বাংলাদেশের বিমান এয়ার লাইন্স এর কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য যদি এমন নীতি অনুসরণ করা হত তাহলে বিমান তার ভর্তুকি কমাতে পারতো কি ???
লিখেছেন লিখেছেন কাজী লোকমান হোসেন ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৮:৩৯:৪০ রাত
বিশ্বের আকশে ধাপিয়ে বেড়ানো বিমান গুলোর মধ্যে অন্যতম কাতার এয়ারওয়েজ , অসাধারণ সার্ভিস দিয়ে বিশ্ব প্রতিযুগিতায় মোটামুটি একটা ভালো অবস্থানে চলে গিয়েছে এই বিমান সংস্থাটি , এই সংস্থার মধ্যে বিশ্বের প্রায় অনেক দেশের নাগরিক কর্মরত রয়েছেন , সেই সুবাদে আমাদের বাংলাদেশীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত , এই সংস্থায় কাজের কত গুলো ধাপ আছে , সেটা যোগ্যতা অনুসারে , গ্রেট ১ থেকে শুরু করে গ্রেট ১৫ পর্যন্ত অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলার দামাল ছেলেরা ও মেয়েরা ,
কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এই বিমান সংস্থা একটি ডিফেন্স ফোর্স থেকেও কঠোর নীতিমালা অনুসরণ করে থাকে , যার ধরন আজকে এই সংস্থাটি বিশ্বের সেরা ৫ টি বিমান সংস্থার মধ্যে অন্যতম ,
এই সংস্থার মধ্যে চাকরী পেতে হলে অনলাইনে কিংবা আত্মীয়ের মাধ্যমে অনেক প্যারা অতিক্রম করতে হলেও চাকরী চলে যেতে ১ সেকেন্ডেরও ধরকার হয়না , বিষয়টা ঠিক এই রকম রাতে ডিউটি করে আসার পর সকালে তার চাকরী আছে কিনা সেটা সে নিজেও জানেনা , এই সংস্থা নিয়োগ এবং ছাটাই বিভাগ আগে ছিল ভারতীয় ম্যানেজমেন্ট এর আন্ডারে তখন বাংলাদেশীদের সামান্য গলদ (ভুল) দেখলেও তাদের রেসিডেন্সি প্রত্যাহার করে দিনে দিনে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হত , কিন্তু আল্লাহ্র অশেষ রহমতে তা পরিবর্তন হয়ে এখন পাকিস্তানী ম্যানেজমেন্ট এর হাতে চলে আসাতে বাংলাদেশীরা একটু স্বস্তিতে আছেন , আমি এখানে ভিনদেশী কোন বিমান সংস্থার পক্ষে সাপাই গাওয়ার জন্য ব্লগ পোস্ট করতেছিনা ,আমি নিজেই এই সংস্থায় কাজ করতে অক্ষম , কারন এত নিয়ম মেনে প্রবাসে থেকে চাকুরী করা আমার জন্য অসম্ভব , আমার ইমেইলে চাকুরীর নোটিশ আসলেও অন্যকে সাহায্য করি , যাই হোক আমি মূলত এই বিমান সংস্থার ন্যায় যদি আমাদের বিমান বাংলাদেশ সংস্থার নীতিমালা হত তাহলে দিনে দিনে আমাদের বিমান বিশ্বে একটা প্ল্যাটফরমে আসতে পারতো বলে প্রত্যাশা করি , যারা আকাশ ভ্রমন করেন তাদের নিচ্ছই ভালো সার্ভিস সম্পূর্ণ বিমানের প্রতি আলাদা রুচি আছে , কাতার এয়ারওয়েজ এমন একটি সংস্থা যেখানে বিমান বালাদের বিন্দু মাত্র দায়িত্বে অবহেলার কোন স্বুনির্দিষ্ট অভিযোগ কতৃপক্ষ যদি পায় তাহলে তার রুমে কি আছে না আছে সেটা না দেখেই ঐ বিমানে থাকা অবস্থায় তাকে চাকুরীচুত্য করে একই বিমানে দেশে পাঠানো হয় , এবং এই সংস্থার আরেকটি ইতিবাচক দিক হচ্ছে এই সংস্থায় প্রয়োজনের চেয়েও অধিক বিমান মজুদ থাকায় সিডুয়েল বিপর্যয়ে পড়তে হয়না , এবার আসুন আমাদের বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স মূল সমস্যা কি সেটা দেখা যাক , বাংলাদেশ বিমানের প্রথম এবং প্রধান সমস্যা হচ্ছে সিডুয়েল বিপর্যয় , যার সোজা বাংলা ৫ টার বিমান ১০ টায় , মাঝে মাঝে তিন দিন পরও দেখা মিলেনা , এর পরে হচ্ছে বিমানের পরিবেশ , বাংলাদেশ বিমানের পরিবেশ খুব একটা ভালো না বললেই চলে , যদিও এইকথা বলতে একটু লাগছে , তারপর বিমানে কর্মরত বিমান বালাদের আলাদা ভাবগম্ভিরতা মানুষের মাঝে কিঞ্চিৎ ঘৃণার সৃষ্টি করে , বিমানের পাইলটের চেয়ে বিমান বালাদের ভাবই আলাদা , দুপুরের খাবার বিকেলে খেতে হয় , কোন কোন সময় খাবারের নাম গন্ধও থাকেনা , তার উপর আছে প্রাণনাশের ভয় , কারন বাংলাদেশ বিমানের ইঞ্জিন মাঝে মাঝে উড়ন্ত অবস্থায় খুলে নিচে পড়ে যাওয়ার অবিজ্ঞটা দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে আছে , যাই হোক এই বিষয়গুলো সত্যি একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক ও পীড়াদায়ক , কেউ দেশে যাওয়ার সময় সর্বপ্রথম জিজ্ঞেস করি ভাই কোন বিমানে টিকেট কেটেছেন , জবাবে অনেকে অনেক বিমান সংস্থার কথা বললেও বাংলাদেশ বিমানের নাম অত্যন্ত নগণ্য লোকে বলেছে , তখন একটু হলেও খারাপ লাগে এবং চিন্তা করি ইশ বাংলাদেশ বিমানে যদি সবাই যেত তাহলে টাকাগুলো আমাদের দেশে যেত , সবাইতো একটু ভালো টা নিবে তাই নয়কি ? সবাই ভাবে কি ধরকার টাকা খরচ করে ৬-৭ ঘণ্টার পথ তিন দিনে যাওয়ার , এখন কথা হচ্ছে কাতার এয়ারওয়েজের ন্যায় না করলেও অন্তত এর থেকে একটু কম নীতিমালা অবলম্বন করলেও আমার বিশ্বাস কয়েক দিনের মধ্যেই আমাদের বিমান একটা ভালো অবস্থানে পোছাতে পারবে ,
পরিশেষে সরকারের কাছে আকুল আবেদন প্লিজ এই সংস্থাটির দিকে একটু স্বুনজরে তাকান ................. m/ m/ m/ m/
হ্যান্ড টাইপ করেছি বানান ভুল ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
ফেসবুকে আমি ঃ- https://www.facebook.com/profile.php?id=100008142219467
বিষয়: বিবিধ
১৯৭৫ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন