সাকিবের পায়ে ধরেছিলেন যে মা.....................

লিখেছেন লিখেছেন মোশারোফ ২০ জুলাই, ২০১৪, ০২:৪৮:১৮ দুপুর



মা’ পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর শব্দ। সবার কাছে জগতের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। ইসলাম ধর্মে মায়ের সম্মান ও অধিকার রক্ষায় তাকে উচ্চ আসন দিয়েছে।

ইসলাম ধর্মে উল্লেখ আছে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত। এক সাহাবি হজরত মোহম্মদ (সHappy-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন পৃথিবীতে সবচেয়ে সুন্দর ব্যবহার করার হকদার কে? জবাবে রসুল (সHappy স্পষ্টভাবে বলেছিলেন ‘মা’।

এরপর সাহাবি আবার জিজ্ঞেস করেছিলেন মায়ের পর কে? জবাবে রসুল (সHappy আবারও বলেছিলেন মা।

তৃতীয়বার সাহাবী জানতে চেয়েছিলে তারপর কে? জবাবে রসুল (সHappy আবারও মায়ের কথা বলেছিলেন।

সেই মমতাময়ী এবং মর্যাদাশীল মাও সাকিবের মতো বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারের কাছে অসম্মানিত হয়েছেন। এই মা সাকিবের গর্ভধারিণী নন।

তিনি হলেন সেই মা যার ছেলে ভারতের বিপক্ষে একদিনের সিরিজ চলাকালীন সাকিবের স্ত্রী শিশিরকে কটূক্তি করেছিল। যা জানার পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালীন সমস্ত নিয়মনীতি ভঙ্গ করে ড্রেসিংরুম ছেড়ে এসে সেই ছেলেটিকে বেদম প্রহার করেছিলেন সাকিব। পরে থানায় মামলাও ঠুকে দেন।

ঘটনা মীমাংসার জন্য সেই ছেলের মা খেলা চলাকালীনই তার ছেলেকে নিয়ে হোটেল সোনারগাঁয়ে গিয়েছিলেন সাকিবের সঙ্গে দেখা করতে।

বাংলাদেশ দল সে সময় এই হোটেলে অবস্থান করছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় জানা যায়, সাকিব নিচে নেমে আসার পর ছেলের মা তার দিকে এগিয়ে যান। ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মীমাংসার কথা বলেন।

কিন্তু সাকিব কিছুতেই নমনীয় হননি। পরে তিনি একপর্যায়ে সবার সামনে সাকিবের পা ধরে তার ছেলেকে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য আকুতি করেন।

কিন্তু তাতেও সাকিবের মন গলেনি। সাকিব ঝাড়া দিয়ে তার পা ছাড়িয়ে নিয়ে ‘এমন ছেলের জেলে যাওয়াই উচিত’ বলে মন্তব্য করে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে স্থান ত্যাগ করেন।

সাকিবের এরকম ধৃষ্টতায় উপস্থিত অনেকেই অবাক হয়ে যান। তাদের অনেকেই বলাবলি করতে থাকেন, যে কোনো ঘটনার সমাধান আছে। একজন মা তার ছেলের বয়সী সাকিবের পা ধরার পরও সাকিবের এ রকম আচরণ করা ঠিক হয়নি।

সাকিব এ কাজ করে মায়ের জাতিকে অপমান করেছে। সে ভালো খেলোয়াড় হতে পারে। কিন্তু আচার-ব্যবহার শেখেনি। তার পিতা-মাতা তাকে শিষ্টাচার শেখাননি। সাকিব এ কাজ করে ওপরে ওঠেনি। আরও নিচে নেমেছে।

বিষয়: বিবিধ

১২৩৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

246275
২০ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৪
হতভাগা লিখেছেন : কি রকম মা সে যে কি না তার ছেলে ইভ টিজিং করার পরেও ছেলের জন্য ওকালতি করতে আসে ? ছেলেকে যদি সে সঠিক শিক্ষা দিতো তাহলে আজ তার এই কাহিনী করা লাগতো না ।
২০ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৪:৩২
191193
অরুণোদয় লিখেছেন : জটিম মন্তব্য হতভাগা ভাই।
246283
২০ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৪:১৪
আতিক খান লিখেছেন : সত্যিই বিস্মিত আপনার এই লেখা পড়ে। নীতি নৈতিকতার ধার না ধেরে শুধু কোরান হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে মায়ের মর্যাদার কোরাস গাইলে হবে? সাকিব নিজের মায়ের প্রতি তো অসন্মান করেনি। প্রত্যেক মহিলাই কারো না কারো মা। তাঁর মানে প্রত্যেক মহিলা ক্ষমা চাইলেই সব খুনিকেও মাফ করা উচিত। ইভটিজাররা শুধু টিজ করেই ক্ষান্ত হয়নি, সাকিবের বউকে ধাক্কাও দিয়েছিল (চার্জশীটে আছে)। বেদম মারের কথা কথায় পেলেন ভাই? নিরাপত্তা প্রহরির সাথে বড়জোর ২/৩ ঘা দিয়েছে। আমার বউকে ধাক্কা দিলে আমিও দিতাম। এমন ইভটিজারকে সঠিক শিক্ষা দিতে না পারাও এই মায়ের ব্যর্থতা। আমার ছেলে হলে বলতাম - ফৌজদারি অপরাধ করেছে, ওর শাস্তি হওয়া উচিত। এই অপরাধের শাস্তি ৩ হতে ১০ বছর। তার উপর ওরা প্রভাব খাটিয়ে সাকিবের শাস্তি বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। দুঃখজনক।
246390
২০ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:৪২
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : গন্ডগোল লেগে গেলো যে!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File