।
প্রচুর খান, প্রচুর ঘাম ঝড়ান; মেদ-ভূরি এমনিতেই দৌড়ের উপর থাকবে!
আপনার টিপস কোন কাজের না! এভাবে ডায়েটিং নর্মাল গ্রোথ এর অন্তরায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন