সেহেরির পর কাজগুলো করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর!
লিখেছেন লিখেছেন মোশারোফ ১৮ জুলাই, ২০১৪, ০১:৫৪:১২ দুপুর
সেহেরি করা হয়েছে? তারপর কী করবেন? নিশ্চয়ই ইবাদত বন্দেগী শেষে ঘুমাবার প্রস্তুতি নেবেন। কেউ কেউ অনেক পানি খাবেন, কেউ খাবেন সিগারেট, কেউ আবার টিভি দেখতে বা ফেসবুকিং করতে বসে যাবেন। একটু ভাবুন তো, সেহেরিতে কি আপনি এমন কোনো কাজ করছেন যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর? আসুন, জেনে নেই এমনই কিছু কাজ সম্পর্কে।
১) বেশিরভাগ মানুষই সেহেরিটা খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। এই কাজটি স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। এবং ওজন বাড়াতে ও হজমে সমস্যা করতে বিরাট ভূমিকা রাখে। কেননা ঘুমিয়ে পড়লে আমাদের মেটাবলিজম হার কমে যায়। এতে খাবার হজমে সমস্যা হয়। সেহেরি শেষে নামাজ পড়ুন, অভ্যাস থাকলে কুরআন তেলাওয়াত করুন। সাথে সাথেই শুয়ে না পড়ে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা পর বিছানায় যান।
২) শুধু সেহেরির পর কেন, ধূমপান সব সময়েই আপনার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। রমজান হতে পারে ধূমপান ছেড়ে দেয়ার আদর্শ সময়। সেহেরির পর ধূমপান করলে সেটা আপনাকে সারাদিন অনেক বেশি পানির পিপাসায় ভোগাবে।
৩) সারাদিন পানি খাওয়া হবে না ভেবে একসাথে অনেকটা পানি খেয়ে ফেলবেন না। এতে আসলে আপনার কোনই উপকার হবে না। বরং পেটে অস্বস্তি হবে ও ঘুমাতে সমস্যা হবে।
৪) সেহেরির পর অনেকেই টিভি দেখতে বসে যান বা ফেসবুকিং করেন। যদি আপনার ঘুম ভোরে কোথাও যাওয়ার না থাকে, তবে এই কাজটিও বাদ দিন। ইবাদত শেষে বিশ্রাম করুন। তাতে সারাদিন রোজা রাখতে সুবিধা হবে।
৫) সেহেরির পর পর অনেকে গোসল করেন। গোসল শেষে তবেই ফজরের নামাজ পড়েন। এই কাজটিও করবেন না। খাওয়ার পর গোসল করলে হজমে সমস্যা দেখা দেয়। গোসল করতে চাইতে সেহেরির আগেই সেরে নিন।
৬) সেহেরির ঠিক পর পরই দাঁত মাজবেন না। খাওয়ার ঠিক সাথে সাথে দাঁত মাজলে দাঁতের ক্ষতি হয়। হাতে সময় রেখে সেহেরি সারুন। তারপর কিছুটা সময় বিরতি দিয়ে দাঁত মাজুন। ভালো করে কুলি করে নিন।
৭) সারাদিন চা কফি পান করা হবে না ভেবে অনেকেই সেহেরি খেয়ে চা/কফি পান করে থাকেন। এই কাজটি মোটেই করবেন না। ক্যাফেইন শরীরকে পানিশূন্য করে ফেলে। ফলে সারাদিন রোজা রাখায় কষ্ট হবে। একই সাথে আপনার ঘুমের বারোটা বাজাবে এবং হজমেও সমস্যা করবে।
৮) যাদের সকালে মর্নিং ওয়াকের অভ্যাস, তারা সেহেরির পর অপেক্ষা করেন ভর হলে হাঁটতে যাবেন বলে। রোজার দিনে ভোর বেলাতে হাঁটলে স্বাস্থ্যহানি হবে, শরীরের ওপরে চাপ পড়বে খুব। হাঁটার অভ্যাস এই কিছু বিকাল বা সন্ধ্যায় করে ফেলুন।
বিষয়: বিবিধ
১০৯৬ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কারণ এই সময়ে ঘুমটা গভীর থাকে । তাই অনেকেই উঠে ''৫ মিনিট পরে উঠছি'' বলে আবার ঘুম দেয় , কেউ কেউ একেবারে ঢুলুঢুলু চোখ নিয়ে খাবার টেবিলে আসে ।
সারাদিন অফিসে ব্যস্ত থাকে বলে এবং ইফতার করে টায়ার্ড হয়ে যায় বলে - সেহরীর সময়ই হল ক্বুরআন তেলাওয়াতের সবচেয়ে উতকৃষ্ট সময় কর্মজীবী মানুষের কাছে । পবিত্র ক্বুরআনেও সকাল বেলায় ক্বুরআন তেলাওয়াত করার সুফল আল্লাহ ব্যক্ত করেছেন ।
তাই সেহরী খাবার আগে ২০-৩০ মিনিট ক্বুরআন পড়ে নেওয়া যায় এবং সেহরী খেয়ে মিনিট ১০-১৫ পরে নামাজ পড়া যায় সময় হয়ে গেলে । নামাজ পড়ে ঘুমাতে চলে যাওয়া উচিত বলে মনে করি , কারণ ঘুমাতে গেলেই যে সাথে সাথে ঘুম চলে আসে তা কিন্তু নয় । ঘুম আসতেই ৫ টা পোনে পাঁচটা বেজে যায় । আর অফিস হলো ৯/৯.৩০ এ । অফিস যাবার জন্য মিনিমাম ৭.৩০ টার দিকে উঠতে হয় । রাতে ৩-৩.৩০ ঘন্টা আর সকালে ২-২.৩০ ঘন্টার ঘুমে শরীরটা খুবই ক্লান্ত হয়ে যায় এই ১৪-১৫ ঘন্টায় ।
তাই ঘুমটা জরুরী ।
আর সেহরীতে ট্রেডিশনাল ভাত রুটি , মাছ , মাংশ না খেয়ে যদি খেজুর ৪/৫ টা , একগ্লাস দুধ , কলা এবং ডিম খাওয়া যায় তাহলে অনেক দিক দিয়ে লাভ হয় ।
কারণ ভাত রুটি রান্না করতে হলে সময় লাগবে । এর জন্য আরেকজনকে ওঠাতে হবে ।
তাই আগে থেকেই ডিম সিদ্ধ করে রাখতে পারে । খেজুর , কলা এগুলো ধুয়ে ও ছিলে নিলেই হয় । আর দুধ ওভেনে / চুলায় নিজে নিজেই গরম করে নেওয়া যায় ।
এসব খাবার একজন সেহরীতে নিজে উঠেই প্রসেস করতে পারে , অন্যের হেল্প খুব একটা লাগে না এবং তাতে সময়ও লাগে কম ।
আর পানি খেতে হবে ৪-৫ গ্লাস । রোজার সময় একটা জিনিস খুব টের পাওয়া যায় - এই ১৪-১৫ ঘন্টা ক্ষিদের চেয়ে পিপাসা লাগে বেশী ।
উপরোক্ত খাবারগুলো দীর্ঘক্ষন ক্ষুধা মিটিয়ে রাখে এবং পানি বেশী খেলে পানির শুন্যতাও হয় না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন