A+ ভার্শন অতঃপর
লিখেছেন লিখেছেন কাজী লোকমান হোসেন ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:৩১:১৩ রাত
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত দেশের সর্বচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের "খ" ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ , সেখানে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৯০.৪৫ শতাংশ মহা-সাফল্যের সাথে ফেল মারছে
কিন্তু HSC : A+ ৮০% তারমধ্যে ৩০% Golden GPA শিক্ষার্থীর মধ্যে
'খ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পাশের হার ০৯.৫৫ শতাংশ।
ভর্তি পরীক্ষায় দুই হাজার ২২১টি আসনের বিপরীতে অংশগ্রহনকারী ছিলেন ৪০ হাজার ৫৬৫জন।
অনুপস্থিত ছিলেন এক হাজার ৪০৩জন।
ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর পেয়ে উক্তীর্ণ হয়েছে ৩ হাজার ৮৭৪জন। ফেল করেছে ৩৫হাজার ২৮০ জন।
তবে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তরপত্র বাতিলের সংখ্যা ছিলো অস্বাভাবিক। ১ হাজার ৪১১টি উত্তরপত্র দুটি কারণে বাতিল হয়ছে। এর মধ্যে উত্তরপত্র সঠিক ছিল না ৭৬টির। এছাড়া নিয়ম বহির্র্ভূত উত্তরপত্র ছিল ১হাজার ৩৩৫ টি।
___________________
চকচক করলে যেমন সোনা হয়না GPA-5 ও Golden GPA পেলেও ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করা যায়না।
পাশ করতে হলে লিখাপড়া করতে হয়, প্রশ্নপত্র ফাঁস করে শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দিলে তারা তো যায়গামতো গেলে ফেল মারবেই।
ঠান্ডা মাথায় সুপরিকল্পিত ভাবে বাংলাদেশী প্রজন্মকে মেধাশূণ্য করে দিয়ে এই জাতীকে মেরুদন্ডহীন করার সম্মেলীত প্রচেষ্টাকে এখনি রুখে দিতে হবে।
খবরটি এখানে দেখুন এই + - ভার্শন চালু হওয়ার পর প্রথম কয়েক বছর সাফল্যের সাথে শিক্ষার্থীরা পাশ করে আসলেও বর্তমানে তা ক্যান্সারে রুপ নিয়েছে , এখন যেই ছাত্র জীবনে ইংরেজি রিডিং পড়তে পারেনি সে পাচ্ছে + , এক বার চিন্তা করেছেন কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা ? আমার মনে হয় আমাদের অভিভাবকদের এই বিষয়ে একটু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন , কারন আপনাদের ছেলেমেয়ে কিভাবে + পায় সে দিকে আপনাদের জোরালো দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন , তাহলে ঘাটে এসে তরী ডুবে যাওয়ার কোন চাঞ্জ থাকবেনা ,
আরেকটা হৃদয়বিদারক খবর হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের ১২৫ টি আসনের বিপরিতে
"খ" ইউনিটে্র মাত্র ২ জন পরীক্ষার্থী যোগ্যতা অর্জন করেছে ।
কতটা হাস্যকর খবর ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় গোল্ডেন পাওয়া ছাত্র ইংরেজিতে ফেল মারে ! হোয়াট দ্য হেইল , ঘৃণায় বুক পেটে কান্না আসে এই সমস্ত উদ্ভট খবর দেখলে , হায়রে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা তুই করলি শিক্ষার্থীদের অমানুষ ,
জয় প্রশ্ন ফাঁসের জয় নুরুল ইসলাম নাহিদের
বিষয়: বিবিধ
১৩৫০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সেদিন কিছুই বলিনি, বরং যারা সমালোচনা করেছে তাদের বিপক্ষে কথা বলেছি এবং এ+ধারীদের সাধুবাদ জানিয়েছি এই বলে যে এ+ পাওয়া অযোগ্য ব্যক্তিদের সমালোচনা করতে গিয়ে যোগ্যদেরকেও খাটো করা কোনভাবেই সমীচন নয়। কিন্তু আজ আমি বলব, আমাকে বলতে হবেই।রেকর্ড সংখ্যক এ+ প্রাপ্তপদের অধিকাংশই এ+ পাওয়ার যোগ্য ছিলনা। সত্যকার অর্থেই ছিলনা!
যদি তাই না হয়, ভর্তি পরীক্ষায় এমন করুন দশা কেন!!!! ঢাকা বিশ্বব্দ্যালয়ে খ ইউনিটে সীট সংখ্যা ২২০০এর কিছু বেশি।পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সবাই পাশ করলেও ভর্তি সৌভাগ্যবান ২২০০ জনেই হতে পারবে। কিন্তু পাশ করতে ক্ষতি কি! পাশ করলে অন্তত এটা বলেতো শান্বনা পাবে, আমি বেশি নাম্বার পেয়ে পাশ করেছি কিন্তু সীট কম থাকায় ভাগ্যের কাছে হেরে গেছি।কিন্তু পাশই যদি করতে না পারে তবে সান্ত্বনা কিসে!
পাশের হার ৯+শতাংশ!!!!! ৪০হাজার পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৩ হাজারের কিছু বেশি!!!! বাকী ৩৭ হাজারের কি হল। কি জবাব দিবেন ফেইল খাওয়া এ+ধারীরা? আর কি বা জবাব দিবেন ব্যক্তিগত অথবা দলীয় ইমেজ বৃদ্ধি করার জন্য ছাত্র ছাত্রীদের ঢালাওভাবে এ+দিয়ে আত্মতুষ্টীতে ভোগতে থাকা কথিত শিক্ষার ধারক ও বাহকরা? আমি বলছিনা সবাইকে চান্স পেতেই হবে।পাশতো করবে! কিন্তু রেকর্ড সংখ্যক এ+ ধারীদের ভর্তি পরীক্ষায় এই নাজুক অবস্থা কেন!!!! এ+ ধারীরা দুঃখ নিবেন না। এটাই ঠিক যে, পরীক্ষার আগের রাতে হাতে হাতে প্রশ্নপত্র দিয়ে কাগজের টুকরায় এনালগ নকলের পরিবর্তে ডিজিটাল নকলের সুব্যবস্থা করে ফলাফলে অভূতপূর্ব সাফল্যের জয়গান গেয়ে নিজেদের অথবা দেশের ইমেজ উজ্জ্বল করা যায় বটে ছাত্র ছাত্রীদের পকৃত অবস্থার উন্নতি রাতারাতি ঘটানো যায়না। তাই আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। অতিরঞ্জিত নয়, যা সত্য তাই প্রকাশ করা হোক।
মন্তব্য করতে লগইন করুন