যা বলবেন না (৩)
লিখেছেন লিখেছেন বঙ্গবীর ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৫:৫২:১৫ বিকাল
ভগবান শব্দের অর্থ হলো ‘ভগযুক্ত’ যা ‘ভগের’ অধিকারী। হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ মতে –
ঐশ্বর্য্যস্য সমগ্রস্যবীর্যস্য যশশঃ শ্রেয়ঃ
জ্ঞানং বৈরাগ্যায়াশ্চৈব যন্নাং ভগ ইতিঙ্গনা।
অর্থাৎ ঐশ্বর্য্য বীর্য্য, যশ, শ্রেয়তা, জ্ঞান এবং বৈরাগ্য। এই ছয়টি গুণের একত্রিত নাম ভগ। অতএব কোন নর বা নারী এই ছয়টি গুণের অধিকারী হলে তাকে যথাক্রমে ভগবান বা ভগবতী বলা হয়ে থাকে।
এই হিসেবে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহাদেব, ইন্দ্র, কালী, জগদ্ধাত্রী, লক্ষী প্রভৃতিই শুধু ভগবান নয়। এ যাত্রায় অনেক মুনিঋষি এবং তাদের পত্মী, কন্যাগণও ভগবান / ভগবতী নামে অভিহিত হয়ে আসছেন। এমনকি রাজা, পুরোহিত, আচার্য, গুরুদেব, সাধু, সন্ন্যাসী প্রভৃতিকেও ভগবান হিসেবে অভিহিত করার প্রমাণ পাওয়া যায়। এমনকি শিবের ষাড়কে পর্যন্ত ভগবান বলা হয়েছে। নিচের শ্লোকটি পড়লে বুঝা যাবে-
যোহ সৌ মহেশ্বরো দেবো বৃষশ্চাপিস এবহি!
চতুষ্পাদৌ ধর্ম্মরূপো নীলঃ পঞ্চ মুকো হরঃ ।।
যস্য সন্দর্শনাদেব বাজপেয় ফলঙ লভেৎ
নীলচে পুজিতে যস্মিন পুজিতং সকলং জগৎ।
অর্থঃ যিনি দেব মহশ্বের তিনিই এই বৃষ। এই নীল (বৃষ) চতুষ্পদ ধর্ম্ম এবং বৃষই পঞ্চমুখ হর (মহাদেব)। উহার দর্শন মাত্র বাজপেয় ফল লাভ হয়। নীলের (নীল রঙ বৃষের) পূজা করিলে সমস্ত জগতই পূজিত হয়। নীলকে স্নিগ্ধ গ্রাস প্রদান করলে জগৎ আপ্যায়িত হয়ে থাকে। নীলদেহে সর্বদা শ্রীমান বিশ্বব্যাপী জনার্দ্দন (বিষ্ণু) বাস করেন। ঐ নীল সর্বদা সনাতন বেদ মন্ত্রের দ্বারা অর্চ্চিত হয়ে থাকে।
ঋষিগণ বললেন – হে নীল তুমিই বিশ্বপালকগণের পালক এবং সনাতন। তুমি বিঘ্ন-হর্তা, জ্ঞানদ, ধর্মরূপী, মোক্ষ দায়ক, ধনদ, শ্রীদ, সর্বব্যাধি নিসুদন, জগৎ-সুখবিধায়ক, কনক প্রদ, সকলের তেজধান, সৌরভেয় ও মহাবল। তুমি শৃঙ্গাগ্রে পার্বতীসহ কৈলাস পর্বত ধারণ করিয়াছ। তুমি দেববস্তুত্য, বেদময় বেদাত্মা, ……………।
“হে দেব! তুমি বৃষরূপী ভগবান। যে ব্যক্তি তোমার প্রতি পাপাচারণ করে সে নিশ্চয়ই বৃষল এবং রৌরব নরকে গমন করিয়া পচ্যমান হয়। যে তোমাকে পদ দ্বারা স্পর্শ করে সে গাঢ় বন্ধন প্রাপ্ত হইয়া ক্ষুম ক্ষাম ও তৃষ্ণিভাবে নরক যাতনা ভোগ করিয়া থাকে।”
ভগবান শব্দের এই যখন অবস্থা তখন এই শব্দটি ব্যবহারে প্রশ্নই আসে।
ভগবান শব্দের অর্থ হলো ‘ভগযুক্ত’ যা ‘ভগের’ অধিকারী। হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ মতে –
ঐশ্বর্য্যস্য সমগ্রস্যবীর্যস্য যশশঃ শ্রেয়ঃ
জ্ঞানং বৈরাগ্যায়াশ্চৈব যন্নাং ভগ ইতিঙ্গনা।
অর্থাৎ ঐশ্বর্য্য বীর্য্য, যশ, শ্রেয়তা, জ্ঞান এবং বৈরাগ্য। এই ছয়টি গুণের একত্রিত নাম ভগ। অতএব কোন নর বা নারী এই ছয়টি গুণের অধিকারী হলে তাকে যথাক্রমে ভগবান বা ভগবতী বলা হয়ে থাকে।
এই হিসেবে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহাদেব, ইন্দ্র, কালী, জগদ্ধাত্রী, লক্ষী প্রভৃতিই শুধু ভগবান নয়। এ যাত্রায় অনেক মুনিঋষি এবং তাদের পত্মী, কন্যাগণও ভগবান / ভগবতী নামে অভিহিত হয়ে আসছেন। এমনকি রাজা, পুরোহিত, আচার্য, গুরুদেব, সাধু, সন্ন্যাসী প্রভৃতিকেও ভগবান হিসেবে অভিহিত করার প্রমাণ পাওয়া যায়। এমনকি শিবের ষাড়কে পর্যন্ত ভগবান বলা হয়েছে। নিচের শ্লোকটি পড়লে বুঝা যাবে-
যোহ সৌ মহেশ্বরো দেবো বৃষশ্চাপিস এবহি!
চতুষ্পাদৌ ধর্ম্মরূপো নীলঃ পঞ্চ মুকো হরঃ ।।
যস্য সন্দর্শনাদেব বাজপেয় ফলঙ লভেৎ
নীলচে পুজিতে যস্মিন পুজিতং সকলং জগৎ।
অর্থঃ যিনি দেব মহশ্বের তিনিই এই বৃষ। এই নীল (বৃষ) চতুষ্পদ ধর্ম্ম এবং বৃষই পঞ্চমুখ হর (মহাদেব)। উহার দর্শন মাত্র বাজপেয় ফল লাভ হয়। নীলের (নীল রঙ বৃষের) পূজা করিলে সমস্ত জগতই পূজিত হয়। নীলকে স্নিগ্ধ গ্রাস প্রদান করলে জগৎ আপ্যায়িত হয়ে থাকে। নীলদেহে সর্বদা শ্রীমান বিশ্বব্যাপী জনার্দ্দন (বিষ্ণু) বাস করেন। ঐ নীল সর্বদা সনাতন বেদ মন্ত্রের দ্বারা অর্চ্চিত হয়ে থাকে।
ঋষিগণ বললেন – হে নীল তুমিই বিশ্বপালকগণের পালক এবং সনাতন। তুমি বিঘ্ন-হর্তা, জ্ঞানদ, ধর্মরূপী, মোক্ষ দায়ক, ধনদ, শ্রীদ, সর্বব্যাধি নিসুদন, জগৎ-সুখবিধায়ক, কনক প্রদ, সকলের তেজধান, সৌরভেয় ও মহাবল। তুমি শৃঙ্গাগ্রে পার্বতীসহ কৈলাস পর্বত ধারণ করিয়াছ। তুমি দেববস্তুত্য, বেদময় বেদাত্মা, ……………।
“হে দেব! তুমি বৃষরূপী ভগবান। যে ব্যক্তি তোমার প্রতি পাপাচারণ করে সে নিশ্চয়ই বৃষল এবং রৌরব নরকে গমন করিয়া পচ্যমান হয়। যে তোমাকে পদ দ্বারা স্পর্শ করে সে গাঢ় বন্ধন প্রাপ্ত হইয়া ক্ষুম ক্ষাম ও তৃষ্ণিভাবে নরক যাতনা ভোগ করিয়া থাকে।”
ভগবান শব্দের এই যখন অবস্থা তখন এই শব্দটি ব্যবহারে প্রশ্নই আসে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন