আহলান ছাহলান মাহে রমাযান সংজ্ঞা ও ফজিলত
লিখেছেন লিখেছেন কাজী লোকমান হোসেন ২৯ জুন, ২০১৪, ০৩:৫৬:৫৩ দুপুর
রোযার সংজ্ঞাঃ রোযার মূলে সাওম শব্দ রয়েছে , বহুবচনে সিয়াম । এর অর্থ বিরত রাখা, বিরত থাকা। শরীয়তের অর্থ আল্লাহর নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিকের প্রারম্ভ হতে সুর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সহবাস ইত্যাদি হতে বিরত থাকা।
রোযার ফযিলতঃ রোযা ফরয বা অবশ্য করণীয় এবং ইসলামের একাটি স্তম্ভ। এটা কুরআন, হাদিস, ইজমা ও যুক্ত্রি দ্বারা প্রমাণিত। কুরআনে আল¬াহ পাক বলেন, ”হে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসীগণ ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে যেমন তোমাদের পুর্ববর্তীদের প্রতি ফরয করা হয়েছিল যাতে করে তোমরা মুত্ত্বাকী হতে পার”। (সূরা বাকারাঃ১৮৩)
আরো এরশাদ হয়েছে-”তোমাদের মধ্যে যে (রমযান) মাসকে পায়, সে যেন রোযা রাখে” (বাকারা ১৮৫)
হাদীস শরীফে আছে রসূলুল¬াহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভেও উপর স্থাপিত। ১)এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল¬াহতায়ালা ব্যতীত কোন মাবুদ নাই এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল¬াহর বান্দা ও রসূল ২) নামাজ কায়েম করা ৩) যাকাত দেওয়া ৪) হজ্ব করা ৫) রোযা রাখা। (বুখারী ও মুসলীম)
হযরত সালমান (রাঃ) হতে বণিত আছে, তিনি বলেন প্রিয় নবীয়ে করীম (সাঃ) শাবানের শেষ তারিখে আমাদেরকে নসীহত করেছেন যে, তোমাদের মাথার উপর এমন একটি মর্যাদাশীল মুবারক মাস ছায়া স্বরুপ আসছে, যার মধ্যে শবেকদর নামে একটি রাত্রি আছে, যা হাজার মাস হতেও উত্তম। আল¬াহ তায়ালা সে মাসের রোযা তোমাদের উপর ফরয করেছেন এবং রাত্রি জাগরণ অর্থাৎ তারাবী পড়াকে তোমাদের জন্য পুন্যের কাজ করেছে। যে ব্যক্তি এমাসে কোন নফল কাজ আদায় করল, সে যেন রমযানের বাহিরে একটি ফরয আদায় করল। আর যে এমাসে একটি ফরয কাজ আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করল।
রসূল (সাঃ) আরও বলেন, ইহা সবরের মাস এবং সবরের পরিবর্তে আল¬াহপাক বেহেস্ত রেখেছেন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন