গ্যাং অফ লক্ষ্মীপুর

লিখেছেন লিখেছেন কাজী লোকমান হোসেন ০২ আগস্ট, ২০১৪, ০৬:৪৭:২৬ সন্ধ্যা

৯৮৪ সালে লক্ষ্মীপুর একটি পূর্নাঙ্গ জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ জেলার অধীনে ৪টি উপজেলা, ৩ টি পৌরসভা, ৫৫টি মহল্লা, ৪৭ টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৪৪৫টি মৌযা এবং ৫৩৬ টি গ্রাম আছে।

লক্ষ্মীপুর জেলার ৪টি উপজেলা হলো:

রামগঞ্জ উপজেলা

রামগতি উপজেলা

রায়পুর উপজেলা

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা

এর মোট আয়তন ১৪৫৫.৯৬ বর্গ কিমি। এটি উত্তরে চাঁদপুর জেলা, দক্ষিণে ভোলা ও নোয়াখালি, পূর্বে নোয়াখালি এবং পশ্চিমে বরিশাল, ভোলা ও মেঘনা নদী দ্বারা পরিবেষ্ঠিত।

লক্ষ্মীপুর শহর রহমতখালি নদীর তীরে অবস্থিত এবং মোট ১২ টি ওয়ার্ড ও ২২ টি মহল্লা নিয়ে গঠিত। ১৯৭৬ সালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভা গঠিত হয়

মানচিত্রে দেখুন



এই জেলার প্রধান উপজেলা লক্ষ্মীপুর সদর , আর উপজেলাই গ্যাং অফ লক্ষ্মীপুর নামে পরিচিত এই উপজেলার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী মুজিব বাদী তাহের পরিবারের কাছে জিন্মি পুরো লক্ষ্মীপুর সদর , অস্রবাজি আর সন্ত্রাস করে তাহের পৌরসভার মেয়র হওয়ার পর একের পর এক অপকর্ম খুন দখল টেন্ডার বাজী চাঁদা বাজী সহ এমন কোন সমাজ বিরোধী কাজ নাই তিনি না করেছেন , লক্ষ্মীপুর ঈদগাহের মাঠ দখল করে সেখানে কন্সার্ট করে পৌর্ বাসীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন , সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে তার ছেলে সবুজকে একই পন্থায় অস্র বাজী করে বানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান , এই উপজেলার মানুষ এতটাই তাহের আতঙ্কে থাকেন যে কেউই তাহের সম্পর্কে ক উক্তি করতেও রাজী নন , কারন তাহেরের প্রতিটা ইউনিয়ন , পাড়া মহল্লায় ভিন্ন নামে ভিন্ন গ্রুপে সন্ত্রাসী বাহিনী আছে , আর তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে তার পরিণতি হয় নিম্মের ছবির ছেলেটির মত











করেক দিন আগে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের বিশেষ ক্ষমায় মৃত্যুদণ্ড থেকে বেঁছে যাওয়া লক্ষ্মীপুরের সাহসী পি পি নুরুল ইসলাম উকিলকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় বন্ধী তাহের পুত্র লক্ষ্মীপুর কারাগারে বেশ ঘটা করে বিয়ে হল । বিপ্লব বিয়ে করেছেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার লামচরী এলাকার জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য সফিকুল ইসলামের বাড়ির আবুল খায়েরের মেয়ে সানজিদা আক্তার পিউকে।

দেনমোহরের ১০ লাখ টাকা নগদে পরিশোধ করা হয়। মেয়েকে দেয়া হয় ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার।

সন্ধ্যায় কারা ফটকে মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়ার পর রাত ১১টায় একটি কালো মাইক্রোবাসে করে কনেকে কারাফটকে নেয়া হয়।সেখানেই বর-কনের সাক্ষাৎ হয়। এবং রাত ১টার পর লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক একেএম টিপু সুলতান ও লক্ষ্মীপুর কারাগারের কারারক্ষক জয়নাল আবদিনের বিশেষ তত্ত্বাবধানে কারা অভ্যন্তরে তাদের বাসর ঘরের ব্যাবস্থা করা হয়।

এখন কথা হচ্ছে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান যে এই নরপিষাস সন্ত্রাসী খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন এখন নুরুল ইসলাম উকিলের আত্মা বার বার তার আত্মাকে প্রশ্ন করেনা কি দোষ ছিল তার ? আর বাংলাদেশের শিক্ষিত নামধারী সেকুলারদের নজরে কি একবারের জন্য লক্ষ্মীপুরের নিপীড়িত অত্যাচারিত মানুষ গুলো আসেনা ?? ধিক্কার জানাই আপনাদের শিক্ষাকে , ধিক্কার জানাই আপনাদের মনুষ্যত্বকে । যা আজ টাকার কাছে জিম্মি ,

---------------------------------------------------

লক্ষ্মীপুরের নিপীড়িত , অত্যাচারিত , নির্যাতিত মানুষের পক্ষে প্রবাস থেকে কাজী মোঃ লোকমান হোসেন

--------------------------------------------------------

ফেজবুক ঃ- https://www.facebook.com/profile.php?id=100008142219467

বিষয়: রাজনীতি

১২৪৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

250255
০২ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:৫৪
হতভাগা লিখেছেন : যখন লিটনকে রাষ্ট্রপতির আদেশে মাফ করে দেওয়া হল তখন নুরুল ইসলামের স্ত্রী বলেছিলেন , '' জনাব রাষ্ট্রপতি ! আমার স্বামীর খুনীর সাজা আপনি মওকুফ করে দিলেন ; আপনি কি আপনার স্ত্রীর খুনীদের সাজা এভাবে মওকুফ করতেন ?''

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File